ভৈরবের ‘রক্তসৈনিক’ নজরুল দম্পতির রেকর্ড

১৯৯৯ সালে নিজের ১৮তম জন্মদিনে রক্ত দেওয়া শুরু। সে ধারাবাহিকতায় গত মাসে ১০০তম রক্তদানের রেকর্ড গড়েছেন। আর অসহায় মানুষের জীবন সংকটকালে রক্তদানে অন্যকে উৎসাহিত করে রক্ত নিচ্ছেন সেও দীর্ঘ ২১ বছর, অর্থাৎ ২০০০ সাল থেকে। স্বেচ্ছায় রক্তদানে মানুষকে সচেতন করতে দেশব্যাপী ঘুরে বেড়াচ্ছেন কখনও বাইসাইকেলে করে, কখনওবা পায়ে হেঁটে।

নিজ এলাকার অলি-গলি আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রক্তদানে উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করছেন প্রায় নিয়মিত। এইসব কাজের জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশাল এক স্বেচ্ছাসেবী কর্মীবাহিনী গড়ে তুলেছেন। মোবাইল ফোন আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক নির্ভর করে চালিয়ে যাচ্ছেন এই মহান মানবসেবা।

এমন মানবতাবাদী কাজের জন্য সমাজে তাকে ‘রক্তসৈনিক নজরুল’ হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। আর্থিক কোন লাভালাভ না পেলেও, মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসায় তিনি আজ সিক্ত ধনী-গরিব, সর্বমহলে। প্রশংসা আর পুরস্কারের ঝুলি তার কানায় কানায় ভরে উঠছে দিন কি দিন। প্রায়ই তিনি দেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে হচ্ছেন প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে। সন্ধানী নামের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি সংগঠন রক্ত সংগ্রহ করছে। নজরুল সেখানে যান রক্ত দিতে। কিন্তু তার বয়স ১৮ বছর থেকে মাত্র দুই মাস কম থাকায় সংগঠনটি রক্ত নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে নজরুল মনে যেমন দুঃখ পান, তেমনি জেদও পোষেন।

ওই বছরেরই ২৮ নভেম্বর তিনি ১৮ বছরে পদার্পণ করেন। রক্তদানের মাধ্যমে তার ১৮তম জন্মদিনকে স্মরণীয় করতে তিনি সেদিন চলে যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। খোঁজে বের করেন সন্ধানীর কর্মকর্তাদের। জীবনের প্রথম রক্তদান শুরু হয় তার সেদিন থেকে। এরপর থেকে তিনি ৪ মাস পর পর নিয়মিত রক্তদান করে যাচ্ছেন। গেল ৪ নভেম্বর তিনি তার শততম রক্তদানের একটি মাইলফলক অর্জন করেছেন।

নজরুল জানান, একটা সময় তিনি লক্ষ্য করলেন ঢাকা থেকে যারা আসেন তারা রক্ত সংগ্রহ করে নিয়ে যান। যারা রক্ত দিচ্ছেন, তাদের তালিকাও ঠিক মতো সংগ্রহে থাকে না এখানকার সংগঠকদের কাছে। ফলে স্থানীয় লোকজনের রক্তের প্রয়োজন হলে দাতাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না।

সেই ভাবনা মাথায় রেখে ২০০০ সাল থেকে তিনি একটি খাতায় দাতাদের নাম-ঠিকানা লিখে রাখা শুরু করলেন। এলাকার হাসপাতালগুলোকে বলে রাখলেন, জরুরি প্রয়োজনে তাদের কোন রোগীর রক্তের প্রয়োজন হলে যেন তাকে জানানো হয়।

অন্যদিকে তিনি হাসপাতালগুলোর সহায়তায় সাংগঠনিকভাবে পাড়া-মহল্লায় বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের ক্যাম্পিং শুরু করলেন। সেই থেকে রক্ত দেয়া-নেয়ার সঙ্গে আরও সুগভীর সম্পর্ক গড়ে উঠা শুরু হয়। যা বর্তমানে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী একটি শক্ত নেটওয়ার্কের ওপর দাঁড়িয়েছে।

