ট্রাম্পের বর্ণবাদী টুইটের নিন্দা মার্কেলের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্ণবাদী টুইটার বার্তার নিন্দা করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। ট্রাম্পের বর্ণবাদী টুইটার বার্তা তার ‘আমেরিকা ফাস্ট নীতি’ বিরোধী বলে গত শুক্রবার এ মন্তব্য করেন মার্কেল।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় লিখেন, ‘খুবই অবাক লাগে দেখতে যখন প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসের নারী সদস্যরা, যারা এমন দেশে থেকে এসেছেন যেখানে তাদের সরকার বিপর্যস্ত, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং সবচেয়ে অদক্ষ, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এসে এখানকার মানুষদের বলছে কীভাবে আমাদের সরকার পরিচালনা করতে হবে।’ তিনি আরও লিখেন, ‘তারা কেন তাদের নিজেদের অপরাধপ্রবণ দেশে ফিরে গিয়ে তাদের পরিস্থিতির উন্নয়ন করে না! তারপর ফিরে এসে আমাদের জানালেই পারে যে কীভাবে সে কাজ করল তারা।’ যে চার নারী সদস্যকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বর্ণবাদী টুইটার বার্তা লিখেছেন তারা হলেন- আলেক্সজান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো কর্টেজ, রাশিদা তালিব, আয়ান্না প্রেসলি এবং ইলহান ওমর। এদের মধ্যে প্রথম তিনজনের জন্ম ও বেড়ে উঠা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই। চতুর্থ জন ইলহান ওমর শিশু বয়সেই যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হন।

ট্রাম্পের এ জাতিগত বিদ্বেষ বক্তব্যের জন্য সমালোচনার ঝড় বইছে। জার্মান চ্যান্সেলর ডেমোক্র্যাট দলের নারী সদস্যের প্রতি সহমর্মিতা পোষণ করেন। তিনি বলেন, ?‘বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শক্তিশালী করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অভিবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। ‘ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, ট্রাম্পের বক্তব্য সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরর্ডানও ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।

রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯ , ৬ শ্রাবন ১৪২৫, ১৭ জিলকদ ১৪৪০

ট্রাম্পের বর্ণবাদী টুইটের নিন্দা মার্কেলের

সংবাদ ডেস্কব

image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্ণবাদী টুইটার বার্তার নিন্দা করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। ট্রাম্পের বর্ণবাদী টুইটার বার্তা তার ‘আমেরিকা ফাস্ট নীতি’ বিরোধী বলে গত শুক্রবার এ মন্তব্য করেন মার্কেল।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় লিখেন, ‘খুবই অবাক লাগে দেখতে যখন প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসের নারী সদস্যরা, যারা এমন দেশে থেকে এসেছেন যেখানে তাদের সরকার বিপর্যস্ত, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং সবচেয়ে অদক্ষ, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এসে এখানকার মানুষদের বলছে কীভাবে আমাদের সরকার পরিচালনা করতে হবে।’ তিনি আরও লিখেন, ‘তারা কেন তাদের নিজেদের অপরাধপ্রবণ দেশে ফিরে গিয়ে তাদের পরিস্থিতির উন্নয়ন করে না! তারপর ফিরে এসে আমাদের জানালেই পারে যে কীভাবে সে কাজ করল তারা।’ যে চার নারী সদস্যকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বর্ণবাদী টুইটার বার্তা লিখেছেন তারা হলেন- আলেক্সজান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো কর্টেজ, রাশিদা তালিব, আয়ান্না প্রেসলি এবং ইলহান ওমর। এদের মধ্যে প্রথম তিনজনের জন্ম ও বেড়ে উঠা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই। চতুর্থ জন ইলহান ওমর শিশু বয়সেই যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হন।

ট্রাম্পের এ জাতিগত বিদ্বেষ বক্তব্যের জন্য সমালোচনার ঝড় বইছে। জার্মান চ্যান্সেলর ডেমোক্র্যাট দলের নারী সদস্যের প্রতি সহমর্মিতা পোষণ করেন। তিনি বলেন, ?‘বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শক্তিশালী করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অভিবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। ‘ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, ট্রাম্পের বক্তব্য সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরর্ডানও ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।