শিশুর কাটা মাথা উদ্ধার গণপিটুনিতে ঘাতক নিহত

নেত্রকোনায় নিউটাউন এলাকার অনন্তপুকুরপাড় থেকে গতকাল শিশু সজিবের (৭) কাটা মাথা উদ্ধার করা হয়েছে। একটি ব্যাগে শিশুর কাটা মাথা নিয়ে ঘোরাঘুরির সময় যুবক রবিনকে (৩০) পিটিয়ে হত্যা করেছে উত্তেজিত জনতা। সে কাটলি এলাকার এখলাছ উদ্দিনের ছেলে। নিহত শিশু একই এলাকার রিকশাচালক রহিছ উদ্দিনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক দুপুর ১টার দিকে শহরের বারহাট্টা রোড এলাকার হরিজনপল্লীর পাশে দু’জনকে ব্যাগ হাতে ঘোরাঘুার করতে দেখেন অনেকে। চোর সন্দেহে ব্যাগ হাতে তাদের ধাওয়া করে জনতা। পরে নিউটাউন অনন্তপুকুরপাড় এলাকায় ঢুকলে আশপাশের মানুষ একজনকে আটকে ফেলে। এ সময় তার হাতে থাকা ব্যাগটিতে তল্লাশি করে শিশুর কাটা মাথা পাওয়া যায়। পরে উত্তেজিত জনতা যুবক রবিনকে ঘটনাস্থলেই পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে। এ ঘটনা ফেসবুকে দেখে পুলিশ শিশুর মাথা কাটা লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর সময় পুরো শহরের রাস্তা বন্ধ করে ফেলে জনতা। হরিজনপল্লীর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পেছনের কয়েক পুলিশের ওপর ইট ছুড়তে থাকে কয়েকজন। তারা একটি ব্যাংকের মাইক্রোবাসে উঠে থানায় যান। এদিকে শহরের মানুষ ঘটনাস্থলসহ হাসপাতাল ও থানায় ভিড় জমায়। বিকালে শিশুর শরীরের বাকি অংশটিও পুলিশ একই এলাকার একটি নির্মাণাধীন তিনতলা ভবন থেকে উদ্ধার করে।

এদিকে শিশুটির বাবা রহিছ উদ্দিন ও মা জানান, তারা গত এক মাস আমতলা থেকে কাটলি হীরাদের বাসায় ভাড়া থাকেন। সকালে খেয়ে ওই শিশু দোকানে যায় জুস আনতে। এরপর তাকে আর পাওয়া যায়নি।

নেত্রকোনা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ নূর-এ আলম নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলম জানান, ওই যুবকের সঙ্গে যে ছিল, তাকে খোঁজা হচ্ছে।

কয়েকদিন আগে সিংহের বাংলা ইউনিয়নে এক বছরের শিশুসহ এক নারীকে আটক করে জনতা পুলিশে দেয়। কিন্তু নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, মহিলা পাগলের মতো।

শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯ , ৪ শ্রাবন ১৪২৫, ১৫ জিলকদ ১৪৪০

নেত্রকোনায়

শিশুর কাটা মাথা উদ্ধার গণপিটুনিতে ঘাতক নিহত

প্রতিনিধি, নেত্রকোনা

নেত্রকোনায় নিউটাউন এলাকার অনন্তপুকুরপাড় থেকে গতকাল শিশু সজিবের (৭) কাটা মাথা উদ্ধার করা হয়েছে। একটি ব্যাগে শিশুর কাটা মাথা নিয়ে ঘোরাঘুরির সময় যুবক রবিনকে (৩০) পিটিয়ে হত্যা করেছে উত্তেজিত জনতা। সে কাটলি এলাকার এখলাছ উদ্দিনের ছেলে। নিহত শিশু একই এলাকার রিকশাচালক রহিছ উদ্দিনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক দুপুর ১টার দিকে শহরের বারহাট্টা রোড এলাকার হরিজনপল্লীর পাশে দু’জনকে ব্যাগ হাতে ঘোরাঘুার করতে দেখেন অনেকে। চোর সন্দেহে ব্যাগ হাতে তাদের ধাওয়া করে জনতা। পরে নিউটাউন অনন্তপুকুরপাড় এলাকায় ঢুকলে আশপাশের মানুষ একজনকে আটকে ফেলে। এ সময় তার হাতে থাকা ব্যাগটিতে তল্লাশি করে শিশুর কাটা মাথা পাওয়া যায়। পরে উত্তেজিত জনতা যুবক রবিনকে ঘটনাস্থলেই পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে। এ ঘটনা ফেসবুকে দেখে পুলিশ শিশুর মাথা কাটা লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর সময় পুরো শহরের রাস্তা বন্ধ করে ফেলে জনতা। হরিজনপল্লীর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পেছনের কয়েক পুলিশের ওপর ইট ছুড়তে থাকে কয়েকজন। তারা একটি ব্যাংকের মাইক্রোবাসে উঠে থানায় যান। এদিকে শহরের মানুষ ঘটনাস্থলসহ হাসপাতাল ও থানায় ভিড় জমায়। বিকালে শিশুর শরীরের বাকি অংশটিও পুলিশ একই এলাকার একটি নির্মাণাধীন তিনতলা ভবন থেকে উদ্ধার করে।

এদিকে শিশুটির বাবা রহিছ উদ্দিন ও মা জানান, তারা গত এক মাস আমতলা থেকে কাটলি হীরাদের বাসায় ভাড়া থাকেন। সকালে খেয়ে ওই শিশু দোকানে যায় জুস আনতে। এরপর তাকে আর পাওয়া যায়নি।

নেত্রকোনা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ নূর-এ আলম নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলম জানান, ওই যুবকের সঙ্গে যে ছিল, তাকে খোঁজা হচ্ছে।

কয়েকদিন আগে সিংহের বাংলা ইউনিয়নে এক বছরের শিশুসহ এক নারীকে আটক করে জনতা পুলিশে দেয়। কিন্তু নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, মহিলা পাগলের মতো।