স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে স্বামীর পলায়ন

গাইবান্ধা সাদুল্লাপুরের এক নারীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছেন স্বামী। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, জুয়া খেলার টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেছে তার স্বামী। শনিবার বিকেলে সদর হাসপাতালে তার মরদেহ রেখে পালিয়ে যান স্বামী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় ও সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিহত কাকলি রানি মোহন্ত (২৫) সাদুল্লাপুর উপজেলার পূর্ব কেশালিডাঙ্গা গ্রামের কল্লোবচন্দ্র মোহন্তের স্ত্রী ও পাশের রসুলপুর গ্রামের চিত্তরঞ্জন মহন্তের মেয়ে। নিহতের বড় ভাই মনোরঞ্জন মহন্ত জানান, আড়াই বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় কল্লোল ও কাকলির। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য কাকলিকে নির্যাতন করতেন তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) কর্মকর্তা মো. ওবাইদুল্লা জানান, সকালে স্বামী পরিচয়ে এক ব্যক্তি হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় এক নারীকে নিয়ে আসেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে আনার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়। তিনি জানান, মৃত জানার পর ওই নারীর স্বামী কৌশলে পালিয়ে যান। হাসপাতাল থেকে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে ওই নারীর বাবা ও ভাই গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা চিত্তরঞ্জন মোহন্ত থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে সাদুল্লাপুর থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় জানিয়েছেন।

সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৫ আশ্বিন ১৪২৮ ১১ সফর ১৪৪৩

স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে স্বামীর পলায়ন

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

গাইবান্ধা সাদুল্লাপুরের এক নারীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছেন স্বামী। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, জুয়া খেলার টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেছে তার স্বামী। শনিবার বিকেলে সদর হাসপাতালে তার মরদেহ রেখে পালিয়ে যান স্বামী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় ও সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিহত কাকলি রানি মোহন্ত (২৫) সাদুল্লাপুর উপজেলার পূর্ব কেশালিডাঙ্গা গ্রামের কল্লোবচন্দ্র মোহন্তের স্ত্রী ও পাশের রসুলপুর গ্রামের চিত্তরঞ্জন মহন্তের মেয়ে। নিহতের বড় ভাই মনোরঞ্জন মহন্ত জানান, আড়াই বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় কল্লোল ও কাকলির। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য কাকলিকে নির্যাতন করতেন তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) কর্মকর্তা মো. ওবাইদুল্লা জানান, সকালে স্বামী পরিচয়ে এক ব্যক্তি হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় এক নারীকে নিয়ে আসেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে আনার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়। তিনি জানান, মৃত জানার পর ওই নারীর স্বামী কৌশলে পালিয়ে যান। হাসপাতাল থেকে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে ওই নারীর বাবা ও ভাই গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা চিত্তরঞ্জন মোহন্ত থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে সাদুল্লাপুর থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় জানিয়েছেন।