তিন যুগ পার করলো ঢাবি সাংবাদিক সমিতি

বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা এবং অকৃত্রিম পেশাদারিত্বকে সঙ্গী করে তিন যুগ পার করলো দেশের ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের অন্যতম প্রাচীন সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিÑডুজা। গতকাল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আর বর্ণিল আয়োজনে সংগঠনটির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে কেক কাটা, আনন্দ র‌্যালি ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচসহ নানান কর্মসূচিতে অংশ নেন সংগঠনের সদস্যরা।

গতকাল সকালে কেক কেটে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ডুজা’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডুজার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার খায়রুজ্জামান কামাল, সংগঠনের সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল কবিরসহ সমিতির সাধারণ সদস্যরা।

প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, যখন কেউ নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে, তখন তার মস্তিষ্ক সবকিছু নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করে। তাই আমাদের উচিত এটি পরিহার করা। আমাদের সবসময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের প্রতি গুরুত্ব দেয়া উচিত। আমাদের লক্ষ্য হলো সুন্দর ও কল্যাণের উন্নয়ন ঘটানো। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে যেকোন বিষয়কে সুন্দর করে তোলা যায়।

উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা দ্বৈত ভূমিকা পালন করেন। তারা একসঙ্গে শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিক। দুটি ক্ষেত্রে কাজ করতে গিয়ে তারা সবসময় বস্তুনিষ্ঠতার প্রতি গুরুত্ব দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ায় তাদের মাঝে পেশাদারিত্বের মনোভাব শক্তিশালী অবস্থানে থাকে। সমিতির সব সদস্যকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব উন্নয়ন এবং অন্যান্য সংবাদ তুলে ধরার আহ্বান জানান উপাচার্য। সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ইতিহাস, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ইতিহাস। অতীতেও এর সদস্যরা নিজেদের নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে যেভাবে কাজ করে এসেছে, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আগামীতেও সেভাবেই কাজ করে যাবে।

সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল কবির বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা বিচ্ছিন্নভাবে ছিল। বেশ কয়েকবার সংগঠন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হলেও সেটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। ১৩ জন ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের হাত ধরে ডাকসু থেকে ১৯৮৫ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে সাংবাদিক সমিতি। শুরুর কঠিন পথ পেরিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৫ আশ্বিন ১৪২৮ ১১ সফর ১৪৪৩

তিন যুগ পার করলো ঢাবি সাংবাদিক সমিতি

ঢাবি প্রতিনিধি

বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা এবং অকৃত্রিম পেশাদারিত্বকে সঙ্গী করে তিন যুগ পার করলো দেশের ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের অন্যতম প্রাচীন সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিÑডুজা। গতকাল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আর বর্ণিল আয়োজনে সংগঠনটির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে কেক কাটা, আনন্দ র‌্যালি ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচসহ নানান কর্মসূচিতে অংশ নেন সংগঠনের সদস্যরা।

গতকাল সকালে কেক কেটে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ডুজা’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডুজার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার খায়রুজ্জামান কামাল, সংগঠনের সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল কবিরসহ সমিতির সাধারণ সদস্যরা।

প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, যখন কেউ নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে, তখন তার মস্তিষ্ক সবকিছু নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করে। তাই আমাদের উচিত এটি পরিহার করা। আমাদের সবসময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের প্রতি গুরুত্ব দেয়া উচিত। আমাদের লক্ষ্য হলো সুন্দর ও কল্যাণের উন্নয়ন ঘটানো। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে যেকোন বিষয়কে সুন্দর করে তোলা যায়।

উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা দ্বৈত ভূমিকা পালন করেন। তারা একসঙ্গে শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিক। দুটি ক্ষেত্রে কাজ করতে গিয়ে তারা সবসময় বস্তুনিষ্ঠতার প্রতি গুরুত্ব দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ায় তাদের মাঝে পেশাদারিত্বের মনোভাব শক্তিশালী অবস্থানে থাকে। সমিতির সব সদস্যকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব উন্নয়ন এবং অন্যান্য সংবাদ তুলে ধরার আহ্বান জানান উপাচার্য। সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ইতিহাস, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ইতিহাস। অতীতেও এর সদস্যরা নিজেদের নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে যেভাবে কাজ করে এসেছে, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আগামীতেও সেভাবেই কাজ করে যাবে।

সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল কবির বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা বিচ্ছিন্নভাবে ছিল। বেশ কয়েকবার সংগঠন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হলেও সেটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। ১৩ জন ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের হাত ধরে ডাকসু থেকে ১৯৮৫ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে সাংবাদিক সমিতি। শুরুর কঠিন পথ পেরিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।