রক্তসৈনিক নজরুল শুধু একা নন, তার এই মহতী কাজের একান্ত সঙ্গী এখন স্ত্রী আফসানা নাজনীন প্রিয়াও। প্রিয়া বিয়ের পর থেকে ৬ বছর ধরে স্বেচ্ছায় রক্তদানে লোকজনদের উৎসাহিত করছেন। রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের বিভিন্ন ক্যাম্পিংয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন। কারও রক্তের প্রয়োজন হলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে রক্তের জন্য আহ্বান জানানো, গ্রহীতার স্বজনদের সাথে দাতার সমন্বয় করিয়ে দেয়া ইত্যাদি কাজ করে যাচ্ছেন।

প্রিয়া জানান, নজরুলের সঙ্গে তার পরিচয়, কথা-বার্তা, সম্পর্ক এবং বিয়ে-রক্ত বিষয়ক কাজের মাধ্যমেই। তিনি জানান, ২০১৩ সালে একজনের রক্তের প্রয়োজনে নজরুলের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়। এরপর দুই বছর কেটে যায়, যোগাযোগ বিহিন। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি তারা ফেসবুকে সংযোগ হন। ১৪ তারিখ থেকে ম্যাসেঞ্জারে প্রথম চ্যাট হয় এবং প্রিয়া তার ভালো লাগার কথা জানান নজরুলকে। ২৩ তারিখ তাদের পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে হয়।

বর্তমানে সাড়ে ৪ বছরের ইসমাইল সিফাত নামের একমাত্র পুত্র সন্তানকে নিয়ে নজরুল-প্রিয়ার ছোট্ট সংসার। প্রিয়া জানান, বিয়ের পর থেকে রক্ত বিষয়ক অন্যান্য কাজ শুরু করলেও, ওজন কম থাকায় তিনি রক্তদাতাদের তালিকায় নিজের নাম যোগ করতে পারেননি।

১৯ এপ্রিল ২০১৮ সালে তিনি প্রথমবার রক্ত দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। এরপর বেবি ছোটসহ নানা সমস্যায় তার আবারও গ্যাপ পড়ে। চলতি বছর থেকে তিনি আবার শুরু করেছেন। এই বছরের তিনি দুইবার রক্তদান করেছেন। এখন থেকে তিনি নিয়মিত রক্তদাতার খাতায় নিজের নাম যুক্ত রাখবেন বলে জানালেন।

এদিকে ভৈরবে গড়ে ওঠা প্রায় ৩০টির মতো প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রায়ই জটিল অপারেশনের রোগীদের জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়। এখানে কোনো ব্লাডব্যাংক না থাকায় প্রয়োজনীয় রক্তের জন্য নির্ভর করতে হতো পেশাদার রক্তদাতাদের ওপর। আর এইসব পেশাদার রক্তদাতাদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হতো। অনেক সময় দেখা যেত তাদের কারও রক্তের হিমোগ্লোবিন কম, কারো বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ।

কিন্তু বর্তমানে নজরুলদের গ্রুপটি বিনামূল্যে স্বেচ্ছায় রক্ত দানের কাজটি করায় রক্তের সমস্যাটা পুরোপুরি কেটে গেছে। রাত-দিন যখনই তাদের কল করা হয়, রক্ত দিতে হাজির হয়ে যায় স্বেচ্ছাসেবকরা। এতে করে রোগীরা নির্ভেজাল রক্ত পাচ্ছেন। এইসব কথা জানালেন বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, ভৈরব শাখার সভাপতি ডা. আজিজুল হক স্বপন। তিনি নজরুলসহ তাদের পুরো টিমের জন্য শুভকামনা জানান।

বৃহস্পতিবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২২ , ২২ পৌষ ১৪২৮ ২ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

