হাবিবুর রহমান হাবিব (৩৭) নামে জেএমবির এক সক্রিয় সদস্যকে গত শুক্রবার কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার ছোটনা শাকিন থেকে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) তাকে গ্রেফতার করে। হাবিব ২০১৬ সালে নীলফামারী সদর থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে করা মামলার অন্যতম আসামি। ওই মামলায় ২০১৭ সালে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান জানান, হাবিবের বাড়ি দিনাজপুরের কোতয়ালী থানার ভবাইনগর খাড়িপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মো. আবদুর কাদের মুন্সি। বাড়ি দিনাজপুর হলেও সে একেক সময় একেক এলাকায় জেএমবির হয়ে কাজ করেছিল। সর্বশেষ সে কুমিল্লায় অবস্থান নেয়।
হাবিব মামলা দায়েরের পর নীলফামারী ছেড়ে কুমিল্লায় গিয়ে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতার চাকরি নেয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিত্বে জানা গেছে, কুমিল্লায় চাকরির অন্তরালে সে জেএমবির কার্যক্রম এবং সাংগঠনিক কাঠামো সক্রিয় করার জন্য কুমিল্লা অঞ্চলে কাজ শুরু করে। মামলা থাকলেও গ্রেফতার না হওয়ায় সে ভিন্ন কৌশলে নতুনভাবে কুমিল্লায় সক্রিয় হয়ে কাজ করেছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নীলফামারী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এটিইউ সূত্র জানায়, জঙ্গি সংশ্লিস্টতার অভিযোগে ২০১৬ সালের ১ মে নীলফামারী জেলায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়েছিল। হাবিব ওই মামলার অন্যতম আসামি। সে জামায়াতুল মোজাহেদীন বাংলাদেশ (জেএমবির) সক্রিয় সদস্য। জেএমবির হয়ে সে একাধিক জঙ্গি হামলায় অংশ নিয়েছিলো। ২০১৭ সালে নীলফামারী থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা যাদের নামে আদালতে চার্জশিট দিয়েছিলো তার মধ্যে হাবিবের নামও ছিল। ওই মামলার পর থেকে আত্মগোপনে ছিল হাবিব।
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৪ ফল্গুন ১৪২৬, ২২ জমাদিউল সানি ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
হাবিবুর রহমান হাবিব (৩৭) নামে জেএমবির এক সক্রিয় সদস্যকে গত শুক্রবার কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার ছোটনা শাকিন থেকে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) তাকে গ্রেফতার করে। হাবিব ২০১৬ সালে নীলফামারী সদর থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে করা মামলার অন্যতম আসামি। ওই মামলায় ২০১৭ সালে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান জানান, হাবিবের বাড়ি দিনাজপুরের কোতয়ালী থানার ভবাইনগর খাড়িপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মো. আবদুর কাদের মুন্সি। বাড়ি দিনাজপুর হলেও সে একেক সময় একেক এলাকায় জেএমবির হয়ে কাজ করেছিল। সর্বশেষ সে কুমিল্লায় অবস্থান নেয়।
হাবিব মামলা দায়েরের পর নীলফামারী ছেড়ে কুমিল্লায় গিয়ে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতার চাকরি নেয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিত্বে জানা গেছে, কুমিল্লায় চাকরির অন্তরালে সে জেএমবির কার্যক্রম এবং সাংগঠনিক কাঠামো সক্রিয় করার জন্য কুমিল্লা অঞ্চলে কাজ শুরু করে। মামলা থাকলেও গ্রেফতার না হওয়ায় সে ভিন্ন কৌশলে নতুনভাবে কুমিল্লায় সক্রিয় হয়ে কাজ করেছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নীলফামারী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এটিইউ সূত্র জানায়, জঙ্গি সংশ্লিস্টতার অভিযোগে ২০১৬ সালের ১ মে নীলফামারী জেলায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়েছিল। হাবিব ওই মামলার অন্যতম আসামি। সে জামায়াতুল মোজাহেদীন বাংলাদেশ (জেএমবির) সক্রিয় সদস্য। জেএমবির হয়ে সে একাধিক জঙ্গি হামলায় অংশ নিয়েছিলো। ২০১৭ সালে নীলফামারী থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা যাদের নামে আদালতে চার্জশিট দিয়েছিলো তার মধ্যে হাবিবের নামও ছিল। ওই মামলার পর থেকে আত্মগোপনে ছিল হাবিব।