বেতারে সুরকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেন ফাহমিদা নবী

নতুন ইংরেজি বছরের শুরুতে নিজের একটি সুখবর জানালেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবী। বাংলাদেশ বেতারে একজন সুরকার হিসেবে (এ গ্রেড) তালিকাভুক্ত হয়েছেন তিনি। এদিকে আজ তার জন্মদিন। একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তিনি বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন ১৯৭৭ সালে। দীর্ঘ ৪৪ বছর পর সরকারী একই প্রতিষ্ঠানে সুরকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে পেরে ভীষণ আনন্দিত, গর্বিত ফাহমিদা নবী। একজন সুরকার হিসেবে বাংলাদেশ বেতারে তালিকাভুক্তির বিষয়টি তিনি অনেক বড় করেই দেখছেন। ফাহমিদা নবী প্রথম সুর করেন নিজের লেখা গান ‘তুমি কী সেই তুমি’ গানটির। এরপর আরো বহু গানের সুর করেছেন তিনি। এরইমধ্যে ফাহমিদা নবীর সুর করা তিনটি গানের কাজ প্রায় শেষ। তিনি জানান, শিগগিরই গানগুলোর কাজ শেষ করে মিউজিক ভিডিও নির্মাণ শেষে প্রকাশ করা হবে। গানগুলো হচ্ছে মঞ্জুরুল আলম চৌধুরীর ‘আমি তোমার সমাধিতে এসেছি’, হোসনে আরা জলির ‘জোনাকি ও জোনাকি’ এবং আতিউর রহমানের ‘চায়ের কাপে এমন কেন হয়’। তিনটি গানেরই মিউজিক অ্যারেঞ্জম্যান্টের কাজ চলছে। ফাহমিদা নবী জানান কিছুদিন আগেই আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়া মেধাবী সুরকার বর্ণ চক্রবর্তীর সর্বশেষ সর করা গান আনিসুজ্জামান জুয়েলের লেখা ‘বন্ধু আয়না আরেকটি বার’ গানটিও শিগগিরই প্রকাশ করবেন।

বাংলাদেশ বেতারে সুরকার হিসেবে তালিকাভুক্ত, জন্মদিন এবং অন্যান্য প্রসঙ্গে ফাহমিদা নবী বলেন, ‘আমার বাবা শ্রদ্ধেয় মাহমুদুন্নবী যখন সুর করতেন তখন থেকেই আমার নিজের মধ্যে গানের সুর আসতো। এমনি করেই একদিন নিজের লেখা গানেই সুর করে ফেললাম। আপর এখনতো নিয়মিত সুর করছি। অনেক অনেক ভালোলাগা এবং গর্বের বিষয়ও বটে যে আমি বাংলাদেশ বেতারে একজন সুরকার হিসেবে অ্যানলিস্টেড হয়েছি। আর জন্মদিন নিয়ে কখনোই আমার কোন পরিকল্পনা থাকেনা। এবারতো আরো নেই, কারণ আমার মেয়ে আনমোল আমার সঙ্গে নেই। ল-নে আছে। তবে জন্মদিন আম্মা’সহ পরিবারের সবার সঙ্গে কাটবে-এটাই ভালোলাগা।’

মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২২ , ২০ পৌষ ১৪২৮ ৩০ জমাদিউল আউয়াল

বেতারে সুরকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেন ফাহমিদা নবী

বিনোদন প্রতিবেদক

image

নতুন ইংরেজি বছরের শুরুতে নিজের একটি সুখবর জানালেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবী। বাংলাদেশ বেতারে একজন সুরকার হিসেবে (এ গ্রেড) তালিকাভুক্ত হয়েছেন তিনি। এদিকে আজ তার জন্মদিন। একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তিনি বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন ১৯৭৭ সালে। দীর্ঘ ৪৪ বছর পর সরকারী একই প্রতিষ্ঠানে সুরকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে পেরে ভীষণ আনন্দিত, গর্বিত ফাহমিদা নবী। একজন সুরকার হিসেবে বাংলাদেশ বেতারে তালিকাভুক্তির বিষয়টি তিনি অনেক বড় করেই দেখছেন। ফাহমিদা নবী প্রথম সুর করেন নিজের লেখা গান ‘তুমি কী সেই তুমি’ গানটির। এরপর আরো বহু গানের সুর করেছেন তিনি। এরইমধ্যে ফাহমিদা নবীর সুর করা তিনটি গানের কাজ প্রায় শেষ। তিনি জানান, শিগগিরই গানগুলোর কাজ শেষ করে মিউজিক ভিডিও নির্মাণ শেষে প্রকাশ করা হবে। গানগুলো হচ্ছে মঞ্জুরুল আলম চৌধুরীর ‘আমি তোমার সমাধিতে এসেছি’, হোসনে আরা জলির ‘জোনাকি ও জোনাকি’ এবং আতিউর রহমানের ‘চায়ের কাপে এমন কেন হয়’। তিনটি গানেরই মিউজিক অ্যারেঞ্জম্যান্টের কাজ চলছে। ফাহমিদা নবী জানান কিছুদিন আগেই আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়া মেধাবী সুরকার বর্ণ চক্রবর্তীর সর্বশেষ সর করা গান আনিসুজ্জামান জুয়েলের লেখা ‘বন্ধু আয়না আরেকটি বার’ গানটিও শিগগিরই প্রকাশ করবেন।

বাংলাদেশ বেতারে সুরকার হিসেবে তালিকাভুক্ত, জন্মদিন এবং অন্যান্য প্রসঙ্গে ফাহমিদা নবী বলেন, ‘আমার বাবা শ্রদ্ধেয় মাহমুদুন্নবী যখন সুর করতেন তখন থেকেই আমার নিজের মধ্যে গানের সুর আসতো। এমনি করেই একদিন নিজের লেখা গানেই সুর করে ফেললাম। আপর এখনতো নিয়মিত সুর করছি। অনেক অনেক ভালোলাগা এবং গর্বের বিষয়ও বটে যে আমি বাংলাদেশ বেতারে একজন সুরকার হিসেবে অ্যানলিস্টেড হয়েছি। আর জন্মদিন নিয়ে কখনোই আমার কোন পরিকল্পনা থাকেনা। এবারতো আরো নেই, কারণ আমার মেয়ে আনমোল আমার সঙ্গে নেই। ল-নে আছে। তবে জন্মদিন আম্মা’সহ পরিবারের সবার সঙ্গে কাটবে-এটাই ভালোলাগা।’