দুই দফা তারিখ পিছিয়ে ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে ঘাটারচর-কাঁচপুর রুটে বাস ফ্রাঞ্চাইজি

ঘাটারচর-কাঁচপুর রুটে বাস ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি চালুর জন্য ‘আগামী পহেলা ডিসেম্বর’ আবারও তারিখ ঘোষণা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)’র মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এর আগে দুই দফা তারিখ ঘোষণা করে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

এবার চূড়ান্তভাবে এই রুটে ১২০টি নন এসি নতুন বাস দিয়ে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি চালু করা হবে। এই ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটে চলবে সবুজ রঙের বাস। প্রতিকিলোমিটার ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র অনুমোদিত মিনিবাসের আসন সংখ্যা ৩২টি ও বড় বাসের আসন হলো ৫২ টি। কিন্তু এই রুটে কত সিটের বাস চলাচল করবে তা এখানো নির্ধারণ করা হয় নি। সর্বনি¤œ ভাড়া কত হবে তাও ঠিক করা হয় নি।

গতকাল নগর ভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশনের সমন্বয় কমিটির ১৮তম সভা শেষে ডিএসসিসি’র মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘ঘাটারচর টু কাচপুর রুটে প্রথম অবস্থায় ১২০টি নন এসি বাস চলাচল করবে। রুটে চলাচলকারী সব পরিবহন হবে নতুন। ২০১৯ সালের আগে তৈরি হওয়া কোন বাস এই রুটে চলাচল করতে পারবে না। আগামী পহেলা ডিসেম্বর থেকে ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত সবুজ রঙের বাস দিয়ে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামের নতুন সার্ভিসের উদ্বোধন করবেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘আমরা দায়িত্বভার গ্রহণের পর গত ১ বছরে ৬টি সভা করেছি। ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর আমাদের প্রথম সভা (কমিটির ১২তম সভা) ছিলো। এর মধ্যে করোনা মহামারির মাঝেও আমরা পুরোদমে কাজ করে চলেছি। প্রাথমিকভাবে যৌথ কোম্পানীর বাস দিয়ে এই সার্ভিস চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে একটি কোম্পানীর আওতায় নিয়ে আসা হবে। ২০২০ ও ২০২১ সালের তৈরী নতুন বাস দিয়ে এই রুটটি চালু করা হবে।’

অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে স্থান সংকটের কারণে বাস স্টপিজ তৈরী করা যায়নি। তাই প্রায় ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটে ১৬টি বাস-বে ও ৪০টি যাত্রী ছাউনি তৈরী করা হবে। পহেলা ডিসেস্বরের আগে নতুন বাসের নকশা চূড়ান্ত করা হবে। আগামী ১৪ অক্টোরের মধ্যে নতুন বাসের নকশা চাওয়া হয়েছে। যা ২০ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। বাসের চালক ও সহযোগীর আলাদা পোষাক থাকবে। নিদিষ্ট স্থান থেকে যাত্রী উঠা-নামা করতে হবে।’

বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১ , ২১ আশ্বিন ১৪২৮ ২৭ সফর ১৪৪৩

দুই দফা তারিখ পিছিয়ে ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে ঘাটারচর-কাঁচপুর রুটে বাস ফ্রাঞ্চাইজি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ঘাটারচর-কাঁচপুর রুটে বাস ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি চালুর জন্য ‘আগামী পহেলা ডিসেম্বর’ আবারও তারিখ ঘোষণা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)’র মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এর আগে দুই দফা তারিখ ঘোষণা করে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

এবার চূড়ান্তভাবে এই রুটে ১২০টি নন এসি নতুন বাস দিয়ে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি চালু করা হবে। এই ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটে চলবে সবুজ রঙের বাস। প্রতিকিলোমিটার ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র অনুমোদিত মিনিবাসের আসন সংখ্যা ৩২টি ও বড় বাসের আসন হলো ৫২ টি। কিন্তু এই রুটে কত সিটের বাস চলাচল করবে তা এখানো নির্ধারণ করা হয় নি। সর্বনি¤œ ভাড়া কত হবে তাও ঠিক করা হয় নি।

গতকাল নগর ভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশনের সমন্বয় কমিটির ১৮তম সভা শেষে ডিএসসিসি’র মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘ঘাটারচর টু কাচপুর রুটে প্রথম অবস্থায় ১২০টি নন এসি বাস চলাচল করবে। রুটে চলাচলকারী সব পরিবহন হবে নতুন। ২০১৯ সালের আগে তৈরি হওয়া কোন বাস এই রুটে চলাচল করতে পারবে না। আগামী পহেলা ডিসেম্বর থেকে ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত সবুজ রঙের বাস দিয়ে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামের নতুন সার্ভিসের উদ্বোধন করবেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘আমরা দায়িত্বভার গ্রহণের পর গত ১ বছরে ৬টি সভা করেছি। ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর আমাদের প্রথম সভা (কমিটির ১২তম সভা) ছিলো। এর মধ্যে করোনা মহামারির মাঝেও আমরা পুরোদমে কাজ করে চলেছি। প্রাথমিকভাবে যৌথ কোম্পানীর বাস দিয়ে এই সার্ভিস চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে একটি কোম্পানীর আওতায় নিয়ে আসা হবে। ২০২০ ও ২০২১ সালের তৈরী নতুন বাস দিয়ে এই রুটটি চালু করা হবে।’

অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে স্থান সংকটের কারণে বাস স্টপিজ তৈরী করা যায়নি। তাই প্রায় ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটে ১৬টি বাস-বে ও ৪০টি যাত্রী ছাউনি তৈরী করা হবে। পহেলা ডিসেস্বরের আগে নতুন বাসের নকশা চূড়ান্ত করা হবে। আগামী ১৪ অক্টোরের মধ্যে নতুন বাসের নকশা চাওয়া হয়েছে। যা ২০ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। বাসের চালক ও সহযোগীর আলাদা পোষাক থাকবে। নিদিষ্ট স্থান থেকে যাত্রী উঠা-নামা করতে হবে।’