হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রভাবশালী এ ব্যবসায়ী নেতার সম্পদের তথ্য চেয়ে নোটিশ দিয়েছে (দুদক)। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে একে আজাদের অবৈধ সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়ায় সব ধরনের সম্পদের তথ্য চেয়ে ওই নোটিশ গতকাল দেয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ২১ কার্য দিবসের মধ্যে একে আজাদকে সম্পদের তথ্য বিবরণী জমা দিতে বলেছে দুদক।
দুদক সূত্র জানায়, দুদকের কাছে অভিযোগ আসে ব্যবসায়ী একে আজাদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ রয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক প্রাথমিক অনুসন্ধান চালিয়ে একে আজাদের অবৈধ সম্পদ থাকার কিছু তথ্য পেয়েছে। ওইসব সম্পদের বিষয়ে জানতে এবং তার মোট সম্পদের তথ্য পেতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশ একে আজাদের অফিসের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, তিনি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্বনামে, বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাই নোটিশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নিজের, নির্ভরশীল ব্যক্তিদের যাবতীয় স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ নির্ধারিত ফরমে দাখিল করতে বলা হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ২২ মে একে আজাদকে অভিযোগের বিষয়ে দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদিন শিবলী জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ওই দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। অভিযোগের বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী একে আজাদের ফনিক্স টাওয়ারের কার্যালয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে অভিযান করেছিল দুদক। দুদকের হটলাইন ১০৬’ নম্বরে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদের বিরুদ্ধে সরকারি জমি আত্মসাতের অভিযোগ আসলে দুদক পরিচালক যায়েদ হোসেন খানের নেতৃত্বে একটি টিম ফনিক্স টাওয়ারের অফিসে যান। প্রায় এক ঘণ্টা ফিনিক্স টাওয়ারে অবস্থান করে ব্যবসায়ী একে আজাদকে না পেয়ে তার অফিসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে চলে আসেন। এর পরপরই ওই অভিযোগসহ অবৈধ সম্পদ ও অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। সূত্র জানায়, এছাড়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার ব্যবসায়ী নেতা একে আজাদ রাজধানীর নয়াপল্টনে প্রীতম হোটেলের পাশে কোর্ট অব ওয়ার্ডস ভাওয়াল রাজ এস্টেট, সিটি জরিপ দাগ নং ১৮১৬, ১৮১২ ও ১৮১৫ দাগের প্রায় ১৫ কাঠা জমি অবৈধভাবে জবরদখল করে তার ওপর স্থাপনা গড়ে তুলছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া ও মিথ্যা ব্যাংক নিলাম দলিল দেখিয়ে এ জমি জবরদখল করেছেন বলে জানা যায়। রমনা মৌজায় সিএস-১৮ এবং ১৯ দাগের রেকর্ডিয় মালিক কোর্ট অব ওয়ার্ডস ভাওয়াল রাজ এস্টেট। সিটি জরিপ দাগ নম্বর ১৮১৬। জমির পরিমাণ ১৫ কাঠা।
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০ , ১৪ মাঘ ১৪২৬, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রভাবশালী এ ব্যবসায়ী নেতার সম্পদের তথ্য চেয়ে নোটিশ দিয়েছে (দুদক)। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে একে আজাদের অবৈধ সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়ায় সব ধরনের সম্পদের তথ্য চেয়ে ওই নোটিশ গতকাল দেয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ২১ কার্য দিবসের মধ্যে একে আজাদকে সম্পদের তথ্য বিবরণী জমা দিতে বলেছে দুদক।
দুদক সূত্র জানায়, দুদকের কাছে অভিযোগ আসে ব্যবসায়ী একে আজাদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ রয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক প্রাথমিক অনুসন্ধান চালিয়ে একে আজাদের অবৈধ সম্পদ থাকার কিছু তথ্য পেয়েছে। ওইসব সম্পদের বিষয়ে জানতে এবং তার মোট সম্পদের তথ্য পেতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশ একে আজাদের অফিসের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, তিনি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্বনামে, বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাই নোটিশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নিজের, নির্ভরশীল ব্যক্তিদের যাবতীয় স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ নির্ধারিত ফরমে দাখিল করতে বলা হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ২২ মে একে আজাদকে অভিযোগের বিষয়ে দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদিন শিবলী জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ওই দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। অভিযোগের বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী একে আজাদের ফনিক্স টাওয়ারের কার্যালয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে অভিযান করেছিল দুদক। দুদকের হটলাইন ১০৬’ নম্বরে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদের বিরুদ্ধে সরকারি জমি আত্মসাতের অভিযোগ আসলে দুদক পরিচালক যায়েদ হোসেন খানের নেতৃত্বে একটি টিম ফনিক্স টাওয়ারের অফিসে যান। প্রায় এক ঘণ্টা ফিনিক্স টাওয়ারে অবস্থান করে ব্যবসায়ী একে আজাদকে না পেয়ে তার অফিসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে চলে আসেন। এর পরপরই ওই অভিযোগসহ অবৈধ সম্পদ ও অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। সূত্র জানায়, এছাড়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার ব্যবসায়ী নেতা একে আজাদ রাজধানীর নয়াপল্টনে প্রীতম হোটেলের পাশে কোর্ট অব ওয়ার্ডস ভাওয়াল রাজ এস্টেট, সিটি জরিপ দাগ নং ১৮১৬, ১৮১২ ও ১৮১৫ দাগের প্রায় ১৫ কাঠা জমি অবৈধভাবে জবরদখল করে তার ওপর স্থাপনা গড়ে তুলছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া ও মিথ্যা ব্যাংক নিলাম দলিল দেখিয়ে এ জমি জবরদখল করেছেন বলে জানা যায়। রমনা মৌজায় সিএস-১৮ এবং ১৯ দাগের রেকর্ডিয় মালিক কোর্ট অব ওয়ার্ডস ভাওয়াল রাজ এস্টেট। সিটি জরিপ দাগ নম্বর ১৮১৬। জমির পরিমাণ ১৫ কাঠা।