ভৈরবের ‘রক্তসৈনিক’ নজরুল দম্পতির রেকর্ড

সোহেল শাস্ত্রু, ভৈরব (কিশোগঞ্জ)

image

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) : রক্তদানে সচেতনতায় নজরুল দম্পতির সাইকেলে প্রচার -সংবাদ

১৯৯৯ সালে নিজের ১৮তম জন্মদিনে রক্ত দেওয়া শুরু। সে ধারাবাহিকতায় গত মাসে ১০০তম রক্তদানের রেকর্ড গড়েছেন। আর অসহায় মানুষের জীবন সংকটকালে রক্তদানে অন্যকে উৎসাহিত করে রক্ত নিচ্ছেন সেও দীর্ঘ ২১ বছর, অর্থাৎ ২০০০ সাল থেকে। স্বেচ্ছায় রক্তদানে মানুষকে সচেতন করতে দেশব্যাপী ঘুরে বেড়াচ্ছেন কখনও বাইসাইকেলে করে, কখনওবা পায়ে হেঁটে।

নিজ এলাকার অলি-গলি আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রক্তদানে উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করছেন প্রায় নিয়মিত। এইসব কাজের জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশাল এক স্বেচ্ছাসেবী কর্মীবাহিনী গড়ে তুলেছেন। মোবাইল ফোন আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক নির্ভর করে চালিয়ে যাচ্ছেন এই মহান মানবসেবা।

এমন মানবতাবাদী কাজের জন্য সমাজে তাকে ‘রক্তসৈনিক নজরুল’ হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। আর্থিক কোন লাভালাভ না পেলেও, মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসায় তিনি আজ সিক্ত ধনী-গরিব, সর্বমহলে। প্রশংসা আর পুরস্কারের ঝুলি তার কানায় কানায় ভরে উঠছে দিন কি দিন। প্রায়ই তিনি দেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে হচ্ছেন প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে। সন্ধানী নামের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি সংগঠন রক্ত সংগ্রহ করছে। নজরুল সেখানে যান রক্ত দিতে। কিন্তু তার বয়স ১৮ বছর থেকে মাত্র দুই মাস কম থাকায় সংগঠনটি রক্ত নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে নজরুল মনে যেমন দুঃখ পান, তেমনি জেদও পোষেন।

ওই বছরেরই ২৮ নভেম্বর তিনি ১৮ বছরে পদার্পণ করেন। রক্তদানের মাধ্যমে তার ১৮তম জন্মদিনকে স্মরণীয় করতে তিনি সেদিন চলে যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। খোঁজে বের করেন সন্ধানীর কর্মকর্তাদের। জীবনের প্রথম রক্তদান শুরু হয় তার সেদিন থেকে। এরপর থেকে তিনি ৪ মাস পর পর নিয়মিত রক্তদান করে যাচ্ছেন। গেল ৪ নভেম্বর তিনি তার শততম রক্তদানের একটি মাইলফলক অর্জন করেছেন।

নজরুল জানান, একটা সময় তিনি লক্ষ্য করলেন ঢাকা থেকে যারা আসেন তারা রক্ত সংগ্রহ করে নিয়ে যান। যারা রক্ত দিচ্ছেন, তাদের তালিকাও ঠিক মতো সংগ্রহে থাকে না এখানকার সংগঠকদের কাছে। ফলে স্থানীয় লোকজনের রক্তের প্রয়োজন হলে দাতাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না।

সেই ভাবনা মাথায় রেখে ২০০০ সাল থেকে তিনি একটি খাতায় দাতাদের নাম-ঠিকানা লিখে রাখা শুরু করলেন। এলাকার হাসপাতালগুলোকে বলে রাখলেন, জরুরি প্রয়োজনে তাদের কোন রোগীর রক্তের প্রয়োজন হলে যেন তাকে জানানো হয়।

