চট্টগ্রামের কাট্টলীতে নির্মিত হবে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর

চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলীস্থ এলাকায় প্রস্তাবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বহু দিনের আকাঙ্খিত চট্টগ্রামের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

এসময় সেখানে মুখ্য সচিবকে মহান মুক্তিযুদ্ধের বই ও ফুল দিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ড, জেলা কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দরা।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী উত্তর কাট্টলীতে ২৯ একর জায়গার উপর নির্মাণ হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রকল্পের নকশা পাঠানো হবে।

মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের মানুষের বিরত্বগাঁথা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রীর এ প্রচেষ্টা। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন টানেল উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীই এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি, এখন আমরা জায়গা সরেজমিনে দেখেছি। দেখে মনে হলো জায়গাটি অত্যন্ত চমৎকার, সৌন্দর্যমন্ডিত ও পছন্দের। মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের মানুষের অবদান অন্যতম। এখানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ওয়্যারলেস, ইস্টার্ন জোনের সমন্বয়কারী মরহুম আলহাজ্ব জহুর আহমদ চৌধুরী, মরহুম এম.এ আজিজের অনেক স্মৃতি, পাহাড়তলী বধ্যভূমিসহ অনেক বধ্যভূমি রয়েছে।

সে হিসেবে এ অঞ্চলের আলাদা একটা গুরুত্ব রয়েছে। ইতিহাস হয়েছে এ অঞ্চলের। নতুন প্রজন্মকে এসব জানাতে হবে। আশাকরি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এখানে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণ করা গেলে এলাকাটি অরো নান্দনিক হয়ে উঠবে। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে।

শুক্রবার, ০১ অক্টোবর ২০২১ , ১৬ আশ্বিন ১৪২৮ ২২ সফর ১৪৪৩

চট্টগ্রামের কাট্টলীতে নির্মিত হবে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলীস্থ এলাকায় প্রস্তাবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বহু দিনের আকাঙ্খিত চট্টগ্রামের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

এসময় সেখানে মুখ্য সচিবকে মহান মুক্তিযুদ্ধের বই ও ফুল দিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ড, জেলা কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দরা।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী উত্তর কাট্টলীতে ২৯ একর জায়গার উপর নির্মাণ হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রকল্পের নকশা পাঠানো হবে।

মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের মানুষের বিরত্বগাঁথা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রীর এ প্রচেষ্টা। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন টানেল উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীই এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি, এখন আমরা জায়গা সরেজমিনে দেখেছি। দেখে মনে হলো জায়গাটি অত্যন্ত চমৎকার, সৌন্দর্যমন্ডিত ও পছন্দের। মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের মানুষের অবদান অন্যতম। এখানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ওয়্যারলেস, ইস্টার্ন জোনের সমন্বয়কারী মরহুম আলহাজ্ব জহুর আহমদ চৌধুরী, মরহুম এম.এ আজিজের অনেক স্মৃতি, পাহাড়তলী বধ্যভূমিসহ অনেক বধ্যভূমি রয়েছে।

সে হিসেবে এ অঞ্চলের আলাদা একটা গুরুত্ব রয়েছে। ইতিহাস হয়েছে এ অঞ্চলের। নতুন প্রজন্মকে এসব জানাতে হবে। আশাকরি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এখানে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণ করা গেলে এলাকাটি অরো নান্দনিক হয়ে উঠবে। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে।