চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উইঘুরদের মামলা

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগে ১১২ জন চীনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন উইঘুর জনগোষ্ঠীর ১৯ ব্যক্তি। তারা তুরস্কের একটি প্রসিকিউটর দপ্তরে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। চীন অবশ্য বরাবরই এ ধরনের বন্দী শিবিরের অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করে থাকে। তবে একপর্যায়ে এগুলোকে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে চীন দাবি করে, উগ্রবাদ দূর করতে সেখানে উইঘুর জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে কারিগরি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া উইঘুরদের ওপর গণহত্যার অভিযোগ অযৌক্তিক, হাস্যকর এবং ডাহা মিথ্যা বলেও দাবি করে থাকে বেইজিং।

তুরস্কে প্রায় ৫০ হাজার উইঘুর বসবাস করে। মধ্য এশিয়ার বাইরে এককভাবে শুধু তুর্কি ভূখ-েই এতো সংখ্যক উইঘুর মুসলিমের বাস রয়েছে। আল-জাজিরা বলছে, মঙ্গলবার ইস্তাাম্বুলের প্রধান প্রসিউটরের কার্যালয়ে চীনের ১১২ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেন ১৯ জন উইঘুর সদস্য। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে ওই প্রসিউটরের কার্যালয় থেকে বা তুরস্কে অবস্থিত চীনা দূতাবাস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ইস্তাম্বুলের প্রধান আদালতের বাইরে আইনজীবী গুলদেন সনমেজ জানান, ‘এই মামলার বিচারকাজ আরও আগেই শুরু করার উচিত ছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের। কিন্তু চীন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং এ কারণে এই পন্থায় বিচার সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।’

এসময় ইস্তাম্বুলের ওই আদালতের সামনে আইনজীবীকে ঘিরে পতাকা ও প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন অর্ধশতাধিক নারী ও পুরুষ। তারা সবাই তাদের পরিবারের নিখোঁজ সদস্যদের ছবি হাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আর তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে অভিযুক্ত চীনা কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২২ , ২২ পৌষ ১৪২৮ ২ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উইঘুরদের মামলা

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগে ১১২ জন চীনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন উইঘুর জনগোষ্ঠীর ১৯ ব্যক্তি। তারা তুরস্কের একটি প্রসিকিউটর দপ্তরে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। চীন অবশ্য বরাবরই এ ধরনের বন্দী শিবিরের অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করে থাকে। তবে একপর্যায়ে এগুলোকে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে চীন দাবি করে, উগ্রবাদ দূর করতে সেখানে উইঘুর জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে কারিগরি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া উইঘুরদের ওপর গণহত্যার অভিযোগ অযৌক্তিক, হাস্যকর এবং ডাহা মিথ্যা বলেও দাবি করে থাকে বেইজিং।

তুরস্কে প্রায় ৫০ হাজার উইঘুর বসবাস করে। মধ্য এশিয়ার বাইরে এককভাবে শুধু তুর্কি ভূখ-েই এতো সংখ্যক উইঘুর মুসলিমের বাস রয়েছে। আল-জাজিরা বলছে, মঙ্গলবার ইস্তাাম্বুলের প্রধান প্রসিউটরের কার্যালয়ে চীনের ১১২ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেন ১৯ জন উইঘুর সদস্য। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে ওই প্রসিউটরের কার্যালয় থেকে বা তুরস্কে অবস্থিত চীনা দূতাবাস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ইস্তাম্বুলের প্রধান আদালতের বাইরে আইনজীবী গুলদেন সনমেজ জানান, ‘এই মামলার বিচারকাজ আরও আগেই শুরু করার উচিত ছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের। কিন্তু চীন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং এ কারণে এই পন্থায় বিচার সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।’

এসময় ইস্তাম্বুলের ওই আদালতের সামনে আইনজীবীকে ঘিরে পতাকা ও প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন অর্ধশতাধিক নারী ও পুরুষ। তারা সবাই তাদের পরিবারের নিখোঁজ সদস্যদের ছবি হাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আর তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে অভিযুক্ত চীনা কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি জানানো হয়।