চট্টগ্রামের সাগর উপকূলীয় একটি উপজেলা বাঁশখালী। এ উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ লোকজন প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে প্রতিটি দুর্যোগে। বিগত দিনে বাঁশখালীতে ১২১টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হলেও তৎমতে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ১০২টি আশ্রয় কেন্দ্র বর্তমান থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তা সংস্কারবিহীন হয়ে পড়ে থাকায় প্রায় আশ্রয় কেন্দ্র জরাজীর্ণ আকার ধারণ করেছে। উক্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অত্যন্ত জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ আশ্রয় কেন্দ্রগুলো সংস্কারের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরে ২০১৮ সালে প্রতিবেদন দাখিল করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের জুন মাসে জরাজীর্ণ ৯টি আশ্রয় কেন্দ্র সংস্কারের জন্য ১ কোটি ১০ লক্ষ ৪ হাজার ৬৫১ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। উক্ত বরাদ্দের মাধ্যমে সম্প্রতি ৯টি আশ্রয় কেন্দ্রের সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম মিয়াজী জানান, বাঁশখালীর জরাজীর্ণ আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করা হলে সম্প্রতি ৯টি আশ্রয় কেন্দ্র সংস্কারের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়। বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর সংস্কার কাজ চলছে।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন পড়ে থাকা জরাজীর্ণ এসব আশ্রয় কেন্দ্রগুলো সংস্কার করায় এলাকাবাসীরা কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করছেন। ছনুয়া ও শেখেরখীলে সংস্কার কাজ চলমান আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সরেজমিন পরিদর্শনকালে স্থানীয়রা জানান, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর ছাদ নষ্ট হয়ে পড়েছিল। দরজা, জানালা ভেঙে গিয়েছিল। ফ্লোরে বড় বড় গর্ত হয়ে পড়েছিল। দেওয়ালের আস্তর খসে পড়ে সম্পূর্ণ জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল। বর্তমানে এসব আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সংস্কার হওয়াতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৪ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে খুদুকখালী আশ্রয়কেন্দ্র, ১৪ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা ব্যয়ে উত্তর বাহারছড়া আশ্রয়কেন্দ্র, ১৪ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা ব্যয়ে বাহারছড়া রতœপুর আশ্রয় কেন্দ্র, ১৪ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা ব্যয়ে উত্তর সরল রেড ক্রিসেন্ট আশ্রয় কেন্দ্র, ১৪ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা ব্যয়ে তোতকখালী আশ্রয় কেন্দ্র, ১৪ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয়ে বাঁশখালী ইউনাইটেড হাইস্কুল ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ১৪ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রেমাশিয়া আশ্রয়কেন্দ্র, ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ছনুয়া নয়াপাড়া আশ্রয়কেন্দ্র ও ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে মধ্যম বড়ঘোনা গন্ডামারা মাতব্বরপাড়া আশ্রয়কেন্দ্রের সংস্কার কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, ঘূর্ণিঝড় ও জ্বলোচ্ছাস থেকে রক্ষা পেতে উপকূলবাসীদের বিশেষ সহায়ক হিসেবে কাজ করে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো। কিছু কিছু আশ্রয় কেন্দ্র জ্বরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ওই সব আশ্রয় কেন্দ্রগুলো সংস্কার করা হচ্ছে।
বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৯ , ২৬ আষাঢ় ১৪২৫, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের সাগর উপকূলীয় একটি উপজেলা বাঁশখালী। এ উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ লোকজন প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে প্রতিটি দুর্যোগে। বিগত দিনে বাঁশখালীতে ১২১টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হলেও তৎমতে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ১০২টি আশ্রয় কেন্দ্র বর্তমান থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তা সংস্কারবিহীন হয়ে পড়ে থাকায় প্রায় আশ্রয় কেন্দ্র জরাজীর্ণ আকার ধারণ করেছে। উক্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অত্যন্ত জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ আশ্রয় কেন্দ্রগুলো সংস্কারের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরে ২০১৮ সালে প্রতিবেদন দাখিল করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের জুন মাসে জরাজীর্ণ ৯টি আশ্রয় কেন্দ্র সংস্কারের জন্য ১ কোটি ১০ লক্ষ ৪ হাজার ৬৫১ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। উক্ত বরাদ্দের মাধ্যমে সম্প্রতি ৯টি আশ্রয় কেন্দ্রের সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম মিয়াজী জানান, বাঁশখালীর জরাজীর্ণ আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করা হলে সম্প্রতি ৯টি আশ্রয় কেন্দ্র সংস্কারের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়। বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর সংস্কার কাজ চলছে।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন পড়ে থাকা জরাজীর্ণ এসব আশ্রয় কেন্দ্রগুলো সংস্কার করায় এলাকাবাসীরা কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করছেন। ছনুয়া ও শেখেরখীলে সংস্কার কাজ চলমান আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সরেজমিন পরিদর্শনকালে স্থানীয়রা জানান, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর ছাদ নষ্ট হয়ে পড়েছিল। দরজা, জানালা ভেঙে গিয়েছিল। ফ্লোরে বড় বড় গর্ত হয়ে পড়েছিল। দেওয়ালের আস্তর খসে পড়ে সম্পূর্ণ জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল। বর্তমানে এসব আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সংস্কার হওয়াতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৪ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে খুদুকখালী আশ্রয়কেন্দ্র, ১৪ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা ব্যয়ে উত্তর বাহারছড়া আশ্রয়কেন্দ্র, ১৪ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা ব্যয়ে বাহারছড়া রতœপুর আশ্রয় কেন্দ্র, ১৪ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা ব্যয়ে উত্তর সরল রেড ক্রিসেন্ট আশ্রয় কেন্দ্র, ১৪ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা ব্যয়ে তোতকখালী আশ্রয় কেন্দ্র, ১৪ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয়ে বাঁশখালী ইউনাইটেড হাইস্কুল ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ১৪ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রেমাশিয়া আশ্রয়কেন্দ্র, ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ছনুয়া নয়াপাড়া আশ্রয়কেন্দ্র ও ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে মধ্যম বড়ঘোনা গন্ডামারা মাতব্বরপাড়া আশ্রয়কেন্দ্রের সংস্কার কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, ঘূর্ণিঝড় ও জ্বলোচ্ছাস থেকে রক্ষা পেতে উপকূলবাসীদের বিশেষ সহায়ক হিসেবে কাজ করে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো। কিছু কিছু আশ্রয় কেন্দ্র জ্বরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ওই সব আশ্রয় কেন্দ্রগুলো সংস্কার করা হচ্ছে।