অপহৃত আইনজীবীর ছেলে-শ্যালক উদ্ধার

৮ অপহরণকারী গ্রেফতার

অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে অপহরণকারী চক্রের যেসব সদস্যকে আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তারাই অপহরণ করে ছেলে তানজিম আল ইসলাম দিবস (১৭) ও শ্যালক মো. খালিদ হাসান ধ্রুবকে (১৯)। দীর্ঘদিন ধরে আইনি সেবা নেয়ার সুবাদে অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলামের পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা ছিল। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে দু’জনকে অপহরণের পরিকল্পনা করে এই পেশাদার অপহরণকারীরা।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ শনিবার রাতে এ চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলো-ফখর উদ্দিন (২৪), মাহমুদুর রহমান রাসেল (৩২), রশিদুজ্জামান ওরফে তুষার (৩৪), শফিকুল ইসলাম, এইচএম মশিউর রহমান ওরফে পাপ্পু (৩৪), ইমতিয়াজ আহমেদ (৩০), আরিফুল ইসলাম নিশান (৩০)ও আবদুল্লাহ আল নোমান (২৫)।

রাজধানীর ডেমরা, মতিঝিল ও মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় থেকে অপহৃত দিবস ও ধ্রুবকে উদ্ধার করা হয়। গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।

ডিবি জানায়, ২১ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় তানজিম আল ইসলাম দিবস (১৭) ও মো. খালিদ হাসান ধ্রুব (১৯)। দিবস কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. ফখরুল ইসলামের ছেলে ও ধানমন্ডির ভার্টিক্যাল হরিজন (ভিএইচ) ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের এ লেভেলের শিক্ষার্থী। শ্যালক ধ্রুব ঢাকা কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ¯স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র।

আবদুল বাতেন বলেন, ২১ জানুয়ারি মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বেরিয়ে অপহৃত হন দু’জন। তারা আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে ল্যাপটপ কিনতে বেরিয়েছিলেন। এদিকে, অপহরণের একদিন পর ২২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টার দিকে অপরিচিত এক ব্যক্তি দিবসের মাকে কল করে জানায়- দিবস ও তার মামা ধ্রুবকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা ‘নৌকা কোড’ ব্যবহার করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং ২৪ জানুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ না করলে হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনার পর ২২ জানুয়ারি দিবসের বাবা মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করলে থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পশ্চিম বিভাগ অপহরণকারীদের গ্রেফতারে মাঠে নামে। পরে শনিবার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেটকার, ৩টি মোটরসাইকেল, ম্যাগাজিনসহ ১টি পিস্তল, ৫টি ডিবি পুলিশের জ্যাকেট, পুলিশ সার্জেন্টের র‌্যাঙ্ক ব্যাজসহ ১টি শার্ট ও পুলিশ কনস্টেবলের ১টি শার্ট, ৭টি স্টিলের লাঠি, ৩টি কালো রংয়ের ছোট-বড় ওয়্যারলেস সেট, ৪টি পিস্তল সদৃশ লাইটার, ৫টি সিরিঞ্জ, ২০টি ইনজেকশন, একসেট সেনাবাহিনীর পোশাক তৈরির থান কাপড়, ১৫টি বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল ফোন এবং ১টি আইপ্যাড উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, অপহৃত দিবসের বাবা ফখরুল ইসলামের ছিলেন অপহরণকারীদের পক্ষের আইনজীবী। তারা দীর্ঘদিন ধরে তার কাছ থেকে আদালতে আইনি সেবা নিয়ে আসছিলেন। সে সুবাদে ভুক্তভোগীদের পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা ছিল। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তারা দু’জনকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। ডিবি জানায়, গ্রেফতাররা পেশাগত অপহরণকারী চক্রের সদস্য। এই দলের মাস্টারমাইন্ড হলো পাপ্পু। এর আগেও তারা অপহরণের মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করেছিল।

আরও খবর
সাধারণ জনগণের উন্নতি দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত : প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে রাষ্ট্রপতি
বিএনপি চোরাপথে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে কাদের
পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়নের সময় এসেছে দুদক চেয়ারম্যান
ভারতীয় হাইকমিশনের ঢাকায় ৭১তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন
নির্মাণাধীন দেয়াল ধসে শিশুসহ নিহত ২
এপ্রিল থেকে ব্যাংক সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা হবে বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার নীতিমালা ২০২০-এর খসড়া চূড়ান্ত
ই-পাসপোর্টের জন্য তিন দিনে দু’হাজার আবেদন
ব্যবসায়ী মোমতাহিদুরকে জিজ্ঞাসাবাদ
শত কোটি টাকার মালিক পাগলা মিজান
সংবাদপত্রের ওয়েজবোর্ড নিয়ে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ
‘মহাকবি মধুসূদন পদক’ পেলেন কবি অনীক মাহমুদ
প্রদর্শনীসহ ৪টি কর্মশালা আজ
ওয়াহিদুল হকের প্রয়াণ দিবস আজ
পুলিশ-পাথর শ্রমিক সংঘর্ষ নিহত ১

