তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বরখাস্ত

কোন কারণ না দেখিয়েই তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মুরাত চেতিনকায়াকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। গত শনিবার প্রেসিডেন্টের এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে তাকে এ পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। ২০১৬ সাল থেকে মুরাত আঙ্কারার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন। তুরস্কের অর্থনৈতিক মন্দা, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও দেশটির মুদ্রা লিরার অস্থিরতা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের নীতিগত মতভিন্নতার জেরে তার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মুরাতকে বরখাস্তের পর ডেপুটি গভর্নর মুরাট উয়াসালকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। তবে মুরাতকে কেন সরিয়ে দেয়া হয়েছে, সরকারি প্রজ্ঞাপনে তার কোন কারণ বর্ণনা করা হয়নি। গত মাসে এরদোগান বলেন, উচ্চ সুদহার তুরস্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতার প্রতি আমার সম্মতি আছে। কিন্তু সুদের হারের নীতির বিরোধিতা করছি আমি। বিশেষকরে আমি উচ্চ সুদের বিরুদ্ধে। গত বছর তুরস্কের মুদ্রার মান পড়ে যায়। ফলে দাম বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের। একইসঙ্গে ঋণশোধ করাটাও কঠিন হয়ে যায় তুরস্কের। ফলে দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়। দুটি পৃথক সরকারি সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মুদ্রানীতি নিয়ে সরকারের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। একজন কর্মকর্তা জানান, এরদোগান ও অর্থমন্ত্রী বেরাত আলবারায়ক এর আগেও গভর্নরকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বাধীন দাবি করে পদত্যাগ করেননি। ফলে এ বরখাস্তের ঘটনায় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ব্যাংকটির সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহিম তুরহান বলেন, এ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকের গভর্নরকে সরিয়ে দেয়াটা আসলে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ওপর বিশাল এক ধাক্কা।

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০

তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বরখাস্ত

সংবাদ ডেস্ক

image

মুরাত চেতিনকায়া

কোন কারণ না দেখিয়েই তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মুরাত চেতিনকায়াকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। গত শনিবার প্রেসিডেন্টের এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে তাকে এ পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। ২০১৬ সাল থেকে মুরাত আঙ্কারার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন। তুরস্কের অর্থনৈতিক মন্দা, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও দেশটির মুদ্রা লিরার অস্থিরতা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের নীতিগত মতভিন্নতার জেরে তার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মুরাতকে বরখাস্তের পর ডেপুটি গভর্নর মুরাট উয়াসালকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। তবে মুরাতকে কেন সরিয়ে দেয়া হয়েছে, সরকারি প্রজ্ঞাপনে তার কোন কারণ বর্ণনা করা হয়নি। গত মাসে এরদোগান বলেন, উচ্চ সুদহার তুরস্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতার প্রতি আমার সম্মতি আছে। কিন্তু সুদের হারের নীতির বিরোধিতা করছি আমি। বিশেষকরে আমি উচ্চ সুদের বিরুদ্ধে। গত বছর তুরস্কের মুদ্রার মান পড়ে যায়। ফলে দাম বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের। একইসঙ্গে ঋণশোধ করাটাও কঠিন হয়ে যায় তুরস্কের। ফলে দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়। দুটি পৃথক সরকারি সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মুদ্রানীতি নিয়ে সরকারের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। একজন কর্মকর্তা জানান, এরদোগান ও অর্থমন্ত্রী বেরাত আলবারায়ক এর আগেও গভর্নরকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বাধীন দাবি করে পদত্যাগ করেননি। ফলে এ বরখাস্তের ঘটনায় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ব্যাংকটির সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহিম তুরহান বলেন, এ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকের গভর্নরকে সরিয়ে দেয়াটা আসলে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ওপর বিশাল এক ধাক্কা।