ডেঙ্গু পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ

রাজধানী ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে -স্বাস্থ্য অধিদফতর

পুরো ঢাকা শহরই ডেঙ্গুর ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গতকাল মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদফতরে ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিদফতরে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কলাম আজাদ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে রাজধানী ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিতকরণে জরিপ করেছে। জরিপের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জরিপের ডাটা সংগ্রহের কাজ আমরা শেষ করেছি। সব কাজ শেষ হওয়ার পরে আমরা এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে জানাতে পারব। তবে এখন পুরো ঢাকা শহরই ঝুঁকিপূর্ণ।

এদিকে, বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে করে ডেঙ্গু টেস্টের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রাথমিকভাবে ডেঙ্গুর যে পরীক্ষাগুলো রয়েছে সেগুলো সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এবং বেসরকারি হাসপাতালে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের মালিক সমিতিও এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরে মহাপরিচালক জানান, প্রতিটা হাসপাতালে একটা করে হেল্প ডেস্ক বসবে। ডেঙ্গু আক্রন্তরা এই হেল্প ডেস্কে গিয়ে যেকোন তথ্য নিতে পারবেন। এছাড়াও হাসপাতালগুলো মনিটর করার জন্য দশটি মনিটরিং টিম করা হবে, প্রতি টিমে তিন জন সদস্য থাকবেন, যারা ডেঙ্গুর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনিটর করবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরকে অবহিত করবে। তিনি আরও বলেন, সেবার ব্যাপারে কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে হবে। কোন ছাড় দেয়া চলবে না।

সভায় ডেঙ্গু টেস্টের মূল্য নির্ধারণসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। নিম্নে এগুলো তুলে ধরা হলো : ১) ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের জন্য টেস্টগুলোর মূল্য নিম্নরূপ হবে : ক) এনএস১- ৫০০ টাকা (সর্বোচ্চ); পূর্বমূল্য ছিল ১২০০-২০০০ টাকা। খ) আইজিএম+আইজিইএ অথবা আইজিএম/আইজিই- ৫০০ টাকা (সর্বোচ্চ), যার পূর্বমূল্য ছিল ৮০০-১৬০০ টাকা গ) সিবিসি- ৪০০ টাকা (সর্বোচ্চ), যার পূর্বমূল্য ছিল ১০০০ টাকা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই মূল্য তালিকা রোববার থেকে কার্যকর হবে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এই মূল্য তালিকা কার্যকর থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সব প্রাইভেট হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য একটি ‘ওয়ান স্টপ সেন্টার’ চালু করবে। সব হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যার অনুপাতে ডাক্তার, নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল বৃদ্ধি করা হবে।

সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯ , ১৪ শ্রাবন ১৪২৫, ২৫ জিলকদ ১৪৪০

ডেঙ্গু পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ

রাজধানী ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে -স্বাস্থ্য অধিদফতর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পুরো ঢাকা শহরই ডেঙ্গুর ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গতকাল মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদফতরে ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিদফতরে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কলাম আজাদ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে রাজধানী ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিতকরণে জরিপ করেছে। জরিপের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জরিপের ডাটা সংগ্রহের কাজ আমরা শেষ করেছি। সব কাজ শেষ হওয়ার পরে আমরা এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে জানাতে পারব। তবে এখন পুরো ঢাকা শহরই ঝুঁকিপূর্ণ।

এদিকে, বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে করে ডেঙ্গু টেস্টের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রাথমিকভাবে ডেঙ্গুর যে পরীক্ষাগুলো রয়েছে সেগুলো সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এবং বেসরকারি হাসপাতালে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের মালিক সমিতিও এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরে মহাপরিচালক জানান, প্রতিটা হাসপাতালে একটা করে হেল্প ডেস্ক বসবে। ডেঙ্গু আক্রন্তরা এই হেল্প ডেস্কে গিয়ে যেকোন তথ্য নিতে পারবেন। এছাড়াও হাসপাতালগুলো মনিটর করার জন্য দশটি মনিটরিং টিম করা হবে, প্রতি টিমে তিন জন সদস্য থাকবেন, যারা ডেঙ্গুর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনিটর করবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরকে অবহিত করবে। তিনি আরও বলেন, সেবার ব্যাপারে কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে হবে। কোন ছাড় দেয়া চলবে না।

সভায় ডেঙ্গু টেস্টের মূল্য নির্ধারণসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। নিম্নে এগুলো তুলে ধরা হলো : ১) ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের জন্য টেস্টগুলোর মূল্য নিম্নরূপ হবে : ক) এনএস১- ৫০০ টাকা (সর্বোচ্চ); পূর্বমূল্য ছিল ১২০০-২০০০ টাকা। খ) আইজিএম+আইজিইএ অথবা আইজিএম/আইজিই- ৫০০ টাকা (সর্বোচ্চ), যার পূর্বমূল্য ছিল ৮০০-১৬০০ টাকা গ) সিবিসি- ৪০০ টাকা (সর্বোচ্চ), যার পূর্বমূল্য ছিল ১০০০ টাকা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই মূল্য তালিকা রোববার থেকে কার্যকর হবে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এই মূল্য তালিকা কার্যকর থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সব প্রাইভেট হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য একটি ‘ওয়ান স্টপ সেন্টার’ চালু করবে। সব হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যার অনুপাতে ডাক্তার, নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল বৃদ্ধি করা হবে।