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০ , ১৩ মাঘ ১৪২৬, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪১

অপহৃত আইনজীবীর ছেলে-শ্যালক উদ্ধার

৮ অপহরণকারী গ্রেফতার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে অপহরণকারী চক্রের যেসব সদস্যকে আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তারাই অপহরণ করে ছেলে তানজিম আল ইসলাম দিবস (১৭) ও শ্যালক মো. খালিদ হাসান ধ্রুবকে (১৯)। দীর্ঘদিন ধরে আইনি সেবা নেয়ার সুবাদে অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলামের পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা ছিল। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে দু’জনকে অপহরণের পরিকল্পনা করে এই পেশাদার অপহরণকারীরা।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ শনিবার রাতে এ চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলো-ফখর উদ্দিন (২৪), মাহমুদুর রহমান রাসেল (৩২), রশিদুজ্জামান ওরফে তুষার (৩৪), শফিকুল ইসলাম, এইচএম মশিউর রহমান ওরফে পাপ্পু (৩৪), ইমতিয়াজ আহমেদ (৩০), আরিফুল ইসলাম নিশান (৩০)ও আবদুল্লাহ আল নোমান (২৫)।

রাজধানীর ডেমরা, মতিঝিল ও মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় থেকে অপহৃত দিবস ও ধ্রুবকে উদ্ধার করা হয়। গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।

ডিবি জানায়, ২১ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় তানজিম আল ইসলাম দিবস (১৭) ও মো. খালিদ হাসান ধ্রুব (১৯)। দিবস কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. ফখরুল ইসলামের ছেলে ও ধানমন্ডির ভার্টিক্যাল হরিজন (ভিএইচ) ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের এ লেভেলের শিক্ষার্থী। শ্যালক ধ্রুব ঢাকা কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ¯স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র।

আবদুল বাতেন বলেন, ২১ জানুয়ারি মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বেরিয়ে অপহৃত হন দু’জন। তারা আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে ল্যাপটপ কিনতে বেরিয়েছিলেন। এদিকে, অপহরণের একদিন পর ২২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টার দিকে অপরিচিত এক ব্যক্তি দিবসের মাকে কল করে জানায়- দিবস ও তার মামা ধ্রুবকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা ‘নৌকা কোড’ ব্যবহার করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং ২৪ জানুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ না করলে হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনার পর ২২ জানুয়ারি দিবসের বাবা মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করলে থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পশ্চিম বিভাগ অপহরণকারীদের গ্রেফতারে মাঠে নামে। পরে শনিবার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেটকার, ৩টি মোটরসাইকেল, ম্যাগাজিনসহ ১টি পিস্তল, ৫টি ডিবি পুলিশের জ্যাকেট, পুলিশ সার্জেন্টের র‌্যাঙ্ক ব্যাজসহ ১টি শার্ট ও পুলিশ কনস্টেবলের ১টি শার্ট, ৭টি স্টিলের লাঠি, ৩টি কালো রংয়ের ছোট-বড় ওয়্যারলেস সেট, ৪টি পিস্তল সদৃশ লাইটার, ৫টি সিরিঞ্জ, ২০টি ইনজেকশন, একসেট সেনাবাহিনীর পোশাক তৈরির থান কাপড়, ১৫টি বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল ফোন এবং ১টি আইপ্যাড উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, অপহৃত দিবসের বাবা ফখরুল ইসলামের ছিলেন অপহরণকারীদের পক্ষের আইনজীবী। তারা দীর্ঘদিন ধরে তার কাছ থেকে আদালতে আইনি সেবা নিয়ে আসছিলেন। সে সুবাদে ভুক্তভোগীদের পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা ছিল। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তারা দু’জনকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। ডিবি জানায়, গ্রেফতাররা পেশাগত অপহরণকারী চক্রের সদস্য। এই দলের মাস্টারমাইন্ড হলো পাপ্পু। এর আগেও তারা অপহরণের মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করেছিল।