রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি

শেষ দিনও ছিল উপচেপড়া ভিড়

অনলাইন ও অ্যাপসে ভোগান্তি

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গতকাল শেষ হয়েছে রেলওয়ে অগ্রিম টিকিট বিক্রি। আগামী ২৯ মে থেকে বিক্রি করা হবে ফিরতি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট। গতকাল শেষদিন দেয়া হয়েছে ৪ জুনের যাত্রার টিকিট। ওইদিনেও কমলাপুর স্টেশনে কাউন্টারে ছিল টিকিট প্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়। তবে অনলাইনে ও অ্যাপসের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহের ভোগান্তি কাটেনি শেষদিনেও। ঈদের আগাম টিকিট বিক্রির পঞ্চম দিন গতকালও অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কিনতে না পারার অভিযোগ করছেন অনেক যাত্রী। বাধ্য হয়ে তারা কমলাপুর স্টেশনসহ বিভিন্ন গন্তব্যের জন্য নির্দিষ্ট কাউন্টারে লাইনে টিকিট সংগ্রহ করেন। ফলে দ্বিগুণ ভোগান্তির শিকার হয়েছে বলে টিকিট প্রত্যাশীরা জানান।

সরেজমিনে রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল সকাল থেকেই কমলাপুর স্টেশনে ছিলো টিকিট প্রত্যাশীদের প্রচ- ভিড়। শেষদিনের টিকিট সংগ্রহের জন্য গত শনিবার বিকেল থেকে স্টেশনে অপেক্ষায় ছিল টিকিট প্রত্যাশীরা। কিন্তু গরমের দীর্ঘ লাইনে ধরে টিকিট সংগ্রহের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। নতুন রেলমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী কাউন্টারের বাইরে রেলসেবা অ্যাপ থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। কিন্তু অ্যাপ কোন কাজ করছে না। তাই কষ্ট হলেও লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হচ্ছে বলে যাত্রীরা জানায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে রেলসেবা অ্যাপ থেকে অনেকেই টিকিট সংগ্রহ করছে তাই অ্যাপসের কোন টিকিট অবশিষ্ট নেই বলে জানান রেল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালত মিয়াজাহান সংবাদকে বলেন, রেলসেবা অ্যাপসে ৫০ শর্তাশ টিকিট দেয়া হয়েছে। কিছু লোক অ্যাপ থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে না পারলেও অধিকাংশ যাত্রী অ্যাপ থেকে টিকিট সংগ্রহ করছেন। এরপর অ্যাপসে যদি অবিক্রিত টিকিট থেকে থাকে তা ৫ দিন পরে কাউন্টার চলে আসবে। কিন্তু আমাদের না মতে রেলওয়ে অ্যাপসে কোন বিক্রীত টিকিট নেই।

কিন্তু রেলসেবা অ্যাপ থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে না পেরে গতকালও কমলাপুর স্টেশনে থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে অনেককেই। কামাল হোসেন নামের রাজধানীর এক যাত্রী বলেন, রাজশাহী যাওয়ার সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট মোবাইল অ্যাপে কিনতে ব্যর্থ হয়ে কমলাপুর এসেছি। অনেক চেষ্টা করেও মোবাইল অ্যাপে ঢুকতেই পারি না। সকাল থেকে অনলাইনে এবং অ্যাপে চেষ্টা করেছি। রেলওয়ের ওয়েবসাইটে তাও ঢোকা যায় কিন্তু অ্যাপে ঢুকতেই পারি না। অ্যাপ ডাউনলোড করেও আবার ডিলিট করে দিয়েছি। পরে লাইনে এসে দাঁড়িয়েছি।’

খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মাহবুব আলম নামের এক যাত্রী বলেন, অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দুই দিন তিনি মোবাইলের অ্যাপে টিকিট কেনার চেষ্টা করে বিফল হয়েছি। আমার বাসায় তো ব্রডব্যান্ড নাই। পাড়ার একটা কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে অনলাইনে টিকিট কেনার চেষ্টা করেছি। একইভাবে মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করেও টিকিট কেনার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারি নাই, এখন এখান থেকে টিকিট পাই কি না দেখি।’

রেলওয়ের অনলাইন টিকিট সেবা দিচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিএন?এস। গতকাল রোববার ঢাকার স্টেশন থেকে অনলাইনে বরাদ্দ আছে ১০ হাজার ৫৬১টি টিকিট। এর মধ্যে দুপুর একটার ২০ মিনিট পর্যন্ত ৬ হাজার ৫৭৩টি টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে সিএন?এসবিডি। তবে কমলাপুর স্টেশনের মনিটরে প্রদর্শিত সিএনএসবিডির এ তথ্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কিনতে আসা এক যাত্রী। পাভেল নামের এই যাত্রী বলেন, তারা দেখাচ্ছে কয়েক হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এই টিকিট পেল কারা? আমি এখানে আসার পরও সকাল থেকে ৩৫-৪০ বার অ্যাপে টিকিট কেনার চেষ্টা করেছি, পারিনি। এখানে আমার আশপাশে যারা আছেন সবাই চেষ্টা করেছে অ্যাপসে টিকিট কেনার। আমার জানামতে কেউ পায়নি। অ্যাপে যদি এত টিকিট বিক্রি হতো তাহলে আমরা সবাই এখানে কেন?’

ঈদের পর ই-টিকেটিংয়ের অব্যস্থাপনার অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের বলেন, তারা (সিএনএসবিডি) আমাদের বলছে একসাথে প্রায় চার লাখ লোক অনলাইনে টিকিট কিনতে চায়। এ কারণে সবাইকে টিকিট দেওয়া সম্ভব হয়নি। ঈদের পর আমরা বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখব। তাদের যুক্তি সঠিক প্রমাণ না হলে আমরা অন্য চিন্তা করব।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঈদের ফিরতি টিকিট পাওয়া যাবে ২৯ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত। ২৯ মে ৭ জুনের, ৩০ মে ৮ জুনের, ৩১ মে ৯ জুনের আর ১ জুন ১০ ও ১১ জুনের টিকিট পাওয়া যাবে। ঈদ উপলক্ষ্যে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। ট্রেনগুলো হলোÑ দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (১ জোড়া) ঃ ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা, চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (২ জোড়া) ঃ চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম, মৈত্রীর রেক দিয়ে খুলনা ঈদ স্পেশাল : খুলনা-ঢাকা-খুলনা, ঈশ্বরদী ঈদ স্পেশাল : ঢাকা-ঈশ্বরদী-ঢাকা,লালমনি ঈদ স্পেশাল : লালমনিরহাট-ঢাকা-লালমনিরহাট, সোলাকিয়া স্পেশাল-১ ঃ ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার, সোলাকিয়া স্পেশাল-২ ঃ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ- ময়মনসিংহ, পবিত্র ঈদের দিন। ৫ দিন পূর্ব থেকে ঈদের পূর্ব দিন পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের অফ-ডে থাকবে না।

সোমবার, ২৭ মে ২০১৯ , ১৩ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ২১ রমজান ১৪৪০

রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি

শেষ দিনও ছিল উপচেপড়া ভিড়

অনলাইন ও অ্যাপসে ভোগান্তি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

গতকাল শেষ দিন ছিল রেলের অগ্রিম টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইন -সংবাদ

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গতকাল শেষ হয়েছে রেলওয়ে অগ্রিম টিকিট বিক্রি। আগামী ২৯ মে থেকে বিক্রি করা হবে ফিরতি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট। গতকাল শেষদিন দেয়া হয়েছে ৪ জুনের যাত্রার টিকিট। ওইদিনেও কমলাপুর স্টেশনে কাউন্টারে ছিল টিকিট প্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়। তবে অনলাইনে ও অ্যাপসের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহের ভোগান্তি কাটেনি শেষদিনেও। ঈদের আগাম টিকিট বিক্রির পঞ্চম দিন গতকালও অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কিনতে না পারার অভিযোগ করছেন অনেক যাত্রী। বাধ্য হয়ে তারা কমলাপুর স্টেশনসহ বিভিন্ন গন্তব্যের জন্য নির্দিষ্ট কাউন্টারে লাইনে টিকিট সংগ্রহ করেন। ফলে দ্বিগুণ ভোগান্তির শিকার হয়েছে বলে টিকিট প্রত্যাশীরা জানান।

সরেজমিনে রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল সকাল থেকেই কমলাপুর স্টেশনে ছিলো টিকিট প্রত্যাশীদের প্রচ- ভিড়। শেষদিনের টিকিট সংগ্রহের জন্য গত শনিবার বিকেল থেকে স্টেশনে অপেক্ষায় ছিল টিকিট প্রত্যাশীরা। কিন্তু গরমের দীর্ঘ লাইনে ধরে টিকিট সংগ্রহের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। নতুন রেলমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী কাউন্টারের বাইরে রেলসেবা অ্যাপ থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। কিন্তু অ্যাপ কোন কাজ করছে না। তাই কষ্ট হলেও লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হচ্ছে বলে যাত্রীরা জানায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে রেলসেবা অ্যাপ থেকে অনেকেই টিকিট সংগ্রহ করছে তাই অ্যাপসের কোন টিকিট অবশিষ্ট নেই বলে জানান রেল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালত মিয়াজাহান সংবাদকে বলেন, রেলসেবা অ্যাপসে ৫০ শর্তাশ টিকিট দেয়া হয়েছে। কিছু লোক অ্যাপ থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে না পারলেও অধিকাংশ যাত্রী অ্যাপ থেকে টিকিট সংগ্রহ করছেন। এরপর অ্যাপসে যদি অবিক্রিত টিকিট থেকে থাকে তা ৫ দিন পরে কাউন্টার চলে আসবে। কিন্তু আমাদের না মতে রেলওয়ে অ্যাপসে কোন বিক্রীত টিকিট নেই।

