অনেক মামলার অভিযোগপত্র থেকে নেতাদের নাম বাদ দেয়া হয় কৌশলে

আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় রহস্য উদ্ঘাটনে ভূমিকা রাখায় ক্ষুব্ধ হয়ে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মামলায় ফাঁসিয়ে গেলেন ফেনী থেকে প্রত্যাহার হওয়া এসপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার। নিজের ক্ষোভ মেটাতে এসিআরের ভয় দেখিয়ে ফেনীর বিভিন্ন থানায় তদন্তাধীন মামলায় অভিযোগপত্রে সাংবাদিকদের নাম দিতে সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করেন কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে প্রত্যাহার হওয়া এসপি জাহাঙ্গীর সরকার। এসব মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্র পর্যালোচনায় বেরিয়ে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। এছাড়া বিতর্কিত এ পুলিশ সুপারের নানা কর্মকান্ডও এখন মানুষের মুখে মুখে। জেলার ছাগলনাইয়া থানায় করা এমন একটি মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্র দৈনিক সংবাদের হাতে এসেছে।

ওই এজাহারটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে জেলার ছাগলনাইয়া থানার এসআই মো. শহীদুল ইসলাম মামলাটি করেন। মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘ঘটনার পর গ্রেফতার হওয়া আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ফেনী জেলার জামায়াতে ইসলামী নেতা একেএম সামছুদ্দিন, ছাগলনাইয়া উপজেলার জামায়াতে ইসলামী নেতা মো. মজিবুর রহমান, পেয়ার আহমেদ ও খোরশেদদের নির্দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে নাশকতা এবং অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকা- করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা করার জন্য লিফলেট ও বারুদসহ তারা সমবেত হয়।’ মামলার দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে আসামির তালিকায় উল্লেখিত জামায়াত নেতাদের বাদ দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, উল্লেখিত জামায়াত নেতারা ‘ঘটনার সহিত জড়িত থাকার বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাইলেও তাহারা পলাতক থাকায় এবং তাহাদের সঠিক নাম-ঠিকানা না থাকায় তাহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা সম্ভব হইতেছে না।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, একেএম সামছুদ্দিন জেলা জামায়াতের আমির, মজিবুর রহমান ছাগলনাইয়া উপজেলা জামায়াতের আমির ও পেয়ার আহমেদ পৌর জামায়াতের আমির। তারা একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছেন। এমনকি তারা নিজ নিজ বাসাবাড়িতে অবস্থান করেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে। জামায়াত নেতাদের আড়াল করতে পুলিশের এমন ভূমিকায় হতবাক সচেতন মহল।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের অভিযোগ, পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর সরকারকে ম্যানেজ করেই ওই মামলা থেকে জামায়াত নেতারা রেহাই পেয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তার সঙ্গে সখ্য ছিলÑ এমন কয়েক সাবেক শিবির নেতার যোগসাজশে জাহাঙ্গীর সরকার ফেনী অবস্থানকালীন বিভিন্নভাবে জামায়াত নেতাদের কাছ থেকে সুবিধা নিতেন। অভিেেযাগ রয়েছে, আর এভাবেই কৌশলে পার পেয়ে যান জামায়াত নেতারা। ছাগলনাইয়ার এ মামলা থেকে জামায়াতের তিন শীর্ষ নেতাকে বাদ দিতে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এসপি জাহাঙ্গীর সরকারসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এসপির চাপে তড়িঘড়ি করে ৭ মে অভিযোগপত্রটি দাখিল করা হয়। তিনি চারজনের নাম সংবলিত একটি তালিকা ধরিয়ে দিয়ে তাদের তদন্তাধীন ওই মামলায় আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দিলে স্বল্প সময়ের মধ্যেই অভিযোগপত্রটি তৈরি করা হয়। অভিযোগপত্রে জামায়াত নেতাদের বাদ দিয়ে ওই চারজনকে আসামি করা হয়। তাদের পরিচয় সম্পর্কে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা খোরশেদ আলম অবহিত ছিলেন না বলে সংবাদকে জানান।

জানতে চাইলে থানার ওসি (তদন্ত) সুদ্বীপ রায় বলেন, বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তাই ভালো জানেন।

