অনিয়ম খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি

বৈধতা দিল সিন্ডিকেট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে বলে নির্বাচনে অংশ নেয়া কয়েকজন প্রার্থী ও প্যানেলগুলোর অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়নি সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি। বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গ্রহণ করে ডাকসু নির্বাচনে অনিয়ম হয়নি বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সঙ্গে ডাকসু নির্বাচনের বৈধতা দেয় সিন্ডিকেট। এছাড়া সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীসহ ৪২ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। তখন নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করে এতে অংশ নেয়া পাঁচটি প্যানেল। প্যানেলগুলোর অভিযোগ ও আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক সাজেদা বানুকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঢাবি উপাচার্য ও পদাধিকারবলে ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে অভিযোগ তদন্ত করে প্রথমে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও পরে ১৫ কার্যদিবস অতিরিক্ত সময় দেয়া হয়। কিন্তু এরপরও সে প্রতিবেদন দিতে দুই মাসের বেশি সময় নেয় সংশ্লিষ্ট কমিটি।

এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ জানান, ডাকসু নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে দাবি করে কয়েকজন প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত কমিটি অভিযোগকারী প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ওপর অনুসন্ধান করে। কিন্তু তারা কোন অনিয়মের প্রমাণ পাননি।

সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. হাসানুজ্জামান বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডাকসু নির্বাচনে কোন ধরনের কারচুপি হয়নি। সামান্য কোন ঘটনা ঘটে থাকলেও তা ফলাফলে কোন প্রভাব ফেলেনি। প্রতিবেদন দাখিলের পর তা গ্রহণ করে ডাকসু নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছে সিন্ডিকেট।

শুক্রবার, ৩১ মে ২০১৯ , ১৭ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ২৫ রমজান ১৪৪০

ডাকসু নির্বাচন

অনিয়ম খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি

বৈধতা দিল সিন্ডিকেট

প্রতিনিধি, ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে বলে নির্বাচনে অংশ নেয়া কয়েকজন প্রার্থী ও প্যানেলগুলোর অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়নি সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি। বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গ্রহণ করে ডাকসু নির্বাচনে অনিয়ম হয়নি বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সঙ্গে ডাকসু নির্বাচনের বৈধতা দেয় সিন্ডিকেট। এছাড়া সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীসহ ৪২ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। তখন নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করে এতে অংশ নেয়া পাঁচটি প্যানেল। প্যানেলগুলোর অভিযোগ ও আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক সাজেদা বানুকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঢাবি উপাচার্য ও পদাধিকারবলে ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে অভিযোগ তদন্ত করে প্রথমে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও পরে ১৫ কার্যদিবস অতিরিক্ত সময় দেয়া হয়। কিন্তু এরপরও সে প্রতিবেদন দিতে দুই মাসের বেশি সময় নেয় সংশ্লিষ্ট কমিটি।

এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ জানান, ডাকসু নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে দাবি করে কয়েকজন প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত কমিটি অভিযোগকারী প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ওপর অনুসন্ধান করে। কিন্তু তারা কোন অনিয়মের প্রমাণ পাননি।

সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. হাসানুজ্জামান বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডাকসু নির্বাচনে কোন ধরনের কারচুপি হয়নি। সামান্য কোন ঘটনা ঘটে থাকলেও তা ফলাফলে কোন প্রভাব ফেলেনি। প্রতিবেদন দাখিলের পর তা গ্রহণ করে ডাকসু নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছে সিন্ডিকেট।