দুর্নীতির অভিযোগ থেকে দায়মