স্মারক ডাকটিকিট জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে সৃজনশীল সংযোগের অসাধারণ এক সেতুবন্ধন। ডাকটিকিট সংগ্রহে বয়সের কোন সীমাবদ্ধতা নেই বলে এটি শখ হিসেবে সারা বিশে^ সমাদৃত। তাই ডাকটিকিট সংগ্রহের শখটি আরও জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য বাংলাদেশ ডাক অধিদফতর এবং ফেলাটেলিক ফেডারেশনসহ সংশ্লিষ্টদের আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গতকাল রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ডাকটিকিট প্রদর্শনী ‘বাংলাপেক্স -২০১৯’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ও বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র, বাংলাদেশ ফিলাটিব অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী শরীফুল আলম এবং বাংলাপেক্স সাংগঠনিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এটিএম আনোয়ারুল কাদির বক্তব্য দেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জাতীয় ডাকটিকিট প্রদর্শনী উপলক্ষে দশ টাকা মূল্যমানের একটি ওভারপ্রিন্ট অবমুক্ত করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্য মুজিবনগর সরকার ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই প্রবাসী বাঙালি বিমান মল্লিক নকশাকৃত বাংলাদেশ শিরোনামে ৮টি ডাকটিকিটের একটি সেট লন্ডন এবং মুজিবনগরে একযোগে প্রকাশ করে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা সংগ্রামে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টিতে এই ডাকটিকিটের অবিস্মরণীয় ভূমিকা রয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে ডাক বিভাগের ভূমিকা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছানোর সক্ষমতা ডাক অধিদফতরের রয়েছে। এই সক্ষমতা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগাতে চাই। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় দেশের প্রতিটি ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘর হিসেবে দেশের তৃণমূল জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল সরকারি সেবা প্রদানের সক্ষম হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ডাকঘর সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে ডিজিটাল রূপান্তর ঘটাবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তর করে শহরের ডিজিটাল সেবাগুলো বিশেষ করে জনগণের জন্য সরকারের ৯০০টি ডিজিটাল সেবা জনগণ ঘরে বসে পাবেন, ডাকঘর থেকেও দেয়া হবে।
রবিবার, ২৮ জুলাই ২০১৯ , ১৩ শ্রাবন ১৪২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪০
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
স্মারক ডাকটিকিট জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে সৃজনশীল সংযোগের অসাধারণ এক সেতুবন্ধন। ডাকটিকিট সংগ্রহে বয়সের কোন সীমাবদ্ধতা নেই বলে এটি শখ হিসেবে সারা বিশে^ সমাদৃত। তাই ডাকটিকিট সংগ্রহের শখটি আরও জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য বাংলাদেশ ডাক অধিদফতর এবং ফেলাটেলিক ফেডারেশনসহ সংশ্লিষ্টদের আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গতকাল রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ডাকটিকিট প্রদর্শনী ‘বাংলাপেক্স -২০১৯’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ও বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র, বাংলাদেশ ফিলাটিব অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী শরীফুল আলম এবং বাংলাপেক্স সাংগঠনিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এটিএম আনোয়ারুল কাদির বক্তব্য দেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জাতীয় ডাকটিকিট প্রদর্শনী উপলক্ষে দশ টাকা মূল্যমানের একটি ওভারপ্রিন্ট অবমুক্ত করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্য মুজিবনগর সরকার ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই প্রবাসী বাঙালি বিমান মল্লিক নকশাকৃত বাংলাদেশ শিরোনামে ৮টি ডাকটিকিটের একটি সেট লন্ডন এবং মুজিবনগরে একযোগে প্রকাশ করে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা সংগ্রামে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টিতে এই ডাকটিকিটের অবিস্মরণীয় ভূমিকা রয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে ডাক বিভাগের ভূমিকা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছানোর সক্ষমতা ডাক অধিদফতরের রয়েছে। এই সক্ষমতা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগাতে চাই। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় দেশের প্রতিটি ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘর হিসেবে দেশের তৃণমূল জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল সরকারি সেবা প্রদানের সক্ষম হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ডাকঘর সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে ডিজিটাল রূপান্তর ঘটাবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তর করে শহরের ডিজিটাল সেবাগুলো বিশেষ করে জনগণের জন্য সরকারের ৯০০টি ডিজিটাল সেবা জনগণ ঘরে বসে পাবেন, ডাকঘর থেকেও দেয়া হবে।