রংহীন গতিরোধক

সড়ক দুর্ঘটনা নামক অভিশাপে মৃত্যু ও অঙ্গহানি আমাদের দেশের নিয়মিত একটি ঘটনা। প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনার খবর সংবাদ মাধ্যমে জায়গা দখল করে। এসব দুর্ঘটনা কমাতে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের অন্যতম একটি হচ্ছে সড়কে গতিরোধক নির্মাণ। যানবাহনের বেপরোয়া গতি সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান একটি কারণ। আর ছোট-বড় সব যানবাহনের গতি সীমিত করতে গতিরোধকের বিকল্প নেই। সাধারণত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সামনের সড়কে নানা আকারের গতিরোধক দেয়া হয়। নিয়মের ধারাবাহিকতায় বান্দরবান পৌর এলাকার প্রধান ও ব্যস্ততম সড়কগুলোতেও পর্যাপ্ত গতিরোধক নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু গতিরোধকে নির্দিষ্ট রং না থাকায় গতিরোধকগুলোই এখন দুর্ঘটনা ও ভোগান্তির উপলক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে!

বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কের দুটি এবং পুলিশ সুপারের বাসভবনের অনতিদূরে থাকা মসজিদের সামনের দুটি গতিরোধকে কোনো রং নেই। এক্ষেত্রে, মূল সড়কের পিচের রং ও গতিরোধকগুলোর রং একই। আবার, বেশকিছু গতিরোধকের রং উঠে গেছে। তাছাড়া গতিরোধকগুলোর আগে বা পরে সতর্কবার্তাসমৃদ্ধ কোন সাইনবোর্ডও নেই। এ কারণে গাড়ি চালকরা গতিরোধকের অস্তিত্ব বুঝতে পারে না। বড় যানবাহনগুলো গতিরোধকের হঠাৎ ধাক্কা সামলাতে পারলেও মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, সিএনজি এবং অন্যান্য যাত্রীবহনকারী পরিবহনগুলোকে প্রতিনিয়ত ঝাঁকুনির সম্মুখীন হতে হয়। এসব গাড়ির যাত্রীদের ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। রোগী, শিশু ও বৃদ্ধদের সমস্যা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। তাই, রংহীন গতিরোধকগুলোতে নির্দিষ্ট রং লাগানোর পাশাপাশি গতিরোধকের আগে ও পরে বিশেষ সতর্কবার্তাসমৃদ্ধ সাইনবোর্ড নিশ্চিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।

আবু ফারুক

বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৪ ফাল্গুন ১৪২৭ ৪ রজব ১৪৪২

রংহীন গতিরোধক

সড়ক দুর্ঘটনা নামক অভিশাপে মৃত্যু ও অঙ্গহানি আমাদের দেশের নিয়মিত একটি ঘটনা। প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনার খবর সংবাদ মাধ্যমে জায়গা দখল করে। এসব দুর্ঘটনা কমাতে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের অন্যতম একটি হচ্ছে সড়কে গতিরোধক নির্মাণ। যানবাহনের বেপরোয়া গতি সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান একটি কারণ। আর ছোট-বড় সব যানবাহনের গতি সীমিত করতে গতিরোধকের বিকল্প নেই। সাধারণত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সামনের সড়কে নানা আকারের গতিরোধক দেয়া হয়। নিয়মের ধারাবাহিকতায় বান্দরবান পৌর এলাকার প্রধান ও ব্যস্ততম সড়কগুলোতেও পর্যাপ্ত গতিরোধক নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু গতিরোধকে নির্দিষ্ট রং না থাকায় গতিরোধকগুলোই এখন দুর্ঘটনা ও ভোগান্তির উপলক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে!

বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কের দুটি এবং পুলিশ সুপারের বাসভবনের অনতিদূরে থাকা মসজিদের সামনের দুটি গতিরোধকে কোনো রং নেই। এক্ষেত্রে, মূল সড়কের পিচের রং ও গতিরোধকগুলোর রং একই। আবার, বেশকিছু গতিরোধকের রং উঠে গেছে। তাছাড়া গতিরোধকগুলোর আগে বা পরে সতর্কবার্তাসমৃদ্ধ কোন সাইনবোর্ডও নেই। এ কারণে গাড়ি চালকরা গতিরোধকের অস্তিত্ব বুঝতে পারে না। বড় যানবাহনগুলো গতিরোধকের হঠাৎ ধাক্কা সামলাতে পারলেও মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, সিএনজি এবং অন্যান্য যাত্রীবহনকারী পরিবহনগুলোকে প্রতিনিয়ত ঝাঁকুনির সম্মুখীন হতে হয়। এসব গাড়ির যাত্রীদের ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। রোগী, শিশু ও বৃদ্ধদের সমস্যা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। তাই, রংহীন গতিরোধকগুলোতে নির্দিষ্ট রং লাগানোর পাশাপাশি গতিরোধকের আগে ও পরে বিশেষ সতর্কবার্তাসমৃদ্ধ সাইনবোর্ড নিশ্চিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।

আবু ফারুক