হরমুজ প্রণালিতে ইরানের হাতে আটক ব্রিটিশ পতাকাবাহী তেল ট্যাংকার স্টেনো ইম্পেরো পরিদর্শন করেছে একদল রুশ কূটনীতিক। তারা ইরানে নিযুক্ত রুশ দূতাবাসের কর্মী। গত শনিবার ট্যাংকারটি পরিদর্শন করেন তারা। এ সময় ট্যাংকারে অবস্থানরত রুশ ক্রুদের সঙ্গেও কথা বলেন তারা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স।

গত ২০ জুলাই ট্যাংকারটি আটক করে ইরান। এটি আটকের কথা জানিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয় ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেয়া রুশ দূতাবাসের এক পোস্টে শনিবার কূটনীতিকদের ট্যাংকারটি পরিদর্শনের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। ওই পোস্টে বলা হয়, নাবিকদের স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো। তারা এখনও ট্যাংকারটিতেই রয়েছে। ট্যাংকারটির রুশ ক্রুদের দেশে ফেরার সময়সীমা নিয়ে ইরানি অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে দূতাবাস। পোস্টটিতে তিন ক্রুর সঙ্গে কূটনীতিকদের ছবিও প্রকাশ করা হয়। এ প্রসঙ্গে রুশ সংবাদ মাধ্যম তাস জানিয়েছে, ট্যাংকারটির রুশ ক্রুদের কোনও অভিযোগ নেই। তাদের প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী দেয়া হচ্ছে। কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই স্বজনদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে পারছেন। রুশ কূটনীতিকদের পরিদর্শনের আগে ইরানের সরকারি টেলিভিশনে আটককৃত ব্রিটিশ ট্যাংকারটির ভিডিও প্রকাশ করা হয়। অপরদিকে ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার স্টেনো ইম্পেরো আটকের পর আইআরজিসির পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করায় হরমুজ প্রণালি থেকে ২৩ ক্রুসহ একটি ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার আটক করা হয়েছে। আইআরজিসির দাবি, তেল ট্যাংকারটি তিনটি আইন লঙ্ঘন করেছে। এটি আন্তর্জাতিক পানিসীমা থেকে ইরানের পানিসীমায় ঢুকে পড়েছিল, নিজেকে শনাক্তকরণের যন্ত্রপাতি বন্ধ করে রেখেছিল এবং আইআরজিসির পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও তাতে ভ্রƒক্ষেপ করেনি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তেল ট্যাংকারটি আটক করে ইরানের উপকূলে নিয়ে আসা হয়েছে এবং আইনগত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য এটিকে হরমুজগান প্রদেশের বন্দর ও নৌচলাচল বিষয়ক সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, স্টেনো ইম্পেরোকে ইরানি সেনাদের স্পিডবোট ও হেলিকপ্টার ঘিরে রয়েছে। পরে ট্যাংকারটিকে ইরানের জলসীমায় নিয়ে আসতে দেখা যায়। তবে ট্যাংকারটিতে কোনও ব্রিটিশ ক্রু ছিলেন না।