রংপুরে পশু চিকিৎসককে নির্যাতন, ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে আদালতে তলব

রংপুর সদর থানার উত্তর মমিনপুর মুন্সিপাড়া গ্রামের পশু চিকিৎসক শ্যামল চন্দ্র দেবনাথকে তিন দিন আগে গ্রেপ্তার করে থানায় এনে একটি হত্যা মামলায় রাজসাক্ষী করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, থানার ওসিসহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের নজরে এলে ওই ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানো এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শ্যামল চন্দ্রের শরীরের জখম পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য রংপুরের সিভিল সার্জেন ও রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আদালতে তলব করা ৪ পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, রংপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-এ) মো. হুসাইন মুহাম্মদ রায়হান, মোস্তাফিজার রহমান ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহিনুর আলম, এস আই আসাদ।

রংপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ এর বিচারক আবু হেনা সিদ্দিকী গত শুক্রবার রাতে এ আদেশ প্রদান করে পুলিশের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে গভীর রাতে আসামি শ্যামল চন্দ্রকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে রংপুর সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আদালতের আদেশ এখনও পাওয়া যায়নি পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

রংপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৩ এর বিচারক মো. আবু হেনা সিদ্দিকী আদেশ নামায় উল্লেখ করেন, আসামি শ্যামল চন্দ্র দেবনাথকে অত্র আদালতের সামনে কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য উপস্থাপন করা হয়। আসামি স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক কিনা এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, যে হত্যার ঘটনা সম্পর্কে তাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে সে হত্যা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। বলেন, বরং পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যার বিষয়ে রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি-ধমকি এবং সাত দিনের রিমান্ডের কথা বলে পুলিশ।

পরবর্তীতে আসামি শ্যামল চন্দ্র দেবনাথ পুলিশ তার সঙ্গে কী কী করেছে তার নিজের স্বাক্ষর প্রদানপূর্বক আদালতের কাছে একটি অভিযোগনামা দাখিল করেন। আসামি তার লিখিত অভিযোগনামায় উল্লেখ করেন তিনি একজন পশু চিকিৎসক এবং সরকারি এ/আই টেকনেশিয়ান। গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রাণী চিকিৎসার কাজ শেষে রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে কোতয়ালি থানার এসআই আসাদসহ ৪ জন পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এরপর ওসি (তদন্ত) আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বলেন রামদাস হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত কি না। এ ধরনের অনেক প্রশ্ন করেন। শ্যামল জানান, রামদাসের পরিবারের সঙ্গে তার কোন খারাপ সম্পর্ক নেই। তখন আমাকে মামলায় রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য বলেন, সে সময় শ্যামল বলেন, তিনি কীভাবে রাজসাক্ষী হবেন তিনি তো ঘটনার কিছুই জানেন না।

এ সময় ওসি (তদন্ত) অনেক ধরনের রিমান্ডের ভয়ভীতি দেখান। রাত ১২টার দিকে ওসি তার চেম্বারে তাকে ডেকে বললেন, রামদাসকে কে মেরেছে সত্যি সত্যি বলো। এ সময় শ্যামল জানায়, যা আমি দেখি নাই তা কিভাবে বলবো। পরদিন তাকে ওসি সাহেবের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অনেক রকমের ভয়ভীতি দেখানো হলো হুমকি দেয়া হয়, বউ বাচ্চাকে হত্যা মামলায় ঢুকানো হবে। কিন্তু প্রথম থেকে বলে আসছি আমি ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না বলে জানান শ্যামল। তখন দুই হাতের হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে পুলিশের এ সার্কেল তাকে রাত সাড়ে ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা ধরে উপযুপরি আঘাত করে।

