শেয়ারবাজারে সূচকের রেকর্ড লেনদেনেও তেজিভাব

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বিক্রয়চাপ অব্যাহত ছিল পুঁজিবাজারে। অব্যাহত বিক্রয়চাপে দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ১৭১টি কোম্পানি ও ফান্ডের দর কমেছে। কিন্তু দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক বেড়েছে ২৬.১৭ পয়েন্ট। ফলে ডিএসইএক্স সূচক সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছে। এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর ডিএসইএক্স সূচক ৭ হাজার ৩০২.৮৫ পয়েন্টে পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছিল। এছাড়াও একই দিনে ডিএস-৩০ সূচক রেকর্ড গড়েছে।

অন্যদিকে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গতকাল বিক্রয়চাপ দেখা গেছে। দিনশেষে সিএসইর ১৫১টি কোম্পানির দর কমেছে। কিন্তু এদিন সিএসসিএক্স, সিএএসপিআই, সিএসই-৪০ ও সিএসআই সূচক রেকর্ড গড়েছে। গতকাল ডিএসই ও সিএসইর লেনদেন পর্যালোচনায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে ৩৭৫টি কোম্পানির ৫৫ কোটি ২৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪৮টি শেয়ার হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৭১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির। দিন শেষে ডিএসইতে ২ হাজার ৫০২ কোটি ৩০ লাখ ২১ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২৬৯ কোটি ৪৬ লাখ ২ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের কার্যদিবসের তুলনায় ডিএসইতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন বেড়েছে, যা গত ১২ সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ।

দিন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২৬.১৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৭ হাজার ৩২৯.০৩ পয়েন্টে। ফলে ডিএসইএক্স সূচক সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছে। এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর ডিএসইএক্স সূচক ৭ হাজার ৩০২.৮৫ পয়েন্টে পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছিল। একইভাবে ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.৬৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৭১০.৫২ পয়েন্টে। ফলে সূচকটিও সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছে। এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর ডিএস-৩০ সূচক ২ হাজার ৬৯৬.৮৭ পয়েন্টে পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছিল। এছাড়া ডিএসইর শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর মূল্যসূচক ডিএসইএস ৮.৪৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৫৯২.০৯ পয়েন্টে স্থিতি পেয়েছে।

দর বৃদ্ধিতে শীর্ষে যারা : সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৮.৬৭ শতাংশ, সোনালী পেপারের ৭.২২ শতাংশ, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ৬.৯৮ শতাংশ, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের ৬.৮৬ শতাংশ, অগ্নি সিস্টেমসের ৬.৬৯ শতাংশ, ইউনিক হোটেলের ৬.৬২ শতাংশ, লাভেলোর ৬.১২ শতাংশ, একমি ল্যাবরেটরিজের ৬.১০ শতাংশ, বিডি ল্যাম্পসের ৬.০৮ শতাংশ এবং পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার দর ৬.০৫ শতাংশ দর বেড়েছে।

দর পতনে শীর্ষে যারা : ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৯.৯৮ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের ৪.৭৮ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৪.৬৫ শতাংশ, নুরানী ডাইংয়ের ৪.০৪ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৩.২৯ শতাংশ, জিবিবি পাওয়ারের ৩.২৮ শতাংশ, মেঘনা কনডেন্স মিল্কের ৩.২৪ শতাংশ, শ্যামপুর সুগারের ৩.২১ শতাংশ, সায়হাম টেক্সটাইলের ৩.১৪ শতাংশ এবং ঝিলবাংলা সুগারের শেয়ার দর ৩.১০ শতাংশ দর কমেছে।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে ২১ হাজার ৩৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ১২২ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৭৮ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯১ কোটি ৩৮ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৯ টাকা।

শুক্রবার, ০১ অক্টোবর ২০২১ , ১৬ আশ্বিন ১৪২৮ ২২ সফর ১৪৪৩

শেয়ারবাজারে সূচকের রেকর্ড লেনদেনেও তেজিভাব

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বিক্রয়চাপ অব্যাহত ছিল পুঁজিবাজারে। অব্যাহত বিক্রয়চাপে দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ১৭১টি কোম্পানি ও ফান্ডের দর কমেছে। কিন্তু দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক বেড়েছে ২৬.১৭ পয়েন্ট। ফলে ডিএসইএক্স সূচক সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছে। এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর ডিএসইএক্স সূচক ৭ হাজার ৩০২.৮৫ পয়েন্টে পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছিল। এছাড়াও একই দিনে ডিএস-৩০ সূচক রেকর্ড গড়েছে।

অন্যদিকে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গতকাল বিক্রয়চাপ দেখা গেছে। দিনশেষে সিএসইর ১৫১টি কোম্পানির দর কমেছে। কিন্তু এদিন সিএসসিএক্স, সিএএসপিআই, সিএসই-৪০ ও সিএসআই সূচক রেকর্ড গড়েছে। গতকাল ডিএসই ও সিএসইর লেনদেন পর্যালোচনায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে ৩৭৫টি কোম্পানির ৫৫ কোটি ২৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪৮টি শেয়ার হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৭১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির। দিন শেষে ডিএসইতে ২ হাজার ৫০২ কোটি ৩০ লাখ ২১ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২৬৯ কোটি ৪৬ লাখ ২ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের কার্যদিবসের তুলনায় ডিএসইতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন বেড়েছে, যা গত ১২ সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ।

দিন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২৬.১৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৭ হাজার ৩২৯.০৩ পয়েন্টে। ফলে ডিএসইএক্স সূচক সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছে। এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর ডিএসইএক্স সূচক ৭ হাজার ৩০২.৮৫ পয়েন্টে পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছিল। একইভাবে ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.৬৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৭১০.৫২ পয়েন্টে। ফলে সূচকটিও সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছে। এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর ডিএস-৩০ সূচক ২ হাজার ৬৯৬.৮৭ পয়েন্টে পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছিল। এছাড়া ডিএসইর শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর মূল্যসূচক ডিএসইএস ৮.৪৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৫৯২.০৯ পয়েন্টে স্থিতি পেয়েছে।

দর বৃদ্ধিতে শীর্ষে যারা : সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৮.৬৭ শতাংশ, সোনালী পেপারের ৭.২২ শতাংশ, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ৬.৯৮ শতাংশ, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের ৬.৮৬ শতাংশ, অগ্নি সিস্টেমসের ৬.৬৯ শতাংশ, ইউনিক হোটেলের ৬.৬২ শতাংশ, লাভেলোর ৬.১২ শতাংশ, একমি ল্যাবরেটরিজের ৬.১০ শতাংশ, বিডি ল্যাম্পসের ৬.০৮ শতাংশ এবং পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার দর ৬.০৫ শতাংশ দর বেড়েছে।

দর পতনে শীর্ষে যারা : ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৯.৯৮ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের ৪.৭৮ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৪.৬৫ শতাংশ, নুরানী ডাইংয়ের ৪.০৪ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৩.২৯ শতাংশ, জিবিবি পাওয়ারের ৩.২৮ শতাংশ, মেঘনা কনডেন্স মিল্কের ৩.২৪ শতাংশ, শ্যামপুর সুগারের ৩.২১ শতাংশ, সায়হাম টেক্সটাইলের ৩.১৪ শতাংশ এবং ঝিলবাংলা সুগারের শেয়ার দর ৩.১০ শতাংশ দর কমেছে।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে ২১ হাজার ৩৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ১২২ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৭৮ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯১ কোটি ৩৮ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৯ টাকা।