দলমত পার্থক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দলমত পথের পার্থক্য ভুলে গিয়ে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে লাখো শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ১১তম (শীতকালীন) এবং বছরের প্রথম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। এ সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে দেশ থেকে দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে পথে আমরা হাঁটছি, সে পথেই আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। তাই আসুন, দলমত-পথের পার্থক্য ভুলে গিয়ে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আমরা লাখো শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করি। তিনি বলেন, আমরা আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে। এ বছর মধ্য-আয়ের দেশ হিসেবে আমরা ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ পালন করব। তবে আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে বিশ্বসভায় একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত হওয়া। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা একটি কল্যাণমূলক, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সক্ষম হব।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রভাবে গোটা বিশ্বের ন্যায় আমাদের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পসহ অর্থনীতির সব সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ দফা নির্দেশনাসহ ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে নানামুখী দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছেন। সামাজিক সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সম্বলিত এক লাখ ২১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান অব্যাহত রাখায় প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক-কর্মচারীর চাকরি সুরক্ষা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়, প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভিনন্দন ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।

সরকার খুব শীঘ্রই দেশের জনগণকে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করতে পারবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব লাইফ সাইন্সেস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরাসরি ক্রয়ের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিএমএসডি’র মাধ্যমে জরুরিভিত্তিতে ভ্যাকসিন ক্রয় বাবদ ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রদান করা হয়। আমি আশা করছি সরকার খুব শীঘ্রই দেশের জনগণকে কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদান করতে পারবে।

গণতন্ত্রায়ন, সুশাসন ও নিরবচ্ছিন্ন আর্থসামাজিক উন্নয়নে সব রাজনৈতিক দল, শ্রেণী ও পেশা নির্বিশেষে ঐকমত্য গড়ে তোলার সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় সংসদ দেশের জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহতকরণ এবং জাতির অগ্রযাত্রায় সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলকেও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে। রাষ্ট্রপতি সরকারি দল ও বিরোধী দল নির্বিশেষে সবাইকে মহান জাতীয় সংসদে যথাযথ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিববর্ষ’ পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অভিন্ন সত্তা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক কিংবদন্তি। আপসহীন নেতৃত্ব, দৃঢ় মনোবল আর ত্যাগের মধ্য দিয়ে তিনি হয়ে উঠেন বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রধান নেতা। প্রতিটি বাঙালির কাছে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন মুক্তির মূলমন্ত্র। তিনি বলেন, জীবিত বঙ্গবন্ধুর মতোই অন্তরালের বঙ্গবন্ধু শক্তিশালী। মুজিববর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচিসহ কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর কারণে নির্ধারিত সময়ে যথাযথভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব না হওয়ায় সরকার মুজিববর্ষের মেয়াদকাল ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করেছে। মুজিবর্ষে গৃহীত সব কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

রেওয়াজ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদের উত্তর প্লাজা দিয়ে সংসদ ভবনে প্রবেশ করেন। অধিবেশন কক্ষে রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানান স্পিকার। এ সময় বিউগলে ফ্যানফেয়ার বাজানো হয়। রাষ্ট্রপতি অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করলে সবাই দাঁড়িয়ে তাকে সম্মান জানান এবং নিয়মানুযায়ী জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। স্পিকারের পাশের চেয়ারে বসেন রাষ্ট্রপতি। স্পিকার তাকে ভাষণ দেয়ার জন্য অনুরোধ জানানোর পর ডায়াসে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপ্রধান। ভাষণের সংক্ষিপ্তসার সংসদে পাঠ করেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি তার পুরো ভাষণটি পঠিত বলে গণ্য করার জন্য আহ্বান জানালে স্পিকার তা গ্রহণ করেন। বক্তব্য শেষে রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন প্রস্থানের সময়ও জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়।

মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১ , ৫ মাঘ ১৪২৭, ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দলমত পার্থক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দলমত পথের পার্থক্য ভুলে গিয়ে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে লাখো শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ১১তম (শীতকালীন) এবং বছরের প্রথম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। এ সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে দেশ থেকে দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে পথে আমরা হাঁটছি, সে পথেই আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। তাই আসুন, দলমত-পথের পার্থক্য ভুলে গিয়ে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আমরা লাখো শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করি। তিনি বলেন, আমরা আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে। এ বছর মধ্য-আয়ের দেশ হিসেবে আমরা ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ পালন করব। তবে আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে বিশ্বসভায় একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত হওয়া। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা একটি কল্যাণমূলক, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সক্ষম হব।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রভাবে গোটা বিশ্বের ন্যায় আমাদের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পসহ অর্থনীতির সব সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ দফা নির্দেশনাসহ ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে নানামুখী দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছেন। সামাজিক সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সম্বলিত এক লাখ ২১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান অব্যাহত রাখায় প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক-কর্মচারীর চাকরি সুরক্ষা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়, প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভিনন্দন ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।

সরকার খুব শীঘ্রই দেশের জনগণকে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করতে পারবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব লাইফ সাইন্সেস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরাসরি ক্রয়ের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিএমএসডি’র মাধ্যমে জরুরিভিত্তিতে ভ্যাকসিন ক্রয় বাবদ ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রদান করা হয়। আমি আশা করছি সরকার খুব শীঘ্রই দেশের জনগণকে কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদান করতে পারবে।

গণতন্ত্রায়ন, সুশাসন ও নিরবচ্ছিন্ন আর্থসামাজিক উন্নয়নে সব রাজনৈতিক দল, শ্রেণী ও পেশা নির্বিশেষে ঐকমত্য গড়ে তোলার সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় সংসদ দেশের জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহতকরণ এবং জাতির অগ্রযাত্রায় সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলকেও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে। রাষ্ট্রপতি সরকারি দল ও বিরোধী দল নির্বিশেষে সবাইকে মহান জাতীয় সংসদে যথাযথ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিববর্ষ’ পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অভিন্ন সত্তা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক কিংবদন্তি। আপসহীন নেতৃত্ব, দৃঢ় মনোবল আর ত্যাগের মধ্য দিয়ে তিনি হয়ে উঠেন বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রধান নেতা। প্রতিটি বাঙালির কাছে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন মুক্তির মূলমন্ত্র। তিনি বলেন, জীবিত বঙ্গবন্ধুর মতোই অন্তরালের বঙ্গবন্ধু শক্তিশালী। মুজিববর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচিসহ কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর কারণে নির্ধারিত সময়ে যথাযথভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব না হওয়ায় সরকার মুজিববর্ষের মেয়াদকাল ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করেছে। মুজিবর্ষে গৃহীত সব কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

রেওয়াজ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদের উত্তর প্লাজা দিয়ে সংসদ ভবনে প্রবেশ করেন। অধিবেশন কক্ষে রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানান স্পিকার। এ সময় বিউগলে ফ্যানফেয়ার বাজানো হয়। রাষ্ট্রপতি অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করলে সবাই দাঁড়িয়ে তাকে সম্মান জানান এবং নিয়মানুযায়ী জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। স্পিকারের পাশের চেয়ারে বসেন রাষ্ট্রপতি। স্পিকার তাকে ভাষণ দেয়ার জন্য অনুরোধ জানানোর পর ডায়াসে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপ্রধান। ভাষণের সংক্ষিপ্তসার সংসদে পাঠ করেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি তার পুরো ভাষণটি পঠিত বলে গণ্য করার জন্য আহ্বান জানালে স্পিকার তা গ্রহণ করেন। বক্তব্য শেষে রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন প্রস্থানের সময়ও জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়।