দেশে প্রথম লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রতিস্থাপনে সফল, গ্রহীতাকে দেয়া হলো ছাড়পত্র। প্রথমবারের মতো এই সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোগী ও চিকিৎসকদের অভিন্দন জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২৪ জুন ২০ বছর বয়সী সিরাতুল ইসলাম শুভ’র লিভার প্রতিস্থাপন অপারেশন করা হয়। সিরাতুল ইসলাম লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন। ২০১৭ সালে লিভার সিরোসিস ধরা পড়লে চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে যান। সেখানে বিশেযজ্ঞ চিকিৎসকগণ চিকিৎসার জন্য লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার মতামত দেয়। গতকাল অপারেশনের ২৫তম দিন ছিল। লিভারদাতা সম্পূর্ণ সুস্থ্য আছেন। তাকে হাসপাতাল থেকে আগেই ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। লিভার গ্রহীতাও বর্তমানে সুস্থ আছেন। ব্ল্যাড প্রেসার এবং রেসপিরেশন নরমাল আছে সে স্বাভাবিক মুখে আহার গ্রহণ করছেন। সে হাই ডোজের ইমিউনো সাপ্রেশন মেডিসিন পাচ্ছেন, সেহেতু তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তার প্রতিস্থাপিত লিভার কাজ শুরু করে।
হেপাটোবিলিয়ারি,প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্টপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খানের নেতৃত্বে শল্য চিকিৎসক টিম জটিল অপারেশন সম্পন্ন হয়। চিকিৎসক টিমকে সহায়তা করেন ভারতের প্রতিথযশা লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন ডা. পি বালাচন্দ্র মেনন এর চার সদস্যবিশিষ্ট টিম। লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সম্পন্ন হওয়ার পর বর্তমানে লিভার দাতা রোগীর মাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে এবং রোগী সিরাতুল ইসলাম শুভ আশানুরূপ সুস্থ আছেন, তাকেও গতকাল ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো লিভার ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে লিভার ট্রান্সপ্লান্টের জন্য স্থায়ী সরঞ্জামাদি যেমন-২টি স্বতন্ত্র অপারেশন থিয়েটার, ল্যাব সুযোগ-সুবিধাসহ আইসিইউসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি দরকার। এ বিষয়ে ভাইস চ্যান্সেলর, বিএসএমএমইউ ও মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় লিখিত আবেদন করেছে। এ নিয়ে গতকাল দুপুরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। সভাপত্বি করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান (চেয়ারম্যান, হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি বিভাগ)। উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল হান্নান। রোগীর মা রোকসানা বেগম ও রোগী সিরাতুল ইসলাম শুভ।
যতদিন বেঁচে থাকব চিকিৎসকদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সফলভাবে লিভার প্রতিস্থাপন হওয়ায় সিরাতুল ইসলাম শুভ বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব মা ও চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। মায়ের জন্য আমি জীবন ফিরে পেয়েছি। চিকিৎসকরা দরদের সঙ্গে আমার চিকিৎসা করেছেন। গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক আবেগঘন পরিবেশে রোগী সিরাতুল এসব কথা বলেন।
সিরাতুল ইসলামকে মা রোকসানা বেগম নিজের লিভারের ৬০ শতাংশ দান করেন। গত ২৪ জুন ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত লিভার প্রতিস্থাপনের কার্যক্রম চলে। বিএসএমএমইউ-এর হেপাটোবিলিয়ারি ও প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খানের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ডবয়সহ প্রায় ৬০ জনের একটি দল এই কার্যক্রমে সেদিন অংশ নেয়। সংবাদ সম্মেলনে সিরাতুলের পাশে ছিলেন মা রোকসানা বেগম।
প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সিরাতুল ইসলাম শুভ। এ সময় মা ও ছেলের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় বক্তব্য দিতে গিয়ে মা-ছেলে দু’জনই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ছেলে সিরাতুল ইসলাম বলেন, আমার আরও চার ভাইবোন রয়েছেন। তারা তো ইচ্ছে করলে মাকে নিষেধ করতে পারতেন। কিন্তু তারা নিষেধ করেননি। আমার মা আমার জন্য তাদের বঞ্চিত করে নিজের জীবনের রিস্ক নিয়েছেন। তাদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
প্রধানমন্ত্রীসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি বিএসএমএমইউ-এর অধ্যাপক ডা. সাইফ উদ্দিন আহমেদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান মা রোকসানা বেগম। তিনি বলেন, আমি এই চিকিৎসকের প্রতি চিরঋণী হয়ে থাকব। রোকসানা বেগম বলেন, গত রমজানে অনেক রাতে সিরাতুল অসুস্থ হয়ে যায়। ডা. সাইফ উদ্দিনকে ফোন করলে তিনি সিরাতুলকে নিয়ে আসতে বলেন। একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিরাতুলকে ভর্তি করা হলে সেখানে সারারাত এই চিকিৎসক জেগে ছিলেন। তিনি বলেন, এই লিভার প্রতিস্থাপনের পর যেদিন সিরাতুল প্রথম ভাত খায়, সেদিন ডা. সাইফ উদ্দিন তার বাসা থেকে খাবার রান্না করে আনেন। কথাগুলো বলতে বলতেই ডুকরে কেঁদে ওঠেন রোকসানা বেগম। তিনি বলেন, আমি যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। এই হাসপাতালে প্রত্যেক চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ থাকব। সিরাতুলের মতো যেন আরও অনেক ছেলে যেন নতুন জীবন ফিরে পায়, তিনি সেই প্রার্থনাও করেন।
শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯ , ৪ শ্রাবন ১৪২৫, ১৫ জিলকদ ১৪৪০
