খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমিরের জানাজায়

লকডাউন না মেনে লাখো মানুষের ঢল

করোনাভাইরাসের লকডাউন উপেক্ষা করে জানাজা আদায় করতে লাখো মানুষের ঢল ব্রাহ্মবাড়িয়ার সরাইলে। এত মানুষের জমায়েতের কারণে ব্রাহ্মবাড়িয়া জেলায় করোনাভাইরাস মহামারী আকারে প্রকাশ পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞরা। গতকাল সকালে সরাইলের জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। লকডাউন উপেক্ষা করে এই জানাজা অংশ নেয় লাখো মানুষ। মাদ্রাসার প্রান্তর ছাড়িয়ে জানাজায় মানুষর সারি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ছড়িয়ে পড়ে। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন জুবায়ের আহমেদ আনসারীর ছেলে হাফেজ মাওলানা আসাদ উল্লাহ। গত শুক্রবার বিকেল পৌনে ৬টায় জেলা শহরের মার্কাস পাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তবে জানাজায় এত লোকের উপস্থিতে স্থানীয় প্রশাসন এ অবস্থায় নীরব ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়লো।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকালে জামিয়া রাহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু জানাজা শুরু হওয়ার আগেই শনিবার সকালে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ জমায়েত হতে থাকে মাদ্রাসার মাঠে। পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা এবং আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেড়তলা মাদ্রাসায় আসতে থাকে লোকজন। পরে সকাল ১০টার দিকে জানাজা শুরু হয়। মাদ্রাসা মাঠ ছাড়িয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে ছড়িয়ে যায় মানুষ। একদিকে বিশ্বরোড মোড় হয়ে সরাইলের মোড় পর্যন্ত, অন্যদিকে আশুগঞ্জের কাছাকাছি গিয়ে মানুষের ঢল থামে। এছাড়া ওই এলাকার আশপাশের বিভিন্ন ভবনের ছাদেও মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে সেখানে কিছু পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা ছিলেন এক রকম নিরব দর্শক। তবে করোনাভাইরাসের কারণে গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় লকডাউন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন।

এ বিষয়ে জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, বর্তমান করোনাভাইরাসের কারণে দুইজনের বেশি লোকসমাগম নিষিদ্ধ। সেখানে হাজারও বা লাখো লোকসমাগম হওয়াটা জনস্বার্থের পরিপন্থী। ঘটনাটি বিব্রতকর ও বেদনাদায়ক। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ দিয়ে এমন পরিস্থিতি সামাল দেয়া মোটেও সম্ভব ছিল না।

সরাইল থানার ওসি মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটু সাংবাদিকদের কাছে লাখো মানুষ সমাগমের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও ঢাকা থেকে লোকজন আসে। আমরা চিন্তাও করতে পারিনি যে এত লোক সমাগম হবে। লোকজন আসতে শুরু করার পর আমাদের আর কিছু করার ছিল না।’ তবে তিনি দাবি করেন, বলার পর উপস্থিত লোকজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ায়।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ‘সকাল থেকে বেড়তলা মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলাম। আমাদের পক্ষ থেকে ওনাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য। এ নিয়ে এলাকায় মাইকিংও করা হয়। কিন্তু আমরা শেষ চেষ্টা করেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারিনি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, ‘উনারা (মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ) আমাদের বলেছিলেন সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করবেন। কিন্তু সেটা তারা কেন করেননি তা খতিয়ে দেখা হবে।’

এ বিষয়ে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, মানুষ সচেতন না হলে আরও নয়গুণ বেশি মানুষের সমাগম হতো। মুফতি মাহফুজুল হক নিজেও মাওলানা জোবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় অংশ নিতে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের বেড়তলা মাদ্রাসায় গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘মাওলানা আনসারী সাহেব একজন জনপ্রিয় আলেম, ইসলামী বক্তা। দেশব্যাপী তার যে জনপ্রিয়তা, করোনাভাইরাসের লকডাউনের কারণে দশভাগের একভাগ মানুষও উপস্থিত হতে পারেননি। এই যে নয়ভাগ লোক কম হলো, তা কিন্তু সচেতনতার কারণেই।’

