নদী খননে দুর্নীতি ও প্রতারণা হচ্ছে বাপা

অপরিকল্পিতভাবে খননের ফলে নদী তার বৈশিষ্ট্য হারাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। তাই নদ-নদীগুলোতে যে ধরনের ড্রেজিং হচ্ছে, তা সুব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হচ্ছে না। নদী খননে দুর্নীতি ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। এর প্রভাব নদীপাড়ের মানুষের ওপর পড়ছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২১ উপলক্ষে গতকাল ‘বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থাপনা ও খনন’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এই দাবি করে পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন, বাপার সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) উপদেষ্টা মমিনুল হক সরকার, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার লকহ্যাভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. খালেকুজ্জামান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তুহিন ওয়াদুদ ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার প্রমুখ।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আসলে নদ-নদী রক্ষায় সঠিক পন্থা অনুসরণ করা হলে খননের দরকার হতো না। বাপার পক্ষ থেকে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু দুর্নীতি এত ব্যাপক হয়ে গেছে যে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাপার না। সে খেলাটাই দেখছি। সেখান থেকে ফেরার জন্য গবেষণা, সুপারিশ, তথ্য উপস্থাপন করে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে।’

মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘আজকের সমস্যাগুলো আগেও উঠে এসেছে। সবকিছু না জেনে ড্রেজিং করা যায় না। এখন আমাদের সমাধান খুঁজতে হবে। খননকাজ করতে গেলে হাইড্রোমরফজিক্যাল স্টাডি হচ্ছে কিনা, তা দেখতে হবে। নদীর জন্য ভালো কাজ করতে পারলে তার সুফল সরকার পাবে। এক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব দরকার। এক্ষেত্রে যারা দক্ষ, তাদের কাজে লাগাতে হবে।’

এ সময় বক্তারা বলেন, নদীগুলোকে মেরে ফেলা হচ্ছে। নদী পরিচয় হারাচ্ছে। নদীকে বলা হচ্ছে খাল। নদী রক্ষায় কোন সামগ্রিক পরিকল্পনা নেই। ডেল্টাপ্ল্যানকে ভাবা হয়েছিল সামগ্রিক পরিকল্পনা হিসেবে। কিন্তু তা বাস্তবে দেখা যায়নি। নদ-নদী রক্ষার ক্ষেত্রে পুরোটাই অরাজক পরিস্থিতি চলছে। নদীতে ড্রেজিং করে নদীতেই ফেলা হচ্ছে। বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা না করে লুটপাটের প্রকল্প নেয়ায় সে প্রকল্প গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। একটা নদীও পরিকল্পনা অনুযায়ী খনন করা হচ্ছে না। নদীকে খনন করতে হলে যা বিবেচনায় নেয়া দরকার, তা আমলে নেয়া হয় না।

সোমবার, ০৭ জুন ২০২১ , ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৫ শাওয়াল ১৪৪২

নদী খননে দুর্নীতি ও প্রতারণা হচ্ছে বাপা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

অপরিকল্পিতভাবে খননের ফলে নদী তার বৈশিষ্ট্য হারাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। তাই নদ-নদীগুলোতে যে ধরনের ড্রেজিং হচ্ছে, তা সুব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হচ্ছে না। নদী খননে দুর্নীতি ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। এর প্রভাব নদীপাড়ের মানুষের ওপর পড়ছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২১ উপলক্ষে গতকাল ‘বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থাপনা ও খনন’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এই দাবি করে পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন, বাপার সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) উপদেষ্টা মমিনুল হক সরকার, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার লকহ্যাভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. খালেকুজ্জামান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তুহিন ওয়াদুদ ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার প্রমুখ।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আসলে নদ-নদী রক্ষায় সঠিক পন্থা অনুসরণ করা হলে খননের দরকার হতো না। বাপার পক্ষ থেকে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু দুর্নীতি এত ব্যাপক হয়ে গেছে যে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাপার না। সে খেলাটাই দেখছি। সেখান থেকে ফেরার জন্য গবেষণা, সুপারিশ, তথ্য উপস্থাপন করে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে।’

মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘আজকের সমস্যাগুলো আগেও উঠে এসেছে। সবকিছু না জেনে ড্রেজিং করা যায় না। এখন আমাদের সমাধান খুঁজতে হবে। খননকাজ করতে গেলে হাইড্রোমরফজিক্যাল স্টাডি হচ্ছে কিনা, তা দেখতে হবে। নদীর জন্য ভালো কাজ করতে পারলে তার সুফল সরকার পাবে। এক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব দরকার। এক্ষেত্রে যারা দক্ষ, তাদের কাজে লাগাতে হবে।’

এ সময় বক্তারা বলেন, নদীগুলোকে মেরে ফেলা হচ্ছে। নদী পরিচয় হারাচ্ছে। নদীকে বলা হচ্ছে খাল। নদী রক্ষায় কোন সামগ্রিক পরিকল্পনা নেই। ডেল্টাপ্ল্যানকে ভাবা হয়েছিল সামগ্রিক পরিকল্পনা হিসেবে। কিন্তু তা বাস্তবে দেখা যায়নি। নদ-নদী রক্ষার ক্ষেত্রে পুরোটাই অরাজক পরিস্থিতি চলছে। নদীতে ড্রেজিং করে নদীতেই ফেলা হচ্ছে। বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা না করে লুটপাটের প্রকল্প নেয়ায় সে প্রকল্প গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। একটা নদীও পরিকল্পনা অনুযায়ী খনন করা হচ্ছে না। নদীকে খনন করতে হলে যা বিবেচনায় নেয়া দরকার, তা আমলে নেয়া হয় না।