সর্বজনীন পেনশন চালু করতে চায় সরকার

বাজেটে ‘পেনশন অথরিটি’ গঠনের প্রস্তাব

আগামী তিন বছরের মধ্যেই সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন সুবিধা চালু করতে চায় সরকার। এজন্য আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তব্যে বলেন, ‘সরকারি পেনশনাররা দেশের সমগ্র জনগণের একটি ভগ্নাংশ মাত্র। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতসহ দেশের সমগ্র জনগণের জন্য সর্বজনীন পেশন ব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি ইউনিভার্সাল পেনশন অথরিটি দ্রুত গঠন করা হবে’।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বাজেটের আগেই ‘ইউনিভার্সাল পেনশন অথরিটি’ গঠনের কাজ শুরু হয়েছিল। এটিই এখন চূড়ান্ত করার কাজ চলছে বলেও জানা গেছে। এ অথরিটি পরবর্তী কার্যক্রম দৃশ্যমান করবে। বিশেষ করে বেসরকারি নিয়োগ কর্তৃপক্ষ কতটুকু সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করবে, তা নির্ধারণ করবে এ অথরিটি। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে গঠিত তহিবল পরিচালনার রূপরেখাও তারাই নির্ধারণ করবে।

এ প্রসঙ্গে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের পরিচালক অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এটি চালু করতে সময় লেগেছে ২০ বছর। দেশেও এটি বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে। তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে সর্বজনীন পেনশন হবে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে। এতে চাকরিজীবী এবং নিয়োগ কর্তৃপক্ষ উভয়েরই অংশগ্রহণ থাকবে। এজন্য গঠন করা হবে পৃথক একটি তহবিল। সরকারের অনুমোদিত এক বা একাধিক কোম্পানির মাধ্যমে এসব তহবিল পরিচালনা করা হবে।

সর্বজনীন পেনশন প্রথা চালুর প্রথম ঘোষণা দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর ধারাবাহিকতায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের মতে, জাতীয় নাগরিক পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে একটি ‘জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ’ গঠন। দ্বিতীয় অগ্রাধিকার হবে ‘জাতীয় পেনশন তহবিল গঠন’। এই তহবিলের বহুমুখী উৎস থাকতে পারে। প্রধান উৎস হবে ব্যক্তিশ্রেণীর আয়কর প্রদানকারীদের আয়করের একটি অংশ। অর্থাৎ প্রতিবছর যারা আয়কর দিয়ে থাকেন, তাদের আয়করের নির্দিষ্ট একটি অংশ (২-৩ শতাংশ) জাতীয় পেনশন তহবিলে হস্তান্তর করা হবে। দ্বিতীয় উৎস হিসেবে সরকার প্রতিবছর বাজেট থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ স্থানান্তর করবে। তৃতীয় উৎস হবে কর্মকর্তা-কর্মচারী (সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে) চাকরিজীবী নিজের এবং সংগঠনের প্রদেয় অংশ। এভাবে যে অর্থ প্রতিবছর জাতীয় পেনশন তহবিলে জমা হবে, তা সরকার বিভিন্ন লাভজনক কাজে বিনিয়োগ করে ওই তহবিলের আকার ও পরিমাপ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৮ লাখ সরকারি চাকরিজীবী অবসরে আছেন। তারা প্রত্যেকেই পেনশন পাচ্ছেন, যা কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মাত্র শতকরা ৫ ভাগ। এজন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ২৭ হাজার ১১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে মোট শ্রমশক্তির ৯৫ শতাংশই বেসরকারি খাতে নিয়োজিত। এর মধ্যে ১০ শতাংশ আনুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত। অর্থাৎ এসব খাতে নিয়োগপত্র, ছুটি ও ক্ষেত্রবিশেষ প্রভিডেন্ট ফান্ড আছে। কিন্তু তারা পেনশনের আওতায় নেই।