অন্যদিকে তিনি হাসপাতালগুলোর সহায়তায় সাংগঠনিকভাবে পাড়া-মহল্লায় বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের ক্যাম্পিং শুরু করলেন। সেই থেকে রক্ত দেয়া-নেয়ার সঙ্গে আরও সুগভীর সম্পর্ক গড়ে উঠা শুরু হয়। যা বর্তমানে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী একটি শক্ত নেটওয়ার্কের ওপর দাঁড়িয়েছে।

রক্তসৈনিক নজরুল শুধু একা নন, তার এই মহতী কাজের একান্ত সঙ্গী এখন স্ত্রী আফসানা নাজনীন প্রিয়াও। প্রিয়া বিয়ের পর থেকে ৬ বছর ধরে স্বেচ্ছায় রক্তদানে লোকজনদের উৎসাহিত করছেন। রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের বিভিন্ন ক্যাম্পিংয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন। কারও রক্তের প্রয়োজন হলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে রক্তের জন্য আহ্বান জানানো, গ্রহীতার স্বজনদের সাথে দাতার সমন্বয় করিয়ে দেয়া ইত্যাদি কাজ করে যাচ্ছেন।

প্রিয়া জানান, নজরুলের সঙ্গে তার পরিচয়, কথা-বার্তা, সম্পর্ক এবং বিয়ে-রক্ত বিষয়ক কাজের মাধ্যমেই। তিনি জানান, ২০১৩ সালে একজনের রক্তের প্রয়োজনে নজরুলের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়। এরপর দুই বছর কেটে যায়, যোগাযোগ বিহিন। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি তারা ফেসবুকে সংযোগ হন। ১৪ তারিখ থেকে ম্যাসেঞ্জারে প্রথম চ্যাট হয় এবং প্রিয়া তার ভালো লাগার কথা জানান নজরুলকে। ২৩ তারিখ তাদের পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে হয়।

বর্তমানে সাড়ে ৪ বছরের ইসমাইল সিফাত নামের একমাত্র পুত্র সন্তানকে নিয়ে নজরুল-প্রিয়ার ছোট্ট সংসার। প্রিয়া জানান, বিয়ের পর থেকে রক্ত বিষয়ক অন্যান্য কাজ শুরু করলেও, ওজন কম থাকায় তিনি রক্তদাতাদের তালিকায় নিজের নাম যোগ করতে পারেননি।

১৯ এপ্রিল ২০১৮ সালে তিনি প্রথমবার রক্ত দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। এরপর বেবি ছোটসহ নানা সমস্যায় তার আবারও গ্যাপ পড়ে। চলতি বছর থেকে তিনি আবার শুরু করেছেন। এই বছরের তিনি দুইবার রক্তদান করেছেন। এখন থেকে তিনি নিয়মিত রক্তদাতার খাতায় নিজের নাম যুক্ত রাখবেন বলে জানালেন।

এদিকে ভৈরবে গড়ে ওঠা প্রায় ৩০টির মতো প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রায়ই জটিল অপারেশনের রোগীদের জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়। এখানে কোনো ব্লাডব্যাংক না থাকায় প্রয়োজনীয় রক্তের জন্য নির্ভর করতে হতো পেশাদার রক্তদাতাদের ওপর। আর এইসব পেশাদার রক্তদাতাদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হতো। অনেক সময় দেখা যেত তাদের কারও রক্তের হিমোগ্লোবিন কম, কারো বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ।

কিন্তু বর্তমানে নজরুলদের গ্রুপটি বিনামূল্যে স্বেচ্ছায় রক্ত দানের কাজটি করায় রক্তের সমস্যাটা পুরোপুরি কেটে গেছে। রাত-দিন যখনই তাদের কল করা হয়, রক্ত দিতে হাজির হয়ে যায় স্বেচ্ছাসেবকরা। এতে করে রোগীরা নির্ভেজাল রক্ত পাচ্ছেন। এইসব কথা জানালেন বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, ভৈরব শাখার সভাপতি ডা. আজিজুল হক স্বপন। তিনি নজরুলসহ তাদের পুরো টিমের জন্য শুভকামনা জানান।