কলাপাড়ায় দিনভর বৃষ্টি প্লাবিত সাত গ্রাম

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দিনভর ভারি বৃষ্টিতে সীমাহীন দুর্ভোগে চাড়িপাড়া ভাঙা বেড়িবাঁধসংলগ্ন সহস্রাধিক পরিবার। গতকাল ভারি বর্ষণের সঙ্গে রাবনাবাদ নদীর উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে চাড়িপাড়া ভাঙা বাঁধের অন্তত ৫০ মিটার বাঁধ নতুন করে ভেঙেছে। এ বাঁধটি গত দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রায় সাত কিলোমিটার অংশ ভেঙে সংস্কারের অভাবে পড়ে আছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানালেও বাঁধ মেরামতে কোন উদ্যোগ নেয়নি।

গতকাল সকাল থেকে ঝড়ো বাতাসে ভেঙে পড়েছে একাধিক গাছপালা। লালুয়ার বুড়াজালিয়া অংশের এ ভাঙা বাঁধের কারণে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাওয়ার বাঁশের সাঁকোটিও পানির স্রোতে ভেসে গেছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের যোগাযোগ। সাঁকো ভেঙে পড়ায় বেশি সমস্যায় পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। সকালের জোয়ারে সাঁকোটি ভালো থাকলেও দুপুরে তা ভেঙে উল্টে গেছে।

এদিকে বাঁধসংলগ্ন কয়েকশ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব পরিবার দুপুরে কোথায় রান্না করবে এ নিয়ে চিন্তিত। তবে এসব দুর্গত মানুষের সহায়তায় পাচ্ছে না কোন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহায়তা।

স্থানীয় মো. ফিরোজ. আলমগীর হোসেন জানান, নদীতে পানি বাড়লেই তাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। আর এখন তো শেষ সম্বল বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগই বন্ধ। রাতের জোয়ারে কোথায় থাকবেন তা ঠিক নেই।

লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বিশ্বাস জানান, এভাবে বছরের পর বছর ধরে হাজারও মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু ভাঙা বাঁধ আর মেরামত হয় না।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, যখনই কোন সরকারি সহায়তা আসে লালুয়ার মানুষকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হয়। আর ভাঙা বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি সর্বোচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।

সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৫ আশ্বিন ১৪২৮ ১১ সফর ১৪৪৩

কলাপাড়ায় দিনভর বৃষ্টি প্লাবিত সাত গ্রাম

সাঁকো ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ

image

প্রতিনিধি, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দিনভর ভারি বৃষ্টিতে সীমাহীন দুর্ভোগে চাড়িপাড়া ভাঙা বেড়িবাঁধসংলগ্ন সহস্রাধিক পরিবার। গতকাল ভারি বর্ষণের সঙ্গে রাবনাবাদ নদীর উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে চাড়িপাড়া ভাঙা বাঁধের অন্তত ৫০ মিটার বাঁধ নতুন করে ভেঙেছে। এ বাঁধটি গত দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রায় সাত কিলোমিটার অংশ ভেঙে সংস্কারের অভাবে পড়ে আছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানালেও বাঁধ মেরামতে কোন উদ্যোগ নেয়নি।

গতকাল সকাল থেকে ঝড়ো বাতাসে ভেঙে পড়েছে একাধিক গাছপালা। লালুয়ার বুড়াজালিয়া অংশের এ ভাঙা বাঁধের কারণে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাওয়ার বাঁশের সাঁকোটিও পানির স্রোতে ভেসে গেছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের যোগাযোগ। সাঁকো ভেঙে পড়ায় বেশি সমস্যায় পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। সকালের জোয়ারে সাঁকোটি ভালো থাকলেও দুপুরে তা ভেঙে উল্টে গেছে।

এদিকে বাঁধসংলগ্ন কয়েকশ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব পরিবার দুপুরে কোথায় রান্না করবে এ নিয়ে চিন্তিত। তবে এসব দুর্গত মানুষের সহায়তায় পাচ্ছে না কোন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহায়তা।

স্থানীয় মো. ফিরোজ. আলমগীর হোসেন জানান, নদীতে পানি বাড়লেই তাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। আর এখন তো শেষ সম্বল বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগই বন্ধ। রাতের জোয়ারে কোথায় থাকবেন তা ঠিক নেই।

লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বিশ্বাস জানান, এভাবে বছরের পর বছর ধরে হাজারও মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু ভাঙা বাঁধ আর মেরামত হয় না।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, যখনই কোন সরকারি সহায়তা আসে লালুয়ার মানুষকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হয়। আর ভাঙা বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি সর্বোচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।