মন্ত্রীদের কথার তোড়ে সব মশা ধ্বংস হওয়ার কথা

গণফোরাম

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বহীনতার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকার দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেছে গণফোরাম। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

কর্মসূচিতে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সভাপতি পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক ও মেজর জেনারেল অব. আ ম সা আ আমীন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, মো. মিজানুর রহমান, শাহ নুরুজ্জামান, মো. ইয়াসিন, অধ্যাপক খোরশেদ আলমসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

সাইয়িদ বলেন, মানুষ তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। ডেঙ্গু ও খুন মহামারিতে রূপান্তরিত হয়েছে। এই মহামারির সরকার জনগণ চায় না। বঙ্গবন্ধুর নাম করে যারা লুটপাট শুরু করেছেন তাদের মুখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম শোভা পায় না। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে জোর করে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে জনগণ হটিয়ে দেবে।

তিনি বলেন, মন্ত্রী সাহেবরা যত কথা বলেন, সেই কথা যদি যোগ করা হয় তাহলে দেখা যাবে এই কথার দ্বারা বাংলাদেশে একটা মশাও থাকার কথা না। কথার তোড়ে, মন্ত্রীদের দাপটে সব মশার ধ্বংস হওয়ার কথা। কিন্তু একেকজন মন্ত্রী একেকভাবে কথা বলেন।

সুব্রত চৌধুরী বলেন, মানুষ ডেঙ্গুতে ভুগছে কিন্তু দুই মেয়র আনন্দ মিছিল করে বেড়ায়। এ সরকার যতদিন দেশ শাসন করবে ততদিন মানুষের দুঃখ বাড়বে। তিনি দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেন।

নেতারা বলেন, সরকারের অবহেলার কারণে দেশে ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছে। এজন্য প্রধানত দায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন। নেতারা দায়িত্বহীনতার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকার দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেছে। হত্যা-খুন-ধর্ষণ বেড়েই চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। উত্তরবঙ্গে প্রায় ৪৫ লক্ষ লোক পানিবন্দী। সুষ্ঠু ত্রাণকার্য পরিচালিত হচ্ছে না। প্রত্যেকটি কাজে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

image

ডেঙ্গু, খুন-ধর্ষণ প্রতিরোধে গতকাল রাজধানীতে গণফোরাম অবস্থান কর্র্র্র্মসূচি পালন করে -সংবাদ

আরও খবর
৮ আগস্ট ‘ভারতরত্ন’ পাচ্ছেন প্রণব মুখার্জি
রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি
পিবিআইয়ের চার্জশিট প্রত্যাখ্যান, সড়ক অবরোধ
মশারি ও অ্যারোসল বিতরণ দুই মেয়রের
ডিআইজি প্রিজনস পার্থ কারাগারে
গণপিটুনিতে আহত ভ্যানচালকের মৃত্যু
কমার্স ব্যাংকের ১১ কর্মকর্তা বরখাস্ত
আজ মিন্নির জামিন শুনানি
মিথ্যা মামলায় মুক্তিযোদ্ধা সলেমান শেখ কারাগারে
উত্তাল ক্যাম্পাস
কিছু লোক তাদের স্বার্থে গুজবকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে
ইট পোড়ানোর অভিযোগে ২৭ ইটভাটা মালিক কারাগারে
মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি
তিন বছরেও চালু করা যায়নি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯ , ১৫ শ্রাবন ১৪২৫, ২৬ জিলকদ ১৪৪০

মন্ত্রীদের কথার তোড়ে সব মশা ধ্বংস হওয়ার কথা

গণফোরাম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

ডেঙ্গু, খুন-ধর্ষণ প্রতিরোধে গতকাল রাজধানীতে গণফোরাম অবস্থান কর্র্র্র্মসূচি পালন করে -সংবাদ

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বহীনতার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকার দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেছে গণফোরাম। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

কর্মসূচিতে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সভাপতি পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক ও মেজর জেনারেল অব. আ ম সা আ আমীন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, মো. মিজানুর রহমান, শাহ নুরুজ্জামান, মো. ইয়াসিন, অধ্যাপক খোরশেদ আলমসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

সাইয়িদ বলেন, মানুষ তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। ডেঙ্গু ও খুন মহামারিতে রূপান্তরিত হয়েছে। এই মহামারির সরকার জনগণ চায় না। বঙ্গবন্ধুর নাম করে যারা লুটপাট শুরু করেছেন তাদের মুখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম শোভা পায় না। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে জোর করে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে জনগণ হটিয়ে দেবে।

তিনি বলেন, মন্ত্রী সাহেবরা যত কথা বলেন, সেই কথা যদি যোগ করা হয় তাহলে দেখা যাবে এই কথার দ্বারা বাংলাদেশে একটা মশাও থাকার কথা না। কথার তোড়ে, মন্ত্রীদের দাপটে সব মশার ধ্বংস হওয়ার কথা। কিন্তু একেকজন মন্ত্রী একেকভাবে কথা বলেন।

সুব্রত চৌধুরী বলেন, মানুষ ডেঙ্গুতে ভুগছে কিন্তু দুই মেয়র আনন্দ মিছিল করে বেড়ায়। এ সরকার যতদিন দেশ শাসন করবে ততদিন মানুষের দুঃখ বাড়বে। তিনি দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেন।

নেতারা বলেন, সরকারের অবহেলার কারণে দেশে ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছে। এজন্য প্রধানত দায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন। নেতারা দায়িত্বহীনতার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকার দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেছে। হত্যা-খুন-ধর্ষণ বেড়েই চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। উত্তরবঙ্গে প্রায় ৪৫ লক্ষ লোক পানিবন্দী। সুষ্ঠু ত্রাণকার্য পরিচালিত হচ্ছে না। প্রত্যেকটি কাজে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।