জেলা বার্তা পরিবেশক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জানায়, শুক্রবার বিকেল পৌনে ৬টায় জেলা শহরের মার্কাস পাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রখ্যাত আলেম জুবায়ের আহমদ আনসারী। তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে, ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওই এলাকা থেকে ১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন।

প্রতিনিধি,সরাইল জানায়, প্রাণঘাতী করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন উপেক্ষা করে লাখো মুসল্লি যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সিনিয়র নায়েবে আমীর, আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী আলোচক মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারী নামাজে জানাযায়। জানাযায় যোগ দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমীর ইসমাইল নূরপুরী, মহাসচিব মাহফুজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক, মাওলানা জালাল উদ্দিন, আতাউল্লাহ আমিন, কেন্দ্রীয় নেতা মহসিনুল হাসান, জেলার শীর্ষস্থানীয় আলেম মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মোবারক উল্লাহ, জেলা খেলাফত মজলিশের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাঈনুল ইসলাম। এছাড়াও দেশের নামকারা বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষকগণ নামাজে জানাযায় যোগ দেন।

image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমিরের জানাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণ -সংবাদ

আরও খবর
সারাদেশে দু’শতাধিক ডাক্তার নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত
পাঁচ কোটি লোক খাদ্য সহায়তার আওতায় আসবে প্রধানমন্ত্রী
করোনার নতুন কেন্দ্র হতে পারে আফ্রিকা
যেসব দেশ যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করলো সংক্রমণ
মৃত্যু দেড় লাখ ও আক্রান্ত সাড়ে ২২ লাখ ছাড়িয়েছে
২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৯ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩০৬
ঈদের নামাজও বাসায় সৌদির গ্র্যান্ড মুফতি
লকডাউন না মানলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা
ছুটি আরও বাড়তে পারে
কৃষক বাঁচাতে কৃষিপণ্যের বাজারজাত নিশ্চিত করতে হবে : দেবপ্রিয়
পুলিশের ৬৫ সদস্য করোনায় আক্রান্ত
দশ মিনিটে করোনা শনাক্ত
নারায়ণগঞ্জে নেই করোনা পরীক্ষাগার
লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না কেন?
ঈদের আগে খুলছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০ , ৬ বৈশাখ ১৪২৭, ২৪ শাবান ১৪৪১

খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমিরের জানাজায়

লকডাউন না মেনে লাখো মানুষের ঢল

জেলা বার্তা পরিবেশক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমিরের জানাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণ -সংবাদ

করোনাভাইরাসের লকডাউন উপেক্ষা করে জানাজা আদায় করতে লাখো মানুষের ঢল ব্রাহ্মবাড়িয়ার সরাইলে। এত মানুষের জমায়েতের কারণে ব্রাহ্মবাড়িয়া জেলায় করোনাভাইরাস মহামারী আকারে প্রকাশ পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞরা। গতকাল সকালে সরাইলের জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। লকডাউন উপেক্ষা করে এই জানাজা অংশ নেয় লাখো মানুষ। মাদ্রাসার প্রান্তর ছাড়িয়ে জানাজায় মানুষর সারি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ছড়িয়ে পড়ে। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন জুবায়ের আহমেদ আনসারীর ছেলে হাফেজ মাওলানা আসাদ উল্লাহ। গত শুক্রবার বিকেল পৌনে ৬টায় জেলা শহরের মার্কাস পাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তবে জানাজায় এত লোকের উপস্থিতে স্থানীয় প্রশাসন এ অবস্থায় নীরব ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়লো।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকালে জামিয়া রাহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু জানাজা শুরু হওয়ার আগেই শনিবার সকালে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ জমায়েত হতে থাকে মাদ্রাসার মাঠে। পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা এবং আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেড়তলা মাদ্রাসায় আসতে থাকে লোকজন। পরে সকাল ১০টার দিকে জানাজা শুরু হয়। মাদ্রাসা মাঠ ছাড়িয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে ছড়িয়ে যায় মানুষ। একদিকে বিশ্বরোড মোড় হয়ে সরাইলের মোড় পর্যন্ত, অন্যদিকে আশুগঞ্জের কাছাকাছি গিয়ে মানুষের ঢল থামে। এছাড়া ওই এলাকার আশপাশের বিভিন্ন ভবনের ছাদেও মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে সেখানে কিছু পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা ছিলেন এক রকম নিরব দর্শক। তবে করোনাভাইরাসের কারণে গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় লকডাউন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন।

