সাপের কামড়ে বছরে নিহত ১ লাখ ৩৮ হাজার

বিশ্বে প্রতি বছর সাপের কামড়ে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে। আর সাপের কামড় খেয়ে থাকেন এক লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ। সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও (হু)। তবে তারা বলছে বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

সঠিক চিকিৎসা ও বিষ প্রতিষেধকের (অ্যান্টিভেনাম) অভাব থাকায় সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা উন্নয়নশীল দেশেই বেশি। সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে ২০৩০ পর্যন্ত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ‘হু’। এই পরিকল্পনার প্রধান লক্ষ্য, অ্যান্টিভেনাম ও চিকিৎসার ব্যবস্থা বাড়িয়ে তোলা। রিপোর্ট বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সাপের ছোবলে মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক। অন্যদিকে আমেরিকা ও ইউরোপে সাপের কামড়ে নিহতের সংখ্যা কম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর মাত্র ৫ জনের মৃত্যু হয়। ইউরোপের অনেক দেশে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়ই না বললে চলে। ‘হু’ জানিয়েছে, সাপের কামড়ে আফ্রিকা, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বেশি মৃত্যুর কারণ, চিকিৎসা পর্যাপ্ত নয়। তার সঙ্গে রয়েছে কুসংস্কার। এ কারণে ৮০ শতাংশ ছোবল খাওয়া ব্যক্তি ভরসা করেন ঝাড়ফুঁক ও ওঝার উপরেই। সেই কারণে বাড়ছে মৃত্যু।

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০

সাপের কামড়ে বছরে নিহত ১ লাখ ৩৮ হাজার

সংবাদ ডেস্ক

বিশ্বে প্রতি বছর সাপের কামড়ে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে। আর সাপের কামড় খেয়ে থাকেন এক লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ। সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও (হু)। তবে তারা বলছে বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

সঠিক চিকিৎসা ও বিষ প্রতিষেধকের (অ্যান্টিভেনাম) অভাব থাকায় সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা উন্নয়নশীল দেশেই বেশি। সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে ২০৩০ পর্যন্ত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ‘হু’। এই পরিকল্পনার প্রধান লক্ষ্য, অ্যান্টিভেনাম ও চিকিৎসার ব্যবস্থা বাড়িয়ে তোলা। রিপোর্ট বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সাপের ছোবলে মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক। অন্যদিকে আমেরিকা ও ইউরোপে সাপের কামড়ে নিহতের সংখ্যা কম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর মাত্র ৫ জনের মৃত্যু হয়। ইউরোপের অনেক দেশে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়ই না বললে চলে। ‘হু’ জানিয়েছে, সাপের কামড়ে আফ্রিকা, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বেশি মৃত্যুর কারণ, চিকিৎসা পর্যাপ্ত নয়। তার সঙ্গে রয়েছে কুসংস্কার। এ কারণে ৮০ শতাংশ ছোবল খাওয়া ব্যক্তি ভরসা করেন ঝাড়ফুঁক ও ওঝার উপরেই। সেই কারণে বাড়ছে মৃত্যু।