প্রসঙ্গত, বহুল আলোচিত ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনাকে শুরু থেকেই ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন আত্মহত্যা বলে চালিয়ে যান। আর তার পক্ষে অবস্থান নেন পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার। শুধু তা-ই নয়- যখন এ ঘটনা নিয়ে দেশ-বিদেশে গণমাধ্যমে তোলপাড়, তখন ওসির পক্ষে সাফাই গেয়ে সদর দফতরে চিঠি লেখেন এসপি জাহাঙ্গীর সরকার। বর্বরোচিত এ ঘটনায় করা মামলাতেও অধ্যক্ষ সিরাজসহ কয়েকজনকে আসামি না করতে চেষ্টা করেন এসপি-ওসি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনা ও সাংবাদিকদের দৃঢ় অবস্থানের কারণে ক্রমেই ঘটনার জট খুলতে থাকে। একপর্যায়ে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হলে ঘটনায় জড়িতরা গ্রেফতার হয়। অন্যদিকে পুলিশ সদর দফতরের তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হয়ে বরখাস্ত হন ওসি মোয়াজ্জেম। কর্তব্যে অবহেলার দায়ে প্রত্যাহার হয়ে সদর দফতরে সংযুক্ত হন এসপি জাহাঙ্গীর সরকার। আরও দুই পুলিশ সদস্যকেও প্রত্যাহার করে পার্বত্য অঞ্চলে সংযুক্ত করা হয়। এতে গণমাধ্যমের ওপর ক্ষিপ্ত হন এসপি-ওসি।

একপর্যায়ে ফেনী ছাড়ার আগে বিভিন্ন থানায় চার সাংবাদিক দৈনিক ফেনীর সময় ও সাপ্তাহিক আলোকিত ফেনী সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, দৈনিক অধিকার প্রতিনিধি ও ফেনী রিপোর্ট সম্পাদক এসএম ইউসুফ আলী, বাংলানিউজ স্টাফ করসপন্ডেন্ট ও সাপ্তাহিক হকার্স বার্তা সম্পাদক সোলায়মান হাজারী ডালিম, দৈনিক সমায়ের আলো প্রতিনিধি ও স্টার লাইনের স্টাফ রিপোর্টার মাঈন উদ্দিন পাটোয়ারীকে আসামি করে চার্জশিট জমা দিতে সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করেন। এছাড়া ছাগলনাইয়া সমঝোতা হওয়া একটি মামলাতেও স্থানীয় যুগান্তর প্রতিনিধি নুরুজ্জামান সুমন ও ছাগলনাইয়া ডটকম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির লিটনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। অন্যদিকে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের (বরখাস্ত হওয়া, বর্তমানে কারাগারে) মোবাইল ফোনে ধারণকৃত নুসরাতের জবানবন্দির ভিডিও ফুটেজ চুরির অভিযোগ এনে সময় টিভির রিপোর্টার আতিয়ার সজলের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯ , ১৪ শ্রাবন ১৪২৫, ২৫ জিলকদ ১৪৪০

এসপি জাহাঙ্গীরের জামায়াতপ্রীতি!

অনেক মামলার অভিযোগপত্র থেকে নেতাদের নাম বাদ দেয়া হয় কৌশলে

প্রতিনিধি, ফেনী

আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় রহস্য উদ্ঘাটনে ভূমিকা রাখায় ক্ষুব্ধ হয়ে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মামলায় ফাঁসিয়ে গেলেন ফেনী থেকে প্রত্যাহার হওয়া এসপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার। নিজের ক্ষোভ মেটাতে এসিআরের ভয় দেখিয়ে ফেনীর বিভিন্ন থানায় তদন্তাধীন মামলায় অভিযোগপত্রে সাংবাদিকদের নাম দিতে সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করেন কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে প্রত্যাহার হওয়া এসপি জাহাঙ্গীর সরকার। এসব মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্র পর্যালোচনায় বেরিয়ে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। এছাড়া বিতর্কিত এ পুলিশ সুপারের নানা কর্মকান্ডও এখন মানুষের মুখে মুখে। জেলার ছাগলনাইয়া থানায় করা এমন একটি মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্র দৈনিক সংবাদের হাতে এসেছে।

