নেটো ইস্যুতে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এরদোয়ান

সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। গত রবিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন জানিয়েছেন মাদ্রিদে নেটো সম্মেলনের আগে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন রয়টার্সকে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জেরে পশ্চিমা সামরিক জোট নেটো সদস্য পদ পেতে আবেদন করেছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। তবে এই আবেদনের বিরোধিতা করেছে তুরস্ক। তাদের দাবি হেলসিঙ্কি ও স্টকহোম কুর্দি গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে এবং আঙ্কারার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইব্রাহিম কালিন জানান, তিনি এবং ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেদাত ওনাল সোমবার ব্রাসেলসে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আরেক দফা আলোচনায় বসবেন। তিনি বলেন, ‘ন্যাটো মহাসচিবের অনুরোধে মাদ্রিদে আমাদের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিসহ নেতাপর্যায়ে একটি শীর্ষ সম্মেলন হবে।’

ইব্রাহিম কালিন আরও জানান, মঙ্গলবার সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনায় এরদোয়ানের উপস্থিতির ‘অর্থ এই নয় যেÑ আমরা আমাদের অবস্থান থেকে পিছু হটছি।

তিনি বলেন, তুরস্ক এবং নর্ডিক দেশগুলো বেশ কয়েকটি ইস্যুতে একমত হয়েছে আর সোমবার আলোচনার সময় যদি তারা তাদের বিষয়ে একমত হতে পারে তবে মাদ্রিদে আরও ভাল অবস্থানে থাকবে।

এই মুখপাত্র আরও বলেন, আমরা আলোচনাকে একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। এখান থেকে পিছিয়ে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এই মাসের শুরুতে তুরস্ক বলেছে আগের লিখিত দাবির জবাবে সুইডেন এবং ন্যাটোর কাছ থেকে পাওয়া নথিগুলো প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর যে কোন আলোচনার আগে তুরস্কের উদ্বেগের সমাধান করতে হবে। ইব্রাহিম কালিন আগে জানান মাদ্রিদ সম্মেলন কোন চূড়ান্ত সময়সীমা নয়।

আগামী ২৯ ও ৩০ জুন সম্মেলনে যোগ দেবেন ন্যাটো নেতারা। ন্যাটো জোটে কাউকে সদস্য করতে হলে জোটের ৩০ সদস্যের প্রত্যেকের অনুমোদন পেতে হয়। ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে পশ্চিমা জোটের সদস্য তুরস্ক এবং জোটটির দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনীও তাদের।

মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২ , ১৪ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলকদ ১৪৪৩

নেটো ইস্যুতে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এরদোয়ান

সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। গত রবিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন জানিয়েছেন মাদ্রিদে নেটো সম্মেলনের আগে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন রয়টার্সকে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জেরে পশ্চিমা সামরিক জোট নেটো সদস্য পদ পেতে আবেদন করেছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। তবে এই আবেদনের বিরোধিতা করেছে তুরস্ক। তাদের দাবি হেলসিঙ্কি ও স্টকহোম কুর্দি গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে এবং আঙ্কারার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইব্রাহিম কালিন জানান, তিনি এবং ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেদাত ওনাল সোমবার ব্রাসেলসে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আরেক দফা আলোচনায় বসবেন। তিনি বলেন, ‘ন্যাটো মহাসচিবের অনুরোধে মাদ্রিদে আমাদের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিসহ নেতাপর্যায়ে একটি শীর্ষ সম্মেলন হবে।’

ইব্রাহিম কালিন আরও জানান, মঙ্গলবার সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনায় এরদোয়ানের উপস্থিতির ‘অর্থ এই নয় যেÑ আমরা আমাদের অবস্থান থেকে পিছু হটছি।

তিনি বলেন, তুরস্ক এবং নর্ডিক দেশগুলো বেশ কয়েকটি ইস্যুতে একমত হয়েছে আর সোমবার আলোচনার সময় যদি তারা তাদের বিষয়ে একমত হতে পারে তবে মাদ্রিদে আরও ভাল অবস্থানে থাকবে।

এই মুখপাত্র আরও বলেন, আমরা আলোচনাকে একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। এখান থেকে পিছিয়ে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এই মাসের শুরুতে তুরস্ক বলেছে আগের লিখিত দাবির জবাবে সুইডেন এবং ন্যাটোর কাছ থেকে পাওয়া নথিগুলো প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর যে কোন আলোচনার আগে তুরস্কের উদ্বেগের সমাধান করতে হবে। ইব্রাহিম কালিন আগে জানান মাদ্রিদ সম্মেলন কোন চূড়ান্ত সময়সীমা নয়।

আগামী ২৯ ও ৩০ জুন সম্মেলনে যোগ দেবেন ন্যাটো নেতারা। ন্যাটো জোটে কাউকে সদস্য করতে হলে জোটের ৩০ সদস্যের প্রত্যেকের অনুমোদন পেতে হয়। ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে পশ্চিমা জোটের সদস্য তুরস্ক এবং জোটটির দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনীও তাদের।