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
দেশে প্রথম লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রতিস্থাপনে সফল, গ্রহীতাকে দেয়া হলো ছাড়পত্র। প্রথমবারের মতো এই সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোগী ও চিকিৎসকদের অভিন্দন জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২৪ জুন ২০ বছর বয়সী সিরাতুল ইসলাম শুভ’র লিভার প্রতিস্থাপন অপারেশন করা হয়। সিরাতুল ইসলাম লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন। ২০১৭ সালে লিভার সিরোসিস ধরা পড়লে চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে যান। সেখানে বিশেযজ্ঞ চিকিৎসকগণ চিকিৎসার জন্য লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার মতামত দেয়। গতকাল অপারেশনের ২৫তম দিন ছিল। লিভারদাতা সম্পূর্ণ সুস্থ্য আছেন। তাকে হাসপাতাল থেকে আগেই ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। লিভার গ্রহীতাও বর্তমানে সুস্থ আছেন। ব্ল্যাড প্রেসার এবং রেসপিরেশন নরমাল আছে সে স্বাভাবিক মুখে আহার গ্রহণ করছেন। সে হাই ডোজের ইমিউনো সাপ্রেশন মেডিসিন পাচ্ছেন, সেহেতু তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তার প্রতিস্থাপিত লিভার কাজ শুরু করে।
হেপাটোবিলিয়ারি,প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্টপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খানের নেতৃত্বে শল্য চিকিৎসক টিম জটিল অপারেশন সম্পন্ন হয়। চিকিৎসক টিমকে সহায়তা করেন ভারতের প্রতিথযশা লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন ডা. পি বালাচন্দ্র মেনন এর চার সদস্যবিশিষ্ট টিম। লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সম্পন্ন হওয়ার পর বর্তমানে লিভার দাতা রোগীর মাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে এবং রোগী সিরাতুল ইসলাম শুভ আশানুরূপ সুস্থ আছেন, তাকেও গতকাল ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো লিভার ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে লিভার ট্রান্সপ্লান্টের জন্য স্থায়ী সরঞ্জামাদি যেমন-২টি স্বতন্ত্র অপারেশন থিয়েটার, ল্যাব সুযোগ-সুবিধাসহ আইসিইউসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি দরকার। এ বিষয়ে ভাইস চ্যান্সেলর, বিএসএমএমইউ ও মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় লিখিত আবেদন করেছে। এ নিয়ে গতকাল দুপুরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। সভাপত্বি করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান (চেয়ারম্যান, হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি বিভাগ)। উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল হান্নান। রোগীর মা রোকসানা বেগম ও রোগী সিরাতুল ইসলাম শুভ।
যতদিন বেঁচে থাকব চিকিৎসকদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সফলভাবে লিভার প্রতিস্থাপন হওয়ায় সিরাতুল ইসলাম শুভ বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব মা ও চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। মায়ের জন্য আমি জীবন ফিরে পেয়েছি। চিকিৎসকরা দরদের সঙ্গে আমার চিকিৎসা করেছেন। গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক আবেগঘন পরিবেশে রোগী সিরাতুল এসব কথা বলেন।
সিরাতুল ইসলামকে মা রোকসানা বেগম নিজের লিভারের ৬০ শতাংশ দান করেন। গত ২৪ জুন ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত লিভার প্রতিস্থাপনের কার্যক্রম চলে। বিএসএমএমইউ-এর হেপাটোবিলিয়ারি ও প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খানের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ডবয়সহ প্রায় ৬০ জনের একটি দল এই কার্যক্রমে সেদিন অংশ নেয়। সংবাদ সম্মেলনে সিরাতুলের পাশে ছিলেন মা রোকসানা বেগম।
প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সিরাতুল ইসলাম শুভ। এ সময় মা ও ছেলের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় বক্তব্য দিতে গিয়ে মা-ছেলে দু’জনই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ছেলে সিরাতুল ইসলাম বলেন, আমার আরও চার ভাইবোন রয়েছেন। তারা তো ইচ্ছে করলে মাকে নিষেধ করতে পারতেন। কিন্তু তারা নিষেধ করেননি। আমার মা আমার জন্য তাদের বঞ্চিত করে নিজের জীবনের রিস্ক নিয়েছেন। তাদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
প্রধানমন্ত্রীসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি বিএসএমএমইউ-এর অধ্যাপক ডা. সাইফ উদ্দিন আহমেদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান মা রোকসানা বেগম। তিনি বলেন, আমি এই চিকিৎসকের প্রতি চিরঋণী হয়ে থাকব। রোকসানা বেগম বলেন, গত রমজানে অনেক রাতে সিরাতুল অসুস্থ হয়ে যায়। ডা. সাইফ উদ্দিনকে ফোন করলে তিনি সিরাতুলকে নিয়ে আসতে বলেন। একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিরাতুলকে ভর্তি করা হলে সেখানে সারারাত এই চিকিৎসক জেগে ছিলেন। তিনি বলেন, এই লিভার প্রতিস্থাপনের পর যেদিন সিরাতুল প্রথম ভাত খায়, সেদিন ডা. সাইফ উদ্দিন তার বাসা থেকে খাবার রান্না করে আনেন। কথাগুলো বলতে বলতেই ডুকরে কেঁদে ওঠেন রোকসানা বেগম। তিনি বলেন, আমি যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। এই হাসপাতালে প্রত্যেক চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ থাকব। সিরাতুলের মতো যেন আরও অনেক ছেলে যেন নতুন জীবন ফিরে পায়, তিনি সেই প্রার্থনাও করেন।