চট্টগ্রামে ফের বেড়েছে পিয়াজের ঝাঁজ ভোজ্যতেলও লাগামহীন

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে পাইকারি ও খুচরা বাজারে আবার বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম। বছরের শুরুতেই বাড়তি দামে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। দেশে উৎপাদিত পিয়াজ বাজারে আসার পর সপ্তাহ দুয়েক স্থিতিশীল থাকলেও বর্তমানে আবার দাম বেড়েছে। চট্টগ্রামের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে সপ্তাহের প্রথমদিন গতকাল শনিবার পিয়াজ ও ভোজ্যতেলের ঊর্ধ্বগতির এই চিত্র পাওয়া গেছে।

এদিকে পিয়াজের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের যুক্তি হচ্ছে, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গত এক সপ্তাহে বাজারে পাবনা-ফরিদপুর থেকে পিয়াজ আসেনি। এছাড়া মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আমদানি করে যাওয়ায় সঙ্কট তৈরি হয়েছে। আর ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে যুক্তি হলো, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের শীর্ষস্থানীয় পরিশোধন কারখানাগুলো ভোজ্যতেল সরবরাহ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। গতকাল শনিবার খাতুনগঞ্জে পাইকারি বাজারে চীনের সাদা পিয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৬০ টাকায়, মিসরের পিয়াজ ৭০-৮০ টাকা, পাকিস্তানের পিয়াজ ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় এবং মায়ানমারের পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়। দেশি পিয়াজ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকায়। খাতুনগঞ্জের এক ব্যবসায়ী বলেন, দেশি পিয়াজ নিয়ে বড় সমস্যা হয়েছে। পাবনা-ফরিদপুরে বৃষ্টি হয়েছে। সেজন্য কৃষক পিয়াজ তুলতে পারেননি। বাজারে দেশি পিয়াজ নেই। আড়তে গত বৃহস্পতিবার দেশি পিয়াজ মণপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়। একদিনের ব্যবধানে গত শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার টাকা। প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে শুক্রবার ১৭৫ টাকা।

এই ব্যবসায়ী জানান, বাজারে এখন মায়ানমারের ও দেশীয় পিয়াজের চাহিদা বেশি। এই দুটোর সরবরাহে সঙ্কট তৈরি হওয়ায় বাজারে প্রভাব পড়েছে।

এদিকে গত নভেম্বর থেকে দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। বছরের শুরুতে এসে প্রায় লাগামহীন হয়ে পড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। গত এক মাসে প্রতি লিটারে তেলে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিন থেকে চার টাকা করে বাড়ছে।

সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২০ , ২৩ পৌষ ১৪২৬, ৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

চট্টগ্রামে ফের বেড়েছে পিয়াজের ঝাঁজ ভোজ্যতেলও লাগামহীন

চট্টগ্রাম ব্যুরো

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে পাইকারি ও খুচরা বাজারে আবার বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম। বছরের শুরুতেই বাড়তি দামে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। দেশে উৎপাদিত পিয়াজ বাজারে আসার পর সপ্তাহ দুয়েক স্থিতিশীল থাকলেও বর্তমানে আবার দাম বেড়েছে। চট্টগ্রামের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে সপ্তাহের প্রথমদিন গতকাল শনিবার পিয়াজ ও ভোজ্যতেলের ঊর্ধ্বগতির এই চিত্র পাওয়া গেছে।

এদিকে পিয়াজের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের যুক্তি হচ্ছে, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গত এক সপ্তাহে বাজারে পাবনা-ফরিদপুর থেকে পিয়াজ আসেনি। এছাড়া মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আমদানি করে যাওয়ায় সঙ্কট তৈরি হয়েছে। আর ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে যুক্তি হলো, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের শীর্ষস্থানীয় পরিশোধন কারখানাগুলো ভোজ্যতেল সরবরাহ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। গতকাল শনিবার খাতুনগঞ্জে পাইকারি বাজারে চীনের সাদা পিয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৬০ টাকায়, মিসরের পিয়াজ ৭০-৮০ টাকা, পাকিস্তানের পিয়াজ ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় এবং মায়ানমারের পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়। দেশি পিয়াজ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকায়। খাতুনগঞ্জের এক ব্যবসায়ী বলেন, দেশি পিয়াজ নিয়ে বড় সমস্যা হয়েছে। পাবনা-ফরিদপুরে বৃষ্টি হয়েছে। সেজন্য কৃষক পিয়াজ তুলতে পারেননি। বাজারে দেশি পিয়াজ নেই। আড়তে গত বৃহস্পতিবার দেশি পিয়াজ মণপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়। একদিনের ব্যবধানে গত শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার টাকা। প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে শুক্রবার ১৭৫ টাকা।

এই ব্যবসায়ী জানান, বাজারে এখন মায়ানমারের ও দেশীয় পিয়াজের চাহিদা বেশি। এই দুটোর সরবরাহে সঙ্কট তৈরি হওয়ায় বাজারে প্রভাব পড়েছে।

এদিকে গত নভেম্বর থেকে দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। বছরের শুরুতে এসে প্রায় লাগামহীন হয়ে পড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। গত এক মাসে প্রতি লিটারে তেলে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিন থেকে চার টাকা করে বাড়ছে।