লিবিয়া পরিস্থিতি নিয়ে এরদোগান-পুতিনের আলোচনা

লিবিয়ার বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। গত শনিবার এক ফোনালাপে দুই নেতার মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় লিবিয়া পরিস্থিতি ছাড়াও আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে কথা বলেন এ দুই নেতা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম ডেইলি সাবাহ।

ফোনালাপে সম্প্রতি রাশিয়ার পানিসীমার বাইরে একটি রুশ ডুবোজাহাজ অগ্নিকান্ডে ১৪ নাবিকের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন এরদোগান। এদিকে লিবিয়ার অভিবাসী বন্দীশিবিরে ৩ জুলাইয়ের হামলার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দায়ী করেছে ত্রিপোলি। লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে অভিবাসী বন্দীশিবিরে হামলা চালিয়েছে আমিরাত। লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতারের বাহিনীকে সহায়তার উদ্দেশে তারা বন্দীশিবিরটিতে এ প্রাণঘাতী হামলা চালায়। তবে এ বিষয়ে সিএনএন-এর কাছে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি আমিরাতি কর্মকর্তারা। ৩ জুলাই অভিবাসী বন্দীশিবিরটিতে চালানো ওই হামলায় কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত হয়েছে। লিবিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাথি বাশাগা বলেন, এ হামলার জন্য আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দায়ী করছি। তারা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে আরও বিশদ তদন্ত চলছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতই এ হামলা চালিয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ রয়েছে কী? সিএনএনের এমন প্রশ্নের উত্তরে লিবিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাইলট ও টেকনিশিয়ানরা বিমানটির আওয়াজ শনাক্ত করেছেন। এর ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষমতা ছিল অনেক বেশি। এটি ২০১৪ সালে নিক্ষেপ করা বিধ্বংসী বোমার মতোই। ওই সময়েও আমিরাত লিবিয়ায় বোমাবর্ষণ করেছিল।

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০

লিবিয়া পরিস্থিতি নিয়ে এরদোগান-পুতিনের আলোচনা

সংবাদ ডেস্ক

লিবিয়ার বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। গত শনিবার এক ফোনালাপে দুই নেতার মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় লিবিয়া পরিস্থিতি ছাড়াও আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে কথা বলেন এ দুই নেতা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম ডেইলি সাবাহ।

ফোনালাপে সম্প্রতি রাশিয়ার পানিসীমার বাইরে একটি রুশ ডুবোজাহাজ অগ্নিকান্ডে ১৪ নাবিকের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন এরদোগান। এদিকে লিবিয়ার অভিবাসী বন্দীশিবিরে ৩ জুলাইয়ের হামলার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দায়ী করেছে ত্রিপোলি। লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে অভিবাসী বন্দীশিবিরে হামলা চালিয়েছে আমিরাত। লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতারের বাহিনীকে সহায়তার উদ্দেশে তারা বন্দীশিবিরটিতে এ প্রাণঘাতী হামলা চালায়। তবে এ বিষয়ে সিএনএন-এর কাছে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি আমিরাতি কর্মকর্তারা। ৩ জুলাই অভিবাসী বন্দীশিবিরটিতে চালানো ওই হামলায় কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত হয়েছে। লিবিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাথি বাশাগা বলেন, এ হামলার জন্য আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দায়ী করছি। তারা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে আরও বিশদ তদন্ত চলছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতই এ হামলা চালিয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ রয়েছে কী? সিএনএনের এমন প্রশ্নের উত্তরে লিবিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাইলট ও টেকনিশিয়ানরা বিমানটির আওয়াজ শনাক্ত করেছেন। এর ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষমতা ছিল অনেক বেশি। এটি ২০১৪ সালে নিক্ষেপ করা বিধ্বংসী বোমার মতোই। ওই সময়েও আমিরাত লিবিয়ায় বোমাবর্ষণ করেছিল।