কিন্তু রেলসেবা অ্যাপ থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে না পেরে গতকালও কমলাপুর স্টেশনে থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে অনেককেই। কামাল হোসেন নামের রাজধানীর এক যাত্রী বলেন, রাজশাহী যাওয়ার সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট মোবাইল অ্যাপে কিনতে ব্যর্থ হয়ে কমলাপুর এসেছি। অনেক চেষ্টা করেও মোবাইল অ্যাপে ঢুকতেই পারি না। সকাল থেকে অনলাইনে এবং অ্যাপে চেষ্টা করেছি। রেলওয়ের ওয়েবসাইটে তাও ঢোকা যায় কিন্তু অ্যাপে ঢুকতেই পারি না। অ্যাপ ডাউনলোড করেও আবার ডিলিট করে দিয়েছি। পরে লাইনে এসে দাঁড়িয়েছি।’

খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মাহবুব আলম নামের এক যাত্রী বলেন, অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দুই দিন তিনি মোবাইলের অ্যাপে টিকিট কেনার চেষ্টা করে বিফল হয়েছি। আমার বাসায় তো ব্রডব্যান্ড নাই। পাড়ার একটা কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে অনলাইনে টিকিট কেনার চেষ্টা করেছি। একইভাবে মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করেও টিকিট কেনার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারি নাই, এখন এখান থেকে টিকিট পাই কি না দেখি।’

রেলওয়ের অনলাইন টিকিট সেবা দিচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিএন?এস। গতকাল রোববার ঢাকার স্টেশন থেকে অনলাইনে বরাদ্দ আছে ১০ হাজার ৫৬১টি টিকিট। এর মধ্যে দুপুর একটার ২০ মিনিট পর্যন্ত ৬ হাজার ৫৭৩টি টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে সিএন?এসবিডি। তবে কমলাপুর স্টেশনের মনিটরে প্রদর্শিত সিএনএসবিডির এ তথ্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কিনতে আসা এক যাত্রী। পাভেল নামের এই যাত্রী বলেন, তারা দেখাচ্ছে কয়েক হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এই টিকিট পেল কারা? আমি এখানে আসার পরও সকাল থেকে ৩৫-৪০ বার অ্যাপে টিকিট কেনার চেষ্টা করেছি, পারিনি। এখানে আমার আশপাশে যারা আছেন সবাই চেষ্টা করেছে অ্যাপসে টিকিট কেনার। আমার জানামতে কেউ পায়নি। অ্যাপে যদি এত টিকিট বিক্রি হতো তাহলে আমরা সবাই এখানে কেন?’

ঈদের পর ই-টিকেটিংয়ের অব্যস্থাপনার অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের বলেন, তারা (সিএনএসবিডি) আমাদের বলছে একসাথে প্রায় চার লাখ লোক অনলাইনে টিকিট কিনতে চায়। এ কারণে সবাইকে টিকিট দেওয়া সম্ভব হয়নি। ঈদের পর আমরা বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখব। তাদের যুক্তি সঠিক প্রমাণ না হলে আমরা অন্য চিন্তা করব।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঈদের ফিরতি টিকিট পাওয়া যাবে ২৯ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত। ২৯ মে ৭ জুনের, ৩০ মে ৮ জুনের, ৩১ মে ৯ জুনের আর ১ জুন ১০ ও ১১ জুনের টিকিট পাওয়া যাবে। ঈদ উপলক্ষ্যে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। ট্রেনগুলো হলোÑ দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (১ জোড়া) ঃ ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা, চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (২ জোড়া) ঃ চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম, মৈত্রীর রেক দিয়ে খুলনা ঈদ স্পেশাল : খুলনা-ঢাকা-খুলনা, ঈশ্বরদী ঈদ স্পেশাল : ঢাকা-ঈশ্বরদী-ঢাকা,লালমনি ঈদ স্পেশাল : লালমনিরহাট-ঢাকা-লালমনিরহাট, সোলাকিয়া স্পেশাল-১ ঃ ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার, সোলাকিয়া স্পেশাল-২ ঃ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ- ময়মনসিংহ, পবিত্র ঈদের দিন। ৫ দিন পূর্ব থেকে ঈদের পূর্ব দিন পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের অফ-ডে থাকবে না।