উল্লিখিত সংখ্যার বাইরেও দেশে প্রায় ৩৫ লাখ হতদরিদ্র আছে। যারা মাসিক ৪০০ টাকা হারে ভাতা পাচ্ছেন। তারা মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের সমান। কিন্তু তাদের ভাতার পরিমাণ মানসম্মত জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ট নয়। অপরদিকে দেশে গড় আয়ু ও প্রবীণদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি বাড়ছে। ফলে বাজেটে তাদের ভাতা বরাদ্দ দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এ আর্থিক ঝুঁকি মোকাবেলা করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সে জন্য বিদ্যমান সরকারি পেনশন কার্যক্রমের বাইরে বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরত সব কর্মজীবীকে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সর্বজনীন পেনশন প্রথা চালু করা হলে বেসরকারি পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত সব কর্মজীবী মানুষ এর আওতায় আসবে। এই স্কিমে নিবন্ধন করে একজন কর্মজীবী মাসিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা প্রদান করবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মজীবীর পেনশন হিসাবে জমা করবে। এছাড়া হতদরিদ্র শ্রমজীবীরা তাদের একটি অংশ জমা দেবে। পাশাপাশি তাদের পক্ষে সরকারও একটি অংশ অর্থ জমা করবে। এ ব্যবস্থাপনায় অর্থ পেনশন তহবিলে জমা হবে। এ তহবিল পরে বিনিয়োগ করা হবে। বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত আয় এবং মাসিক চাঁদা একসঙ্গে তহবিলে যুক্ত হবে। এ তহবিলের আয় থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অবসরকালীন বয়স থেকে পেনশন দেয়া হবে। যারা চাকরি করেছেন এবং সরকারকে কর দিয়েছেন, সাধারণভাবে এ ধরনের বয়স্কদের জন্য পৃথকভাবে অন্য কোন সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম যথা স্বাস্থ্য, আবাসন ও নিয়মিত আয়ের কোন ব্যবস্থা নেই। এমনকি স্বকর্মে নিয়োজিত, ব্যবসায়ী, কৃষক, শ্রমিক, বেসরকারি চাকরিজীবী, যারা সারা জীবন বা জীবনের একটি বড় সময় রাষ্ট্রকে নিয়মিত কর দিয়ে এসেছেন, তাদের জন্য কোনরূপ পেনশন ব্যবস্থা এ দেশে নেই। তাদেরও পেনশনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া যারা নিয়োগপত্র ছাড়াই কর্মজীবনে আছেন যেমন- একজন রিকশাচালকও এ পেনশনের আওতায় আসতে পারবেন।

আরও খবর
পাঁচ প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতি
ব্যর্থতার দায় স্বীকার জাতিসংঘের
ড্রেসিং রুমে কেউই মনে করেননি কাজটা কঠিন হবে : সাকিব
সাকিব-লিটনের অবিস্মরণীয় জুটিতে বাংলাদেশের স্বপ্ন সফল হতে পারে
আবার ইংল্যান্ডের রানের পাহাড়
মানহানির দুই মামলায় খালেদার জামিন
ফলের রাসায়নিক পরীক্ষার যন্ত্র নেই
ডিআইজি মিজানের শাস্তির ব্যবস্থা হচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংসে এক মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট
এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ সমাপ্ত ২০২২ সালে
আসামি রুহুলের মুক্তি চেয়ে আ’লীগের নামে পোস্টার
বিলুপ্তির পথে শিল্পী পাখি বাবুইয়ের গড়া নীড়
মোবাইলের মাধ্যমে চলছে মাদক ব্যবসা

বুধবার, ১৯ জুন ২০১৯ , ৫ আষাঢ় ১৪২৫, ১৫ শাওয়াল ১৪৪০

তিন বছরের মধ্যে

সর্বজনীন পেনশন চালু করতে চায় সরকার

বাজেটে ‘পেনশন অথরিটি’ গঠনের প্রস্তাব

রোকন মাহমুদ

আগামী তিন বছরের মধ্যেই সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন সুবিধা চালু করতে চায় সরকার। এজন্য আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তব্যে বলেন, ‘সরকারি পেনশনাররা দেশের সমগ্র জনগণের একটি ভগ্নাংশ মাত্র। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতসহ দেশের সমগ্র জনগণের জন্য সর্বজনীন পেশন ব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি ইউনিভার্সাল পেনশন অথরিটি দ্রুত গঠন করা হবে’।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বাজেটের আগেই ‘ইউনিভার্সাল পেনশন অথরিটি’ গঠনের কাজ শুরু হয়েছিল। এটিই এখন চূড়ান্ত করার কাজ চলছে বলেও জানা গেছে। এ অথরিটি পরবর্তী কার্যক্রম দৃশ্যমান করবে। বিশেষ করে বেসরকারি নিয়োগ কর্তৃপক্ষ কতটুকু সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করবে, তা নির্ধারণ করবে এ অথরিটি। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে গঠিত তহিবল পরিচালনার রূপরেখাও তারাই নির্ধারণ করবে।

এ প্রসঙ্গে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের পরিচালক অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এটি চালু করতে সময় লেগেছে ২০ বছর। দেশেও এটি বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে। তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে সর্বজনীন পেনশন হবে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে। এতে চাকরিজীবী এবং নিয়োগ কর্তৃপক্ষ উভয়েরই অংশগ্রহণ থাকবে। এজন্য গঠন করা হবে পৃথক একটি তহবিল। সরকারের অনুমোদিত এক বা একাধিক কোম্পানির মাধ্যমে এসব তহবিল পরিচালনা করা হবে।

