বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হলো ডিএমপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

কেক কাটা, র‌্যালি, শোভাযাত্রা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে উদযাপন হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গতকাল ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ কর্মকর্তা, তারকা, সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নাগরিকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান মিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন। এ সময় পুলিশের আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারী, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ডিএমপি সদর দফতর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে রাজাবারবাগ পুলিশ লাইনসে শেষ হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ডিএমপির থানাসহ বিভিন্ন ইউনিটে আলোকসজ্জা কেককাটাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনবান্ধব পুলিশ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ডিএমপির প্রতিটি সদস্যকে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বিকেলে তিনটায় মিন্টো রোডের ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স হতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়। এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ঢাকার প্রতিটি থানাকে জনগণের আস্থার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিএমপি সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা সাত দিন কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা শহরকে নিরাপদ রাখতে। পুলিশ প্রধান বলেন, আমরা চাই মানুষ সেবার জন্য থানায় আসবে, ফেরার সময় যেন হাসিমুখে ফিরে যায়। অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, রাজধানীবাসীর আস্থা অর্জনই ঢাকা মহানগর পুলিশের লক্ষ্য। আমরা চেষ্টা করছি, জনতার পুলিশ হতে। একজন পুলিশ সদস্যের বিশ্বাস ও ভালোবাসার উপরে কিছু পাওয়ার থাকে না।

ডিএমপির সদর দফতর থেকে বের করা শোভাযাত্রাটি রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বিকেল সোয়া চারটার দিকে কেক কাটার মধ্য দিয়ে নাগরিক সংবর্ধনার অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে প্রতিষ্ঠা দিবসের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন ও আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিশেষ অতিথি ছিলেন। ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। এতে ডিএমপির সব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জমকালো ফায়ার ও ওয়ার্কের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

ডিএমপি থেকে জানানো হয়, গৌরবময় সেবার ৪৪ বছর পেরিয়ে গতকাল ৮ ফেব্রুয়ারি ৪৫ বছরে পদার্পণ করে মেট্রোপলিটন পুলিশের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূণ ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এর আগে ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার পৃথক বাণী দিয়েছেন। ‘শান্তি শপথে বলীয়ান’ এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ডিএমপি জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে আসছে। বাংলাদেশ পুলিশের বৃহৎ ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ১৯৭৬ সাল হতে জনবহুল রাজধানী ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং পেশাগত জ্ঞান অর্জনকে প্রাধান্য দিয়ে, সৃজনশীলতা এবং জন অংশীদারিত্বকে অন্যতম কার্যকৌশল হিসেবে গ্রহণ করে বহুমাত্রিক এ নগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানে সচেষ্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

ডিএমপি সূত্র জানায়, ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ডিএমপির সদস্যরা স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন। এছাড়া বিভিন্ন আয়োজন ছিল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ডিএমপির কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন আয়োজনে। বিকেলে পিঠা পার্বণসহ মুখরোচক খাবারে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। অতিথিদের মধ্যে চলচ্চিত্র, টিভি নাটকের অভিনেতা, অভিনেত্রীরা উপস্থিত হয়েছিলেন। তারকাদের সঙ্গে সেলফি তোলেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। প্রতিষ্ঠা দিবসের ডকুমেন্টারি প্রদর্শনসহ সন্ধ্যার পর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। নাচে-গানে আয়োজন মাতিয়ে তোলেন দেশসেরা শিল্পীরা। একের পর এক গানের সুর এবং নাচের ঝংকারে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠে। ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা মাঠে বসে আয়োজন উপভোগ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনস রাজারবাগে এক নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি, প্রধান অতিথি এবং সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার পৃথক বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট ঢাকা মেট্র্রোপলিটন পুলিশ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই ইউনিটের সদস্যরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও জনগণের জান-মালের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ডিএমপির সদস্যরা পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে একটি যুগোপযোগী, দক্ষ ও জনবান্ধব বাহিনীতে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাফল্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং ও উঠান বৈঠকের মতো সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সরব উপস্থিতি পুলিশি সেবাকে নগরবাসীর দোরগোড়ায় নিয়ে গেছে।

image

গতকাল রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বেলুন উড়িয়ে ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করা হয় -সংবাদ

আরও খবর
সমাবেশ করে খালেদার মুক্তি মিলবে না তথ্যমন্ত্রী
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে ছাত্রীদের পোশাক নিয়ে অপপ্রচার
মাদকের বিরুদ্ধে জয় হবেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রথম দিনে আ’লীগের মনোনয়ন কিনলেন রহিম খান ও জনি
মাসের প্রথম ছুটির দু’দিন বইমেলায় উপচেপড়া ভিড়
একুশে বইমেলা শুরু সোমবার থেকে
নাট্যনির্মাতা সাজিন আহমেদ বাবুর ‘যে মনে কারফিউ’
সাংবাদিক সুমনের ওপর হামলা : আরও চারজন গ্রেফতার
কৃষকরাই সবচেয়ে অবহেলিত ও বঞ্চিত জিএম কাদের
সালাম পার্টির উৎপাত বিপন্ন পথচারী
মুক্তিযোদ্ধাকে জবাই করে হত্যা
উত্তম সেবার জন্য নার্সদের তিন ক্যাটাগরিতে স্বাস্থ্যসেবা পদক দেয়া হবে
চট্টগ্রাম বন্দরে মোবাইল ক্রেন সরবরাহে নতুন শর্ত
শাহজালালে কাতার ফেরত শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার গ্রেফতার

রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৬ মাঘ ১৪২৬, ১৪ জমাদিউল সানি ১৪৪১

বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হলো ডিএমপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

গতকাল রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বেলুন উড়িয়ে ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করা হয় -সংবাদ

কেক কাটা, র‌্যালি, শোভাযাত্রা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে উদযাপন হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গতকাল ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ কর্মকর্তা, তারকা, সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নাগরিকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান মিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন। এ সময় পুলিশের আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারী, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ডিএমপি সদর দফতর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে রাজাবারবাগ পুলিশ লাইনসে শেষ হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ডিএমপির থানাসহ বিভিন্ন ইউনিটে আলোকসজ্জা কেককাটাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনবান্ধব পুলিশ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ডিএমপির প্রতিটি সদস্যকে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বিকেলে তিনটায় মিন্টো রোডের ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স হতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়। এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ঢাকার প্রতিটি থানাকে জনগণের আস্থার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিএমপি সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা সাত দিন কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা শহরকে নিরাপদ রাখতে। পুলিশ প্রধান বলেন, আমরা চাই মানুষ সেবার জন্য থানায় আসবে, ফেরার সময় যেন হাসিমুখে ফিরে যায়। অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, রাজধানীবাসীর আস্থা অর্জনই ঢাকা মহানগর পুলিশের লক্ষ্য। আমরা চেষ্টা করছি, জনতার পুলিশ হতে। একজন পুলিশ সদস্যের বিশ্বাস ও ভালোবাসার উপরে কিছু পাওয়ার থাকে না।

ডিএমপির সদর দফতর থেকে বের করা শোভাযাত্রাটি রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বিকেল সোয়া চারটার দিকে কেক কাটার মধ্য দিয়ে নাগরিক সংবর্ধনার অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে প্রতিষ্ঠা দিবসের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন ও আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিশেষ অতিথি ছিলেন। ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। এতে ডিএমপির সব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জমকালো ফায়ার ও ওয়ার্কের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

ডিএমপি থেকে জানানো হয়, গৌরবময় সেবার ৪৪ বছর পেরিয়ে গতকাল ৮ ফেব্রুয়ারি ৪৫ বছরে পদার্পণ করে মেট্রোপলিটন পুলিশের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূণ ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এর আগে ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার পৃথক বাণী দিয়েছেন। ‘শান্তি শপথে বলীয়ান’ এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ডিএমপি জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে আসছে। বাংলাদেশ পুলিশের বৃহৎ ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ১৯৭৬ সাল হতে জনবহুল রাজধানী ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং পেশাগত জ্ঞান অর্জনকে প্রাধান্য দিয়ে, সৃজনশীলতা এবং জন অংশীদারিত্বকে অন্যতম কার্যকৌশল হিসেবে গ্রহণ করে বহুমাত্রিক এ নগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানে সচেষ্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

ডিএমপি সূত্র জানায়, ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ডিএমপির সদস্যরা স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন। এছাড়া বিভিন্ন আয়োজন ছিল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ডিএমপির কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন আয়োজনে। বিকেলে পিঠা পার্বণসহ মুখরোচক খাবারে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। অতিথিদের মধ্যে চলচ্চিত্র, টিভি নাটকের অভিনেতা, অভিনেত্রীরা উপস্থিত হয়েছিলেন। তারকাদের সঙ্গে সেলফি তোলেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। প্রতিষ্ঠা দিবসের ডকুমেন্টারি প্রদর্শনসহ সন্ধ্যার পর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। নাচে-গানে আয়োজন মাতিয়ে তোলেন দেশসেরা শিল্পীরা। একের পর এক গানের সুর এবং নাচের ঝংকারে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠে। ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা মাঠে বসে আয়োজন উপভোগ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনস রাজারবাগে এক নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি, প্রধান অতিথি এবং সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার পৃথক বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট ঢাকা মেট্র্রোপলিটন পুলিশ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই ইউনিটের সদস্যরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও জনগণের জান-মালের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ডিএমপির সদস্যরা পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে একটি যুগোপযোগী, দক্ষ ও জনবান্ধব বাহিনীতে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাফল্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং ও উঠান বৈঠকের মতো সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সরব উপস্থিতি পুলিশি সেবাকে নগরবাসীর দোরগোড়ায় নিয়ে গেছে।