ওই এজাহারটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে জেলার ছাগলনাইয়া থানার এসআই মো. শহীদুল ইসলাম মামলাটি করেন। মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘ঘটনার পর গ্রেফতার হওয়া আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ফেনী জেলার জামায়াতে ইসলামী নেতা একেএম সামছুদ্দিন, ছাগলনাইয়া উপজেলার জামায়াতে ইসলামী নেতা মো. মজিবুর রহমান, পেয়ার আহমেদ ও খোরশেদদের নির্দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে নাশকতা এবং অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকা- করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা করার জন্য লিফলেট ও বারুদসহ তারা সমবেত হয়।’ মামলার দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে আসামির তালিকায় উল্লেখিত জামায়াত নেতাদের বাদ দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, উল্লেখিত জামায়াত নেতারা ‘ঘটনার সহিত জড়িত থাকার বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাইলেও তাহারা পলাতক থাকায় এবং তাহাদের সঠিক নাম-ঠিকানা না থাকায় তাহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা সম্ভব হইতেছে না।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, একেএম সামছুদ্দিন জেলা জামায়াতের আমির, মজিবুর রহমান ছাগলনাইয়া উপজেলা জামায়াতের আমির ও পেয়ার আহমেদ পৌর জামায়াতের আমির। তারা একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছেন। এমনকি তারা নিজ নিজ বাসাবাড়িতে অবস্থান করেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে। জামায়াত নেতাদের আড়াল করতে পুলিশের এমন ভূমিকায় হতবাক সচেতন মহল।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের অভিযোগ, পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর সরকারকে ম্যানেজ করেই ওই মামলা থেকে জামায়াত নেতারা রেহাই পেয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তার সঙ্গে সখ্য ছিলÑ এমন কয়েক সাবেক শিবির নেতার যোগসাজশে জাহাঙ্গীর সরকার ফেনী অবস্থানকালীন বিভিন্নভাবে জামায়াত নেতাদের কাছ থেকে সুবিধা নিতেন। অভিেেযাগ রয়েছে, আর এভাবেই কৌশলে পার পেয়ে যান জামায়াত নেতারা। ছাগলনাইয়ার এ মামলা থেকে জামায়াতের তিন শীর্ষ নেতাকে বাদ দিতে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এসপি জাহাঙ্গীর সরকারসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এসপির চাপে তড়িঘড়ি করে ৭ মে অভিযোগপত্রটি দাখিল করা হয়। তিনি চারজনের নাম সংবলিত একটি তালিকা ধরিয়ে দিয়ে তাদের তদন্তাধীন ওই মামলায় আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দিলে স্বল্প সময়ের মধ্যেই অভিযোগপত্রটি তৈরি করা হয়। অভিযোগপত্রে জামায়াত নেতাদের বাদ দিয়ে ওই চারজনকে আসামি করা হয়। তাদের পরিচয় সম্পর্কে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা খোরশেদ আলম অবহিত ছিলেন না বলে সংবাদকে জানান।

জানতে চাইলে থানার ওসি (তদন্ত) সুদ্বীপ রায় বলেন, বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তাই ভালো জানেন।

প্রসঙ্গত, বহুল আলোচিত ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনাকে শুরু থেকেই ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন আত্মহত্যা বলে চালিয়ে যান। আর তার পক্ষে অবস্থান নেন পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার। শুধু তা-ই নয়- যখন এ ঘটনা নিয়ে দেশ-বিদেশে গণমাধ্যমে তোলপাড়, তখন ওসির পক্ষে সাফাই গেয়ে সদর দফতরে চিঠি লেখেন এসপি জাহাঙ্গীর সরকার। বর্বরোচিত এ ঘটনায় করা মামলাতেও অধ্যক্ষ সিরাজসহ কয়েকজনকে আসামি না করতে চেষ্টা করেন এসপি-ওসি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনা ও সাংবাদিকদের দৃঢ় অবস্থানের কারণে ক্রমেই ঘটনার জট খুলতে থাকে। একপর্যায়ে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হলে ঘটনায় জড়িতরা গ্রেফতার হয়। অন্যদিকে পুলিশ সদর দফতরের তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হয়ে বরখাস্ত হন ওসি মোয়াজ্জেম। কর্তব্যে অবহেলার দায়ে প্রত্যাহার হয়ে সদর দফতরে সংযুক্ত হন এসপি জাহাঙ্গীর সরকার। আরও দুই পুলিশ সদস্যকেও প্রত্যাহার করে পার্বত্য অঞ্চলে সংযুক্ত করা হয়। এতে গণমাধ্যমের ওপর ক্ষিপ্ত হন এসপি-ওসি।

একপর্যায়ে ফেনী ছাড়ার আগে বিভিন্ন থানায় চার সাংবাদিক দৈনিক ফেনীর সময় ও সাপ্তাহিক আলোকিত ফেনী সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, দৈনিক অধিকার প্রতিনিধি ও ফেনী রিপোর্ট সম্পাদক এসএম ইউসুফ আলী, বাংলানিউজ স্টাফ করসপন্ডেন্ট ও সাপ্তাহিক হকার্স বার্তা সম্পাদক সোলায়মান হাজারী ডালিম, দৈনিক সমায়ের আলো প্রতিনিধি ও স্টার লাইনের স্টাফ রিপোর্টার মাঈন উদ্দিন পাটোয়ারীকে আসামি করে চার্জশিট জমা দিতে সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করেন। এছাড়া ছাগলনাইয়া সমঝোতা হওয়া একটি মামলাতেও স্থানীয় যুগান্তর প্রতিনিধি নুরুজ্জামান সুমন ও ছাগলনাইয়া ডটকম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির লিটনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। অন্যদিকে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের (বরখাস্ত হওয়া, বর্তমানে কারাগারে) মোবাইল ফোনে ধারণকৃত নুসরাতের জবানবন্দির ভিডিও ফুটেজ চুরির অভিযোগ এনে সময় টিভির রিপোর্টার আতিয়ার সজলের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।