গেল বছরের মত এবারো আয়ের তুলনায় ব্যয় কম হয়েছে বিএনপির। ২০১৮ সালে দলটির আয়ের পরিমানও ছিলো সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে বিএনপির আয় বেড়ে চলছে।
গতকাল দলটি ২০১৮ সালের দলীয় অডিট রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেয়। দিয়েছে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল নির্বাচন ভবনে তা জমা দেন।
২০১৮ সালে দলটির আয় ছিল ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ টাকা। বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ২৯ হাজার ১৪৩ টাকা। আগের বছর (২০১৭ সালে) ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা আয়ের বিপরীতে দলটির ব্যয় ছিল ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা। ২০১৬ সালে ৪ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকার বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫২ টাকা।
ইসি সচিব মো. আলমগীরের কাছে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দান শেষে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, অফিসের বিভিন্ন খরচ, ইফতার মাহফিল, পোস্টার ছাপানো, নির্বাচনি ব্যয়, নির্যাতিত নেতাদের সহায়তা এবং বন্যার ত্রাণ কাজে মোট ব্যয় হয়েছে। আর নমিনেশন ফরম বিক্রি, দলীয় সদস্যদের মাসিক চাঁদা, এককালীন অনুদান হতে মোট আয় হয়েছে। এবার দলীয় তহবিলে মোট উদ্বৃত্ত আছে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৩৭ টাকা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি থেকে আমাদের সর্বাধিক আয় হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত অনুদান আছে, সদস্য এবং পদবিধারী অন্যদের চাঁদা আছে। সবমিলিয়ে গত বছরের চেয়ে এবার একটু বেশি হয়েছে।
২০১৫ সালের দাখিল করা আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএনপি ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা ঘাটতিতে ছিল। ওই বছর দলটির আয় ছিল ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ টাকা। আর ব্যয় ১ কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ টাকা।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর ২০১৮ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ (বুধবার)। অবশ্য কোনও দল চাইলে নির্ধারিত সময়ের আগে ইসিতে আবেদন করে সময় বাড়াতে পারে।
বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৯ , ১৬ শ্রাবন ১৪২৫, ২৭ জিলকদ ১৪৪০
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
গেল বছরের মত এবারো আয়ের তুলনায় ব্যয় কম হয়েছে বিএনপির। ২০১৮ সালে দলটির আয়ের পরিমানও ছিলো সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে বিএনপির আয় বেড়ে চলছে।
গতকাল দলটি ২০১৮ সালের দলীয় অডিট রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেয়। দিয়েছে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল নির্বাচন ভবনে তা জমা দেন।
২০১৮ সালে দলটির আয় ছিল ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ টাকা। বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ২৯ হাজার ১৪৩ টাকা। আগের বছর (২০১৭ সালে) ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা আয়ের বিপরীতে দলটির ব্যয় ছিল ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা। ২০১৬ সালে ৪ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকার বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫২ টাকা।
ইসি সচিব মো. আলমগীরের কাছে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দান শেষে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, অফিসের বিভিন্ন খরচ, ইফতার মাহফিল, পোস্টার ছাপানো, নির্বাচনি ব্যয়, নির্যাতিত নেতাদের সহায়তা এবং বন্যার ত্রাণ কাজে মোট ব্যয় হয়েছে। আর নমিনেশন ফরম বিক্রি, দলীয় সদস্যদের মাসিক চাঁদা, এককালীন অনুদান হতে মোট আয় হয়েছে। এবার দলীয় তহবিলে মোট উদ্বৃত্ত আছে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৩৭ টাকা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি থেকে আমাদের সর্বাধিক আয় হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত অনুদান আছে, সদস্য এবং পদবিধারী অন্যদের চাঁদা আছে। সবমিলিয়ে গত বছরের চেয়ে এবার একটু বেশি হয়েছে।
২০১৫ সালের দাখিল করা আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএনপি ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা ঘাটতিতে ছিল। ওই বছর দলটির আয় ছিল ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ টাকা। আর ব্যয় ১ কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ টাকা।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর ২০১৮ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ (বুধবার)। অবশ্য কোনও দল চাইলে নির্ধারিত সময়ের আগে ইসিতে আবেদন করে সময় বাড়াতে পারে।