এ বিষয়ে জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, বর্তমান করোনাভাইরাসের কারণে দুইজনের বেশি লোকসমাগম নিষিদ্ধ। সেখানে হাজারও বা লাখো লোকসমাগম হওয়াটা জনস্বার্থের পরিপন্থী। ঘটনাটি বিব্রতকর ও বেদনাদায়ক। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ দিয়ে এমন পরিস্থিতি সামাল দেয়া মোটেও সম্ভব ছিল না।

সরাইল থানার ওসি মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটু সাংবাদিকদের কাছে লাখো মানুষ সমাগমের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও ঢাকা থেকে লোকজন আসে। আমরা চিন্তাও করতে পারিনি যে এত লোক সমাগম হবে। লোকজন আসতে শুরু করার পর আমাদের আর কিছু করার ছিল না।’ তবে তিনি দাবি করেন, বলার পর উপস্থিত লোকজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ায়।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ‘সকাল থেকে বেড়তলা মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলাম। আমাদের পক্ষ থেকে ওনাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য। এ নিয়ে এলাকায় মাইকিংও করা হয়। কিন্তু আমরা শেষ চেষ্টা করেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারিনি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, ‘উনারা (মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ) আমাদের বলেছিলেন সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করবেন। কিন্তু সেটা তারা কেন করেননি তা খতিয়ে দেখা হবে।’

এ বিষয়ে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, মানুষ সচেতন না হলে আরও নয়গুণ বেশি মানুষের সমাগম হতো। মুফতি মাহফুজুল হক নিজেও মাওলানা জোবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় অংশ নিতে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের বেড়তলা মাদ্রাসায় গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘মাওলানা আনসারী সাহেব একজন জনপ্রিয় আলেম, ইসলামী বক্তা। দেশব্যাপী তার যে জনপ্রিয়তা, করোনাভাইরাসের লকডাউনের কারণে দশভাগের একভাগ মানুষও উপস্থিত হতে পারেননি। এই যে নয়ভাগ লোক কম হলো, তা কিন্তু সচেতনতার কারণেই।’

জেলা বার্তা পরিবেশক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জানায়, শুক্রবার বিকেল পৌনে ৬টায় জেলা শহরের মার্কাস পাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রখ্যাত আলেম জুবায়ের আহমদ আনসারী। তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে, ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওই এলাকা থেকে ১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন।

প্রতিনিধি,সরাইল জানায়, প্রাণঘাতী করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন উপেক্ষা করে লাখো মুসল্লি যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সিনিয়র নায়েবে আমীর, আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী আলোচক মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারী নামাজে জানাযায়। জানাযায় যোগ দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমীর ইসমাইল নূরপুরী, মহাসচিব মাহফুজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক, মাওলানা জালাল উদ্দিন, আতাউল্লাহ আমিন, কেন্দ্রীয় নেতা মহসিনুল হাসান, জেলার শীর্ষস্থানীয় আলেম মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মোবারক উল্লাহ, জেলা খেলাফত মজলিশের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাঈনুল ইসলাম। এছাড়াও দেশের নামকারা বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষকগণ নামাজে জানাযায় যোগ দেন।