বিষণ্ণতাকে অবহেলা নয়

মন খারাপ ও বিষণ্ণতা মোটেই এক বিষয় নয়। মন খারাপ যে কোনো কারণেই হতে পারে। আমেরিকান সাইক্রিয়াটিক অ্যাসোসিয়েশন বিষণœতার নয়টি লক্ষণ উল্লেখ করে বলেছে- কারও মধ্যে এর অন্তত পাঁচটি টানা দু-সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে দেখা গেলে সেটি বিষণœতা হতে পারে। যেমন- দিনের বেশির ভাগ সময় মন খারাপ থাকা, যেসব কাজে আনন্দ পেত সেসব কাজে আনন্দ ও আগ্রহ কমে যাওয়া, ঘুম অস্বাভাবিকভাবে কমতে বা বাড়তে পারে, খাবারে অরুচি তৈরি হওয়া বা রুচি বেড়ে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়, কাজ ও চিন্তায় ধীরগতি, নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করা, সবকিছুর জন্য নিজেকে দায়ী মনে হওয়া, সিদ্ধান্তহীনতা বা মনোযোগ কমে যাওয়া এবং খুব তীব্র হলে আত্মহত্যার চিন্তা ও পরিকল্পনা করা ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে সর্বশেষ লক্ষণটি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর।

বিষণœতায় ভোগা মানুষেরা মনে করে আমার এ অবস্থার দায়ভার একান্তই আমার। তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। তাদের জীবনের প্রতি অনীহা চলে আসে। তারা ভাবে আমার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আমাকে দিয়ে আর কিছুই হবে না। আমি একটা বোঝা। আমি একটা অকর্মা। আমার বেঁচে থেকে কোনো লাভ নেই এবং এ পর্যায়ে তারা মৃত্যুকে স্বাগত জানায়!

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষণœতা অনেকটাই নিরাময়যোগ্য। তাই একে অবহেলা করা উচিত হবে না। বিষণœতা তিন ধরনের হয়- মৃদু, অল্প এবং বেশি। মৃদু বিষণœতা নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়। আবার অল্প বিষণœতা হলে কারও সঙ্গে শেয়ার করা বা সামাজিক মিথস্ক্রিয়া বাড়ালে হবে। যাদের সঙ্গ ভালো লাগে তাদের কাছে থাকা। মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে না যাওয়ার মাধ্যমেও কিছুটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। প্রয়োজনবোধে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

অনিক বনিক

বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২ , ৩০ চৈত্র ১৪২৮ ১১ রমাদ্বান ১৪৪৩

বিষণ্ণতাকে অবহেলা নয়

মন খারাপ ও বিষণ্ণতা মোটেই এক বিষয় নয়। মন খারাপ যে কোনো কারণেই হতে পারে। আমেরিকান সাইক্রিয়াটিক অ্যাসোসিয়েশন বিষণœতার নয়টি লক্ষণ উল্লেখ করে বলেছে- কারও মধ্যে এর অন্তত পাঁচটি টানা দু-সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে দেখা গেলে সেটি বিষণœতা হতে পারে। যেমন- দিনের বেশির ভাগ সময় মন খারাপ থাকা, যেসব কাজে আনন্দ পেত সেসব কাজে আনন্দ ও আগ্রহ কমে যাওয়া, ঘুম অস্বাভাবিকভাবে কমতে বা বাড়তে পারে, খাবারে অরুচি তৈরি হওয়া বা রুচি বেড়ে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়, কাজ ও চিন্তায় ধীরগতি, নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করা, সবকিছুর জন্য নিজেকে দায়ী মনে হওয়া, সিদ্ধান্তহীনতা বা মনোযোগ কমে যাওয়া এবং খুব তীব্র হলে আত্মহত্যার চিন্তা ও পরিকল্পনা করা ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে সর্বশেষ লক্ষণটি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর।

বিষণœতায় ভোগা মানুষেরা মনে করে আমার এ অবস্থার দায়ভার একান্তই আমার। তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। তাদের জীবনের প্রতি অনীহা চলে আসে। তারা ভাবে আমার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আমাকে দিয়ে আর কিছুই হবে না। আমি একটা বোঝা। আমি একটা অকর্মা। আমার বেঁচে থেকে কোনো লাভ নেই এবং এ পর্যায়ে তারা মৃত্যুকে স্বাগত জানায়!

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষণœতা অনেকটাই নিরাময়যোগ্য। তাই একে অবহেলা করা উচিত হবে না। বিষণœতা তিন ধরনের হয়- মৃদু, অল্প এবং বেশি। মৃদু বিষণœতা নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়। আবার অল্প বিষণœতা হলে কারও সঙ্গে শেয়ার করা বা সামাজিক মিথস্ক্রিয়া বাড়ালে হবে। যাদের সঙ্গ ভালো লাগে তাদের কাছে থাকা। মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে না যাওয়ার মাধ্যমেও কিছুটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। প্রয়োজনবোধে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

অনিক বনিক