লকডাউন ঘোষণার আগেই ব্যাংক কার্যক্রম বন্ধ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রশীদকে এমপিওভুক্তির বিরোধিতাকারী আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগের দাবিতে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি জানান বরিশাল জেলা শাখা বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরমের নেতারা। একই সঙ্গে আগামী সাত দিনের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরামের বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি মো. ইউনুস শরীফ।

তিনি বলেন, অনার্স শিক্ষকেরা দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে বেতন বঞ্চিত। তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। যা শিক্ষা বিস্তারে সুষম নীতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য এবং সংবিধানের পরিপন্থী। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগে সরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বিধি মোতাবেক এনটিআরসিএর সনদপ্রাপ্ত হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশির ডিজির প্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েও তাদেরকে বছরেরর পর বছর এমপিও ভুক্ত করা হচ্ছেনা। অথচ তারাও একটি উন্নত জাতি গঠনের জন্য ব্রতী শিক্ষক।

দির্ঘ দিনের আন্দোলন সংগ্রাম ও হাইকোর্টের নির্দেশনা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সুপারিশ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক সুপারিশের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সনের জনবল কাঠামো সংশোধন কমিটির প্রথম সভায় সব সদস্য বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের এমপিও হিসাবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনীহার কারণে সিদ্ধান্তটি এখন পর্যন্ত উপেক্ষিত হচ্ছে। ১৯৯৫, ২০১০, ২০১৩ এবং ২০১৮ সনের জনবল কাঠামো সংশোধন করা হলেও এসব শিক্ষকদের দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে। তারপরেও দীর্ঘ আটাশ বছর হলো শিক্ষকেরা প্রতিষ্ঠান থেকে নামমাত্র বেতনে কিংবা বেতনহীন অবস্থায় লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সেবা দিয়ে আসছেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ও সরকারি নিয়োগ নীতিমালা মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের শতভাগ বেতন-ভাতা ও সুযোগ সুবিধা প্রদানের নির্দেশনা থাকলেও সারাদেশে বেসরকারি কলেজের ৯০ ভাগ কলেজ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নিতে চায় না। শিক্ষকদের বেতনের নাম করে গরিব ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে মাসে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা করে বেতন নেয়া হলেও শিক্ষকদের বেতন বাবদ ৩ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে বেতন দেয়া হয়। যা একজন শিক্ষকের বর্তমান বাজার দরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করা অসম্ভব। শুধু তাই নয় অধিকাংশ কলেজেই মাসের পর মাস সামান্য টাকাটাও ফান্ডে না থাকার অজুহাতে বেতন ভাতা দেয়া বন্ধ রাখে। আর এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনার কারণে বন্ধ থাকায় একটাকাও বেতন দেয়া হয় না।

২০১৫ সালে মাউশি থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির ব্যাপারে মতামত চাওয়া হলেও বিগত ৫ বছরেও তিনি কোন মতামত বা সুপারিশ করেননি। অন্যদিকে বারবার জনবলে অন্তর্ভুক্তি এবং এমপিওর বিরোধিতা করেছেন। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হয়ে শিক্ষকদের বেতন ভাতার ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোকলেসুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম জসীম, জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ পরিতোষ চন্দ্র হালদার।

আরও খবর
ধান-চাল কেনায় অনিয়ম করলে ব্যবস্থা : খাদ্যমন্ত্রী
ভিসা অন-অ্যারাইভাল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত
খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে কৃষিমন্ত্রী
জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি অপপ্রচারে ব্যস্ত কাদের
নির্মূল কমিটির তিন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত
২৫৯ বাংলাদেশি বিশেষ ফ্লাইটে ইতালি গেলেন
দাম কম, বিক্রি নিয়ে বিপাকে পাহাড়ের কৃষকরা
তালিকায় ইউপি চেয়ারম্যানের ৫১ আত্মীয়র নাম
রংপুরে ট্রাকসহ ব্রিজ ধসে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ
৭১ শতাংশ হাসপাতালে করোনা সুরক্ষা নেই রিজভী
ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ সদস্য বরখাস্ত
পাহাড় ধসের আশঙ্কা সচেতনতায় মাইকিং
আ’লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : পাল্টাপাল্টি মামলা
শত কোটি টাকার পাথর নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ , ৪ আষাঢ় ১৪২৭, ২৫ শাওয়াল ১৪৪১

বরিশাল নগরীতে

লকডাউন ঘোষণার আগেই ব্যাংক কার্যক্রম বন্ধ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রশীদকে এমপিওভুক্তির বিরোধিতাকারী আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগের দাবিতে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি জানান বরিশাল জেলা শাখা বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরমের নেতারা। একই সঙ্গে আগামী সাত দিনের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরামের বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি মো. ইউনুস শরীফ।

তিনি বলেন, অনার্স শিক্ষকেরা দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে বেতন বঞ্চিত। তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। যা শিক্ষা বিস্তারে সুষম নীতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য এবং সংবিধানের পরিপন্থী। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগে সরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বিধি মোতাবেক এনটিআরসিএর সনদপ্রাপ্ত হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশির ডিজির প্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েও তাদেরকে বছরেরর পর বছর এমপিও ভুক্ত করা হচ্ছেনা। অথচ তারাও একটি উন্নত জাতি গঠনের জন্য ব্রতী শিক্ষক।

দির্ঘ দিনের আন্দোলন সংগ্রাম ও হাইকোর্টের নির্দেশনা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সুপারিশ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক সুপারিশের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সনের জনবল কাঠামো সংশোধন কমিটির প্রথম সভায় সব সদস্য বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের এমপিও হিসাবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনীহার কারণে সিদ্ধান্তটি এখন পর্যন্ত উপেক্ষিত হচ্ছে। ১৯৯৫, ২০১০, ২০১৩ এবং ২০১৮ সনের জনবল কাঠামো সংশোধন করা হলেও এসব শিক্ষকদের দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে। তারপরেও দীর্ঘ আটাশ বছর হলো শিক্ষকেরা প্রতিষ্ঠান থেকে নামমাত্র বেতনে কিংবা বেতনহীন অবস্থায় লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সেবা দিয়ে আসছেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ও সরকারি নিয়োগ নীতিমালা মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের শতভাগ বেতন-ভাতা ও সুযোগ সুবিধা প্রদানের নির্দেশনা থাকলেও সারাদেশে বেসরকারি কলেজের ৯০ ভাগ কলেজ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নিতে চায় না। শিক্ষকদের বেতনের নাম করে গরিব ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে মাসে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা করে বেতন নেয়া হলেও শিক্ষকদের বেতন বাবদ ৩ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে বেতন দেয়া হয়। যা একজন শিক্ষকের বর্তমান বাজার দরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করা অসম্ভব। শুধু তাই নয় অধিকাংশ কলেজেই মাসের পর মাস সামান্য টাকাটাও ফান্ডে না থাকার অজুহাতে বেতন ভাতা দেয়া বন্ধ রাখে। আর এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনার কারণে বন্ধ থাকায় একটাকাও বেতন দেয়া হয় না।

২০১৫ সালে মাউশি থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির ব্যাপারে মতামত চাওয়া হলেও বিগত ৫ বছরেও তিনি কোন মতামত বা সুপারিশ করেননি। অন্যদিকে বারবার জনবলে অন্তর্ভুক্তি এবং এমপিওর বিরোধিতা করেছেন। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হয়ে শিক্ষকদের বেতন ভাতার ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোকলেসুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম জসীম, জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ পরিতোষ চন্দ্র হালদার।