সর্বজনীন পেনশন প্রথা চালুর প্রথম ঘোষণা দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর ধারাবাহিকতায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের মতে, জাতীয় নাগরিক পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে একটি ‘জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ’ গঠন। দ্বিতীয় অগ্রাধিকার হবে ‘জাতীয় পেনশন তহবিল গঠন’। এই তহবিলের বহুমুখী উৎস থাকতে পারে। প্রধান উৎস হবে ব্যক্তিশ্রেণীর আয়কর প্রদানকারীদের আয়করের একটি অংশ। অর্থাৎ প্রতিবছর যারা আয়কর দিয়ে থাকেন, তাদের আয়করের নির্দিষ্ট একটি অংশ (২-৩ শতাংশ) জাতীয় পেনশন তহবিলে হস্তান্তর করা হবে। দ্বিতীয় উৎস হিসেবে সরকার প্রতিবছর বাজেট থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ স্থানান্তর করবে। তৃতীয় উৎস হবে কর্মকর্তা-কর্মচারী (সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে) চাকরিজীবী নিজের এবং সংগঠনের প্রদেয় অংশ। এভাবে যে অর্থ প্রতিবছর জাতীয় পেনশন তহবিলে জমা হবে, তা সরকার বিভিন্ন লাভজনক কাজে বিনিয়োগ করে ওই তহবিলের আকার ও পরিমাপ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৮ লাখ সরকারি চাকরিজীবী অবসরে আছেন। তারা প্রত্যেকেই পেনশন পাচ্ছেন, যা কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মাত্র শতকরা ৫ ভাগ। এজন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ২৭ হাজার ১১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে মোট শ্রমশক্তির ৯৫ শতাংশই বেসরকারি খাতে নিয়োজিত। এর মধ্যে ১০ শতাংশ আনুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত। অর্থাৎ এসব খাতে নিয়োগপত্র, ছুটি ও ক্ষেত্রবিশেষ প্রভিডেন্ট ফান্ড আছে। কিন্তু তারা পেনশনের আওতায় নেই।

উল্লিখিত সংখ্যার বাইরেও দেশে প্রায় ৩৫ লাখ হতদরিদ্র আছে। যারা মাসিক ৪০০ টাকা হারে ভাতা পাচ্ছেন। তারা মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের সমান। কিন্তু তাদের ভাতার পরিমাণ মানসম্মত জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ট নয়। অপরদিকে দেশে গড় আয়ু ও প্রবীণদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি বাড়ছে। ফলে বাজেটে তাদের ভাতা বরাদ্দ দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এ আর্থিক ঝুঁকি মোকাবেলা করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সে জন্য বিদ্যমান সরকারি পেনশন কার্যক্রমের বাইরে বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরত সব কর্মজীবীকে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সর্বজনীন পেনশন প্রথা চালু করা হলে বেসরকারি পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত সব কর্মজীবী মানুষ এর আওতায় আসবে। এই স্কিমে নিবন্ধন করে একজন কর্মজীবী মাসিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা প্রদান করবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মজীবীর পেনশন হিসাবে জমা করবে। এছাড়া হতদরিদ্র শ্রমজীবীরা তাদের একটি অংশ জমা দেবে। পাশাপাশি তাদের পক্ষে সরকারও একটি অংশ অর্থ জমা করবে। এ ব্যবস্থাপনায় অর্থ পেনশন তহবিলে জমা হবে। এ তহবিল পরে বিনিয়োগ করা হবে। বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত আয় এবং মাসিক চাঁদা একসঙ্গে তহবিলে যুক্ত হবে। এ তহবিলের আয় থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অবসরকালীন বয়স থেকে পেনশন দেয়া হবে। যারা চাকরি করেছেন এবং সরকারকে কর দিয়েছেন, সাধারণভাবে এ ধরনের বয়স্কদের জন্য পৃথকভাবে অন্য কোন সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম যথা স্বাস্থ্য, আবাসন ও নিয়মিত আয়ের কোন ব্যবস্থা নেই। এমনকি স্বকর্মে নিয়োজিত, ব্যবসায়ী, কৃষক, শ্রমিক, বেসরকারি চাকরিজীবী, যারা সারা জীবন বা জীবনের একটি বড় সময় রাষ্ট্রকে নিয়মিত কর দিয়ে এসেছেন, তাদের জন্য কোনরূপ পেনশন ব্যবস্থা এ দেশে নেই। তাদেরও পেনশনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া যারা নিয়োগপত্র ছাড়াই কর্মজীবনে আছেন যেমন- একজন রিকশাচালকও এ পেনশনের আওতায় আসতে পারবেন।