মুক্তি দেয়া অস্ট্রেলীয় শিক্ষার্থীকে গুপ্তচর দাবি উ. কোরিয়ার

উত্তর কোরিয়ায় আটকাবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া অস্ট্রেলীয় শিক্ষার্থী গুপ্তচর ছিল বলে দাবি করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা। সেখানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অ্যালেক্স সিজলি নামের ওই শিক্ষার্থী গুপ্তচরবৃত্তি করে বিদেশি মাধ্যমকে তথ্য সরবরাহ করছিল।

গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ায় অবস্থানরত ২৯ বছর বয়সী আলেক সিজলি নামের অস্ট্রেলিয়ীয় শিক্ষার্থীকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেছে তার পরিবার। তাদের আশঙ্কা, সিজলিকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের তরফে জানানো হয়, তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। পিয়ংইয়ংয়ের তরফ থেকেও ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে পরিস্থিতি মারাত্মক আখ্যা দিয়ে ওই শিক্ষার্থীর অবস্থান জানাতে পিয়ংইয়ং কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়। কিছুদিন পরেই নিখোঁজ হয়ে যাওয়া অস্ট্রেলীয় শিক্ষার্থীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, বিদেশি শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্র দিয়ে সংগ্রহ করার বেশ কিছু তথ্য তিনি একাধিকবার বিদেশি মিডিয়ার কাছে তুলে ধরেছেন। তার সর্বশেষ পোস্টেও তিনি পিয়ংইয়ং নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেছে।

সংবাদ মাধ্যম আলেকে প্রকাশিত ছয়টি আর্টিকেলে তার পুরো কাজের বিবরণ তুলে ধরা হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রকাশিত হয় নিবন্ধগুলো। আর সবগুলোই সরকারবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন এনকে নিউজের প্রধান নির্বাহী চাদ’ও ক্যারল। ২৯ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক সিগলি পিয়ংইয়ং এ স্নাতকোত্তরে পড়াশোনা করার পাশাপাশি একটি পর্যটন ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ায় আটক হন তিনি। কোরীয় ভাষায় পারদর্শী এ তরুণকে কেন আটক করা হয় তা জানা যায়নি। পিয়ংইয়ং এ দূতাবাস না থাকায় অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছিল না।

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০

মুক্তি দেয়া অস্ট্রেলীয় শিক্ষার্থীকে গুপ্তচর দাবি উ. কোরিয়ার

সংবাদ ডেস্ক

image

উত্তর কোরিয়ায় আটকাবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া অস্ট্রেলীয় শিক্ষার্থী গুপ্তচর ছিল বলে দাবি করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা। সেখানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অ্যালেক্স সিজলি নামের ওই শিক্ষার্থী গুপ্তচরবৃত্তি করে বিদেশি মাধ্যমকে তথ্য সরবরাহ করছিল।

গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ায় অবস্থানরত ২৯ বছর বয়সী আলেক সিজলি নামের অস্ট্রেলিয়ীয় শিক্ষার্থীকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেছে তার পরিবার। তাদের আশঙ্কা, সিজলিকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের তরফে জানানো হয়, তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। পিয়ংইয়ংয়ের তরফ থেকেও ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে পরিস্থিতি মারাত্মক আখ্যা দিয়ে ওই শিক্ষার্থীর অবস্থান জানাতে পিয়ংইয়ং কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়। কিছুদিন পরেই নিখোঁজ হয়ে যাওয়া অস্ট্রেলীয় শিক্ষার্থীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, বিদেশি শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্র দিয়ে সংগ্রহ করার বেশ কিছু তথ্য তিনি একাধিকবার বিদেশি মিডিয়ার কাছে তুলে ধরেছেন। তার সর্বশেষ পোস্টেও তিনি পিয়ংইয়ং নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেছে।

সংবাদ মাধ্যম আলেকে প্রকাশিত ছয়টি আর্টিকেলে তার পুরো কাজের বিবরণ তুলে ধরা হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রকাশিত হয় নিবন্ধগুলো। আর সবগুলোই সরকারবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন এনকে নিউজের প্রধান নির্বাহী চাদ’ও ক্যারল। ২৯ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক সিগলি পিয়ংইয়ং এ স্নাতকোত্তরে পড়াশোনা করার পাশাপাশি একটি পর্যটন ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ায় আটক হন তিনি। কোরীয় ভাষায় পারদর্শী এ তরুণকে কেন আটক করা হয় তা জানা যায়নি। পিয়ংইয়ং এ দূতাবাস না থাকায় অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছিল না।