আদালত তার পর্যক্ষেণে বলেন, আসামির প্রদত্ত অভিযোগ ও মৌখিক বক্তব্যের ওপর আদালত আসামির শারীরিক পরীক্ষা করান। শারীরিক পরীক্ষায় দেখা যায়, আসামির কোমরের পেছন থেকে দুই নিতম্বসহ হাঁটুর উপর পর্যন্ত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আসামির শারীরিক পরীক্ষা করে তার দুই নিতম্ব ও নিম্নাংশে দুই হাঁটু পর্যন্ত কালো দাগ, লাল রক্ত জমাট অবস্থায় আদালত দেখতে পায়। এখান থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় আসামিকে থানা হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে। যা হেফাজতে মৃত্যু নিবারন আইন-২০১৩ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

আদালত তার আদেশে বলেন, হেফাজতে মৃত্যু নিবারন আইন ও সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদে নির্যাতন, নিষ্ঠুর ও অমানবিক, লাঞ্ছনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আসামি যত বড়ই অপরাধ করুক না কেন তার মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা সংবিধান প্রদান করেছে।

পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু আঘাত কিংবা আহতকরণ আইনের সুস্পষ্ট ব্যত্যয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই মামলায় আসামি শ্যামল চনন্দ্র দেবনাথকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা উক্ত আইনের লঙ্ঘন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সে কারণে রংপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ-সার্কেল মো. হুসাইন মুহাম্মদ রায়হান, ওসি মোস্তাফিজার রহমান ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহিনুর আলম, এসআই আসাদ এ চারজনের বিরুদ্ধে কেন হেফাজতে মৃত্যু নিবারন আইন-২০১৩ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না সেই মর্মে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে স্বশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হলো। সেইসঙ্গে সিভিল সার্জন ও জেল সুপারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামির শারীরিক পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সার্বিক বিষয়ে জানতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ-সার্কেল হোসাইন মুহাম্মদ রায়হানের সঙ্গে তার সরকারি মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর পরও কোন উত্তর মেলেনি। পরে রংপুরের পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন উত্তর মেলেনি কিংবা তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১০ আশ্বিন ১৪২৯ ২৮ সফর ১৪৪৪

রংপুরে পশু চিকিৎসককে নির্যাতন, ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে আদালতে তলব

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

রংপুর সদর থানার উত্তর মমিনপুর মুন্সিপাড়া গ্রামের পশু চিকিৎসক শ্যামল চন্দ্র দেবনাথকে তিন দিন আগে গ্রেপ্তার করে থানায় এনে একটি হত্যা মামলায় রাজসাক্ষী করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, থানার ওসিসহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের নজরে এলে ওই ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানো এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শ্যামল চন্দ্রের শরীরের জখম পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য রংপুরের সিভিল সার্জেন ও রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আদালতে তলব করা ৪ পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, রংপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-এ) মো. হুসাইন মুহাম্মদ রায়হান, মোস্তাফিজার রহমান ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহিনুর আলম, এস আই আসাদ।

রংপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ এর বিচারক আবু হেনা সিদ্দিকী গত শুক্রবার রাতে এ আদেশ প্রদান করে পুলিশের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে গভীর রাতে আসামি শ্যামল চন্দ্রকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে রংপুর সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আদালতের আদেশ এখনও পাওয়া যায়নি পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

রংপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৩ এর বিচারক মো. আবু হেনা সিদ্দিকী আদেশ নামায় উল্লেখ করেন, আসামি শ্যামল চন্দ্র দেবনাথকে অত্র আদালতের সামনে কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য উপস্থাপন করা হয়। আসামি স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক কিনা এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, যে হত্যার ঘটনা সম্পর্কে তাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে সে হত্যা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। বলেন, বরং পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যার বিষয়ে রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি-ধমকি এবং সাত দিনের রিমান্ডের কথা বলে পুলিশ।

