প্রতিরোধে চার নির্দেশনা
ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মতো করোনাভাইরাসও (কোভিড-১৯) স্থায়ী হবে জানিয়ে সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরিধানসহ চারটি নির্দেশনা দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতে থাকারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘কোভিড-১৯ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ’ শীর্ষক কর্মশালায় এ নির্দেশনা দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে বিভিন্ন পর্যায়ের গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
কর্মশালার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ‘খুব কম পরিমাণ হলেও কোভিড আমাদের সঙ্গে থেকে যাবে। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় জনসচেতনতা। উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। নারায়ণগঞ্জে করোনার সংক্রমণ এক সময় ভয়ঙ্কর মাত্রায় ছিল। এখন পরিমাণ অনেক কমে এসেছে। সবার সহযোগিতা ও সচেতনার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। তবে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে মিডিয়ার অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে।’ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড প্রমোশন প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত এই কর্মশালায় কোভিড-১৯ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিভাগের চারটি নির্দেশনার কথা উল্লেখ করেন জেলা করোনা ফোকাল পারসন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম। চার নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- ঘরের বাইরে বের হলে কিংবা ঘরোয়া কিন্তু জনবহুল কোন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গেলে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে সরকারের ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি অবলম্বনের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন ডা. জাহিদুল ইসলাম। এছাড়া নির্দিষ্ট সময় পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া কিংবা স্যানিটাইজ করা, জনবহুল স্থানে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথাও উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি করোনাভাইরাস সম্পর্কে সবাই অবগত থাকলেও তা নিয়ে অবহেলা দেখা দিয়েছে মন্তব্য করে জেলা করোনা ফোকাল পারসন বলেন, উপসর্গ দেখা দেয়ার পরও অনেকেই তা আমলে নিচ্ছেন না। এটা করা যাবে না। উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ‘কোভিডের চিকিৎসা নিয়ে জেলায় কোন সংকট নেই’ উল্লেখ করে ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, শহরে কোভিড ডেডিকেটেড নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে ১০টি আইসিইউসহ ১০০টি শয্যা রয়েছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়েও কোভিড রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে একটি সরকারি পিসিআর ল্যাব ও রূপগঞ্জ উপজেলায় বেসরকারি গাজী পিসিআর ল্যাবে নিয়মিত নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। নমুনা সংগ্রহের ব্যাপারে কোন ধরনের জটিলতা নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই নমুনার ফলাফল প্রদান করার কথাও জানান ডা. জাহিদুল।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল হক। এ সময় কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধের পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধেও নানা নির্দেশনা দেয়া হয়। এক্ষেত্রে নিজ বাড়ি ও কর্মস্থলের আঙিনা পরিষ্কার রাখার নির্দেশনা দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১ , ২৭ পৌষ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
প্রতিরোধে চার নির্দেশনা
সৌরভ হোসেন সিয়াম, নারায়ণগঞ্জ
ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মতো করোনাভাইরাসও (কোভিড-১৯) স্থায়ী হবে জানিয়ে সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরিধানসহ চারটি নির্দেশনা দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতে থাকারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘কোভিড-১৯ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ’ শীর্ষক কর্মশালায় এ নির্দেশনা দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে বিভিন্ন পর্যায়ের গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
কর্মশালার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ‘খুব কম পরিমাণ হলেও কোভিড আমাদের সঙ্গে থেকে যাবে। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় জনসচেতনতা। উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। নারায়ণগঞ্জে করোনার সংক্রমণ এক সময় ভয়ঙ্কর মাত্রায় ছিল। এখন পরিমাণ অনেক কমে এসেছে। সবার সহযোগিতা ও সচেতনার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। তবে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে মিডিয়ার অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে।’ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড প্রমোশন প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত এই কর্মশালায় কোভিড-১৯ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিভাগের চারটি নির্দেশনার কথা উল্লেখ করেন জেলা করোনা ফোকাল পারসন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম। চার নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- ঘরের বাইরে বের হলে কিংবা ঘরোয়া কিন্তু জনবহুল কোন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গেলে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে সরকারের ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি অবলম্বনের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন ডা. জাহিদুল ইসলাম। এছাড়া নির্দিষ্ট সময় পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া কিংবা স্যানিটাইজ করা, জনবহুল স্থানে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথাও উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি করোনাভাইরাস সম্পর্কে সবাই অবগত থাকলেও তা নিয়ে অবহেলা দেখা দিয়েছে মন্তব্য করে জেলা করোনা ফোকাল পারসন বলেন, উপসর্গ দেখা দেয়ার পরও অনেকেই তা আমলে নিচ্ছেন না। এটা করা যাবে না। উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ‘কোভিডের চিকিৎসা নিয়ে জেলায় কোন সংকট নেই’ উল্লেখ করে ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, শহরে কোভিড ডেডিকেটেড নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে ১০টি আইসিইউসহ ১০০টি শয্যা রয়েছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়েও কোভিড রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে একটি সরকারি পিসিআর ল্যাব ও রূপগঞ্জ উপজেলায় বেসরকারি গাজী পিসিআর ল্যাবে নিয়মিত নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। নমুনা সংগ্রহের ব্যাপারে কোন ধরনের জটিলতা নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই নমুনার ফলাফল প্রদান করার কথাও জানান ডা. জাহিদুল।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল হক। এ সময় কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধের পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধেও নানা নির্দেশনা দেয়া হয়। এক্ষেত্রে নিজ বাড়ি ও কর্মস্থলের আঙিনা পরিষ্কার রাখার নির্দেশনা দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।