নীলফামারীর বরাদ্দ কোচ নষ্ট : দুর্ভোগে যাত্রীরা

চিলাহাটি খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশনের জন্য বরাদ্দ দেয়া ‘ট’ কোচটি ড্যামেজ হয়ে পড়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রী সাধারণ। এতে যাত্রী সাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়লেও গত ৯ মাসেও ড্যামেজ কোচটি মেরামত কিংবা নতুন কোচ সংযোজনে কোন উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, চিলাহাটি খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশনের জন্য বরাদ্দ ছিল ‘ট’ কোচটি। এ কোচে নীলফামারী অঞ্চলের ৯২ জন যাত্রী সপ্তাহের ৬ দিন জীবন জীবিকার তাগিদে যাতায়াত করত খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। গত জানুয়ারি মাসে ওই কোচটি ড্যামেজ হয়ে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় যাত্রী পরিবহন। এতে ভ্রমণ পিপাসুসহ ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য যাতায়াতকারী মানুষজন অসহায় হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ের পাকশির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে ১২টি কোচ সংযোজন করা থাকে। কিন্তু পাওয়ার কোচ লোড না নেয়ার কারনে বেশ কিছুদিন থেকে ২টি শোভন কোচ ও ১টি এসি চেয়ার কোচ সংযোজন করা যাচ্ছে না। এর মধ্যে ১টি কোচ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামতের অপেক্ষায় আছে। দীর্ঘদিনেও ওই কোচটি মেরামত না হওয়ায় একদিকে যাত্রী সাধারনের দুর্ভোগ বেড়েছে অপরদিকে এ ট্রেন থেকে আয় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।

নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল ইসলাম জানান, সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে ‘ট’ কোচটি না থাকায় এ অঞ্চলের মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। এতে আয়ও অনেকটাই কমে গেছে।

বৃহস্পতিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১৩ মহররম ১৪৪২, ১৭ ভাদ্র ১৪২৭

চিলাহাটি-খুলনাগামী সীমান্ত ট্রেন

নীলফামারীর বরাদ্দ কোচ নষ্ট : দুর্ভোগে যাত্রীরা

জেলা বার্তা পরিবেশক, নীলফামারী

চিলাহাটি খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশনের জন্য বরাদ্দ দেয়া ‘ট’ কোচটি ড্যামেজ হয়ে পড়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রী সাধারণ। এতে যাত্রী সাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়লেও গত ৯ মাসেও ড্যামেজ কোচটি মেরামত কিংবা নতুন কোচ সংযোজনে কোন উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, চিলাহাটি খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশনের জন্য বরাদ্দ ছিল ‘ট’ কোচটি। এ কোচে নীলফামারী অঞ্চলের ৯২ জন যাত্রী সপ্তাহের ৬ দিন জীবন জীবিকার তাগিদে যাতায়াত করত খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। গত জানুয়ারি মাসে ওই কোচটি ড্যামেজ হয়ে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় যাত্রী পরিবহন। এতে ভ্রমণ পিপাসুসহ ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য যাতায়াতকারী মানুষজন অসহায় হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ের পাকশির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে ১২টি কোচ সংযোজন করা থাকে। কিন্তু পাওয়ার কোচ লোড না নেয়ার কারনে বেশ কিছুদিন থেকে ২টি শোভন কোচ ও ১টি এসি চেয়ার কোচ সংযোজন করা যাচ্ছে না। এর মধ্যে ১টি কোচ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামতের অপেক্ষায় আছে। দীর্ঘদিনেও ওই কোচটি মেরামত না হওয়ায় একদিকে যাত্রী সাধারনের দুর্ভোগ বেড়েছে অপরদিকে এ ট্রেন থেকে আয় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।

নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল ইসলাম জানান, সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে ‘ট’ কোচটি না থাকায় এ অঞ্চলের মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। এতে আয়ও অনেকটাই কমে গেছে।