পরবর্তীতে আসামি শ্যামল চন্দ্র দেবনাথ পুলিশ তার সঙ্গে কী কী করেছে তার নিজের স্বাক্ষর প্রদানপূর্বক আদালতের কাছে একটি অভিযোগনামা দাখিল করেন। আসামি তার লিখিত অভিযোগনামায় উল্লেখ করেন তিনি একজন পশু চিকিৎসক এবং সরকারি এ/আই টেকনেশিয়ান। গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রাণী চিকিৎসার কাজ শেষে রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে কোতয়ালি থানার এসআই আসাদসহ ৪ জন পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এরপর ওসি (তদন্ত) আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বলেন রামদাস হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত কি না। এ ধরনের অনেক প্রশ্ন করেন। শ্যামল জানান, রামদাসের পরিবারের সঙ্গে তার কোন খারাপ সম্পর্ক নেই। তখন আমাকে মামলায় রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য বলেন, সে সময় শ্যামল বলেন, তিনি কীভাবে রাজসাক্ষী হবেন তিনি তো ঘটনার কিছুই জানেন না।

এ সময় ওসি (তদন্ত) অনেক ধরনের রিমান্ডের ভয়ভীতি দেখান। রাত ১২টার দিকে ওসি তার চেম্বারে তাকে ডেকে বললেন, রামদাসকে কে মেরেছে সত্যি সত্যি বলো। এ সময় শ্যামল জানায়, যা আমি দেখি নাই তা কিভাবে বলবো। পরদিন তাকে ওসি সাহেবের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অনেক রকমের ভয়ভীতি দেখানো হলো হুমকি দেয়া হয়, বউ বাচ্চাকে হত্যা মামলায় ঢুকানো হবে। কিন্তু প্রথম থেকে বলে আসছি আমি ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না বলে জানান শ্যামল। তখন দুই হাতের হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে পুলিশের এ সার্কেল তাকে রাত সাড়ে ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা ধরে উপযুপরি আঘাত করে।

আদালত তার পর্যক্ষেণে বলেন, আসামির প্রদত্ত অভিযোগ ও মৌখিক বক্তব্যের ওপর আদালত আসামির শারীরিক পরীক্ষা করান। শারীরিক পরীক্ষায় দেখা যায়, আসামির কোমরের পেছন থেকে দুই নিতম্বসহ হাঁটুর উপর পর্যন্ত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আসামির শারীরিক পরীক্ষা করে তার দুই নিতম্ব ও নিম্নাংশে দুই হাঁটু পর্যন্ত কালো দাগ, লাল রক্ত জমাট অবস্থায় আদালত দেখতে পায়। এখান থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় আসামিকে থানা হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে। যা হেফাজতে মৃত্যু নিবারন আইন-২০১৩ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

আদালত তার আদেশে বলেন, হেফাজতে মৃত্যু নিবারন আইন ও সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদে নির্যাতন, নিষ্ঠুর ও অমানবিক, লাঞ্ছনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আসামি যত বড়ই অপরাধ করুক না কেন তার মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা সংবিধান প্রদান করেছে।

পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু আঘাত কিংবা আহতকরণ আইনের সুস্পষ্ট ব্যত্যয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই মামলায় আসামি শ্যামল চনন্দ্র দেবনাথকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা উক্ত আইনের লঙ্ঘন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সে কারণে রংপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ-সার্কেল মো. হুসাইন মুহাম্মদ রায়হান, ওসি মোস্তাফিজার রহমান ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহিনুর আলম, এসআই আসাদ এ চারজনের বিরুদ্ধে কেন হেফাজতে মৃত্যু নিবারন আইন-২০১৩ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না সেই মর্মে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে স্বশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হলো। সেইসঙ্গে সিভিল সার্জন ও জেল সুপারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামির শারীরিক পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সার্বিক বিষয়ে জানতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ-সার্কেল হোসাইন মুহাম্মদ রায়হানের সঙ্গে তার সরকারি মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর পরও কোন উত্তর মেলেনি। পরে রংপুরের পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন উত্তর মেলেনি কিংবা তিনি ফোন রিসিভ করেননি।