বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম

পিয়াজ আদা রসুন মাছ-মাংস বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

বাজেটের পর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বেড়েছে ভারতীয় পিয়াজ, আদা ও রসুনের দাম। তিন থেকে চার দিন ধরে বাড়তি এসব পণ্যের দাম। আর অনেকটাই স্থির আছে মরিচ ও হলুদের দাম। গতকাল সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতি কেজিতে ভারতীয় পিয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৬ টাকা। আর দেশি পিয়াজের দাম আগের দামই রয়েছে। তবে বাড়েনি সবজি, মাছ, মাংস, তেল, মসলাসহ অন্য পণ্যের দাম। কাঁচা বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম বরং কিছুটা কমেছে। কিন্তু মাছের দাম আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজেট বাস্তবায়ন হলে কী হবে তা নিয়ে শঙ্কা ক্রেতাদের।

গতকাল কারওয়ানবাজারের পিয়াজের আড়তদার আল আমিন বলেন, তিন থেকে চারদিন আগে প্রতি কেজি ভারতীয় পিয়াজ ২৪ টাকা ও পাল্লা ১২০ টাকা বিক্রি করেছি। এখন সেটা তারা বিক্রি করতে হয়েছে ৩০ টাকা কেজি আর পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। প্রতি কেজিতে পিয়াজের দাম বেড়েছে ৬ টাকা। রোজা ও ঈদের পর এই প্রথমবারের মতো ভারতীয় পিয়াজের দাম বাড়ল। বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে বলে বেশি দামে বিক্রি করছেন বলেও জানান বিক্রেতারা।

এদিকে দেশি পিয়াজের আড়তদার রোবেল মিয়া বলেন, এখন দেশি পিয়াজ পাইকারি ২২ থেকে ২৪ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। আগে প্রায় এরকম দামেই দেশি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে। বাজেটের পর দাম বাড়েনি। তাই আগের দামেই বিক্রি করছি। রসুন, হলুদ, আদা, মরিচসহ বেশকিছু পণ্য পাইকারি বিক্রি করেন সাগর। তিনি জানান, ঈদের পর থেকেই বাড়তি ছিল চীনা আদার দাম। তিন থেকে চার দিন ধরে বেড়েছে দেশি রসুন, চীনা রসুন এবং দেশি আদার দাম। মরিচ আর হলুদের দাম প্রায় একই আছে। রোজার সময় চীনা আদা ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছেন। ঈদের পর থেকেই এই আদার দাম বেড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা হয়ে যায়। এখন তারা বিক্রি করছেন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। তিন থেকে চার দিন আগেও দেশি আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করেছেন, এখন সেটা তারা বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।

সাগর আরও জানান, তিন থেকে চার দিন আগে দেশি রসুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করেছেন, সেই রসুন এখন বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। বাজেটের পর কেজিতে বেড়েছে প্রায় ২০ টাকা। তিন থেকে চার দিন আগে চায়না রসুন প্রতিকেজি বিক্রি করেছেন ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, এখন বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। বাজেটের পর চীনা রসুনেও কেজিতে দাম বেড়েছে প্রায় ২০ টাকা।

মরিচ ও হলুদের দামের খুব একটা পার্থক্য হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, শুকনা মরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। হলুদ বিক্রি করছেন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। এগুলোর দাম প্রায় একই আছে।

গতকাল কারওয়ানবাজারে পাইকারিতে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) পটল ৬০ টাকা, বেগুন প্রতি পাল্লা ১০০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি পাল্লা ৮০ টাকা, আলু (সাদা বড়) পাল্লাপ্রতি ৭৫ টাকা, শসার পাল্লা ১২০ টাকা, পেঁপের পাল্লা ১২০ টাকা, পাকা টমেটোর পাল্লা ১২০ টাকা, করলা পাল্লা প্রতি ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতিটি (মাঝারি আকারের) ২৫ টাকা, ভালো কাঁচামরিচের পাল্লা ১৫০ টাকা, ঝিঙা পাল্লা প্রতি ১০০ টাকা, শিমের পাল্লা ১২০ টাকা, কাঁকরোলের পাল্লা ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, বরবটি পাল্লাপ্রতি ১০০ টাকা, দে?শি পিয়াজ পাল্লাপ্রতি ১৫০ টাকা এবং ভারতীয় পিয়াজ পাল্লাপ্রতি ১২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে দামের পার্থক্য চোখে পড়ার মতো। ক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারি বাজারে সবজি কিংবা অন্য তরি-তরকারির দাম যাই থাকুক, খুচরা বাজারে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি।

কারওয়ান বাজারের কাঁচামালের পাইকারি বিক্রেতারা বলেন, বাজেটের সঙ্গে সবজি চাষি কিংবা আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। বাজার মূল্য নিজস্ব গতিতেই চলছে। আপাতত সবজির আমদানি ভালো থাকায় দামটা বাড়েনি। বরং কিছু কিছু সবজিতে কমেছে।

শুক্রবার প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল ১০০ টাকা, হাইব্রিড মাঝারি মসুর ডাল ৯০ টাকা, বড় মসুর ডাল ৭০ টাকা, খেসারি ডাল ৬৫ টাকা, কাঁচা মাষকলাই ডাল ৮৫ টাকা, মুগ ডাল ১০৫ টাকা, ছোলার ডাল ৭৫ টাকা, আস্ত বুট ৮০ টাকা, খোলা চিনি ৫১ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগেও একই রকম দাম ছিল।

কারওয়ান বাজারের জব্বার স্টোরের মালিক আবদুল জব্বার বলেন, আমরা ঈদের পরে যে দামে বিক্রি শুরু করেছি এখনও সেই দামেই বিক্রি করছি। আমার জানা মতে কোন পণ্যের দাম বাড়েনি। দাম আগের মতই আছে। বাজারে বাজেটের প্রভাব বোঝা যাবে বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হলে। তখন নতুন করে মোকাম থেকে পণ্য আনতে গেলে দামের পার্থক্য বলা যাবে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছের দাম বরাবরের মতোই চড়া। মাংসের দামেও কোন পরিবর্তন নেই। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়, লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজিতে, গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকায় আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮৫০ টাকা কেজি।

খাসির মাংস বিক্রেতা আসাদুল বলেন, আমাদের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। এখানে সব ধরনের ক্রেতারা আসেন। পাইকারি, খুচরা সব ধরনের ক্রেতাই রয়েছেন। নতুন বাজেটের কারণে মাংসের দামে পরিবর্তন আসার কোন সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি।

ছুটির দিনে ঈদের পর প্রথম সাপ্তাহিক বাজার করতে এসে সরকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, ঈদের পরে প্রথম বাজারে এসেছি। আমার কাছে মনে হয়, কোন পণ্যের দাম বাড়েনি। বাজারে সবজির সরবরাহ ভালোই মনে হলো। তবে মাছের বাজারটা একটু চড়া। বাজেটের কারণে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে কোন পার্থক্য চোখে পড়েনি। দেখা যাক, সামনের দিনে কেমন থাকে।

শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯ , ১ আষাঢ় ১৪২৫, ১১ শাওয়াল ১৪৪০

বাজেটের প্রভাব বাজারে

বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম

পিয়াজ আদা রসুন মাছ-মাংস বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বাজেটের পর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বেড়েছে ভারতীয় পিয়াজ, আদা ও রসুনের দাম। তিন থেকে চার দিন ধরে বাড়তি এসব পণ্যের দাম। আর অনেকটাই স্থির আছে মরিচ ও হলুদের দাম। গতকাল সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতি কেজিতে ভারতীয় পিয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৬ টাকা। আর দেশি পিয়াজের দাম আগের দামই রয়েছে। তবে বাড়েনি সবজি, মাছ, মাংস, তেল, মসলাসহ অন্য পণ্যের দাম। কাঁচা বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম বরং কিছুটা কমেছে। কিন্তু মাছের দাম আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজেট বাস্তবায়ন হলে কী হবে তা নিয়ে শঙ্কা ক্রেতাদের।

গতকাল কারওয়ানবাজারের পিয়াজের আড়তদার আল আমিন বলেন, তিন থেকে চারদিন আগে প্রতি কেজি ভারতীয় পিয়াজ ২৪ টাকা ও পাল্লা ১২০ টাকা বিক্রি করেছি। এখন সেটা তারা বিক্রি করতে হয়েছে ৩০ টাকা কেজি আর পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। প্রতি কেজিতে পিয়াজের দাম বেড়েছে ৬ টাকা। রোজা ও ঈদের পর এই প্রথমবারের মতো ভারতীয় পিয়াজের দাম বাড়ল। বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে বলে বেশি দামে বিক্রি করছেন বলেও জানান বিক্রেতারা।

এদিকে দেশি পিয়াজের আড়তদার রোবেল মিয়া বলেন, এখন দেশি পিয়াজ পাইকারি ২২ থেকে ২৪ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। আগে প্রায় এরকম দামেই দেশি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে। বাজেটের পর দাম বাড়েনি। তাই আগের দামেই বিক্রি করছি। রসুন, হলুদ, আদা, মরিচসহ বেশকিছু পণ্য পাইকারি বিক্রি করেন সাগর। তিনি জানান, ঈদের পর থেকেই বাড়তি ছিল চীনা আদার দাম। তিন থেকে চার দিন ধরে বেড়েছে দেশি রসুন, চীনা রসুন এবং দেশি আদার দাম। মরিচ আর হলুদের দাম প্রায় একই আছে। রোজার সময় চীনা আদা ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছেন। ঈদের পর থেকেই এই আদার দাম বেড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা হয়ে যায়। এখন তারা বিক্রি করছেন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। তিন থেকে চার দিন আগেও দেশি আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করেছেন, এখন সেটা তারা বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।

সাগর আরও জানান, তিন থেকে চার দিন আগে দেশি রসুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করেছেন, সেই রসুন এখন বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। বাজেটের পর কেজিতে বেড়েছে প্রায় ২০ টাকা। তিন থেকে চার দিন আগে চায়না রসুন প্রতিকেজি বিক্রি করেছেন ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, এখন বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। বাজেটের পর চীনা রসুনেও কেজিতে দাম বেড়েছে প্রায় ২০ টাকা।

মরিচ ও হলুদের দামের খুব একটা পার্থক্য হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, শুকনা মরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। হলুদ বিক্রি করছেন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। এগুলোর দাম প্রায় একই আছে।

গতকাল কারওয়ানবাজারে পাইকারিতে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) পটল ৬০ টাকা, বেগুন প্রতি পাল্লা ১০০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি পাল্লা ৮০ টাকা, আলু (সাদা বড়) পাল্লাপ্রতি ৭৫ টাকা, শসার পাল্লা ১২০ টাকা, পেঁপের পাল্লা ১২০ টাকা, পাকা টমেটোর পাল্লা ১২০ টাকা, করলা পাল্লা প্রতি ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতিটি (মাঝারি আকারের) ২৫ টাকা, ভালো কাঁচামরিচের পাল্লা ১৫০ টাকা, ঝিঙা পাল্লা প্রতি ১০০ টাকা, শিমের পাল্লা ১২০ টাকা, কাঁকরোলের পাল্লা ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, বরবটি পাল্লাপ্রতি ১০০ টাকা, দে?শি পিয়াজ পাল্লাপ্রতি ১৫০ টাকা এবং ভারতীয় পিয়াজ পাল্লাপ্রতি ১২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে দামের পার্থক্য চোখে পড়ার মতো। ক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারি বাজারে সবজি কিংবা অন্য তরি-তরকারির দাম যাই থাকুক, খুচরা বাজারে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি।

কারওয়ান বাজারের কাঁচামালের পাইকারি বিক্রেতারা বলেন, বাজেটের সঙ্গে সবজি চাষি কিংবা আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। বাজার মূল্য নিজস্ব গতিতেই চলছে। আপাতত সবজির আমদানি ভালো থাকায় দামটা বাড়েনি। বরং কিছু কিছু সবজিতে কমেছে।

শুক্রবার প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল ১০০ টাকা, হাইব্রিড মাঝারি মসুর ডাল ৯০ টাকা, বড় মসুর ডাল ৭০ টাকা, খেসারি ডাল ৬৫ টাকা, কাঁচা মাষকলাই ডাল ৮৫ টাকা, মুগ ডাল ১০৫ টাকা, ছোলার ডাল ৭৫ টাকা, আস্ত বুট ৮০ টাকা, খোলা চিনি ৫১ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগেও একই রকম দাম ছিল।

কারওয়ান বাজারের জব্বার স্টোরের মালিক আবদুল জব্বার বলেন, আমরা ঈদের পরে যে দামে বিক্রি শুরু করেছি এখনও সেই দামেই বিক্রি করছি। আমার জানা মতে কোন পণ্যের দাম বাড়েনি। দাম আগের মতই আছে। বাজারে বাজেটের প্রভাব বোঝা যাবে বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হলে। তখন নতুন করে মোকাম থেকে পণ্য আনতে গেলে দামের পার্থক্য বলা যাবে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছের দাম বরাবরের মতোই চড়া। মাংসের দামেও কোন পরিবর্তন নেই। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়, লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজিতে, গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকায় আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮৫০ টাকা কেজি।

খাসির মাংস বিক্রেতা আসাদুল বলেন, আমাদের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। এখানে সব ধরনের ক্রেতারা আসেন। পাইকারি, খুচরা সব ধরনের ক্রেতাই রয়েছেন। নতুন বাজেটের কারণে মাংসের দামে পরিবর্তন আসার কোন সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি।

ছুটির দিনে ঈদের পর প্রথম সাপ্তাহিক বাজার করতে এসে সরকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, ঈদের পরে প্রথম বাজারে এসেছি। আমার কাছে মনে হয়, কোন পণ্যের দাম বাড়েনি। বাজারে সবজির সরবরাহ ভালোই মনে হলো। তবে মাছের বাজারটা একটু চড়া। বাজেটের কারণে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে কোন পার্থক্য চোখে পড়েনি। দেখা যাক, সামনের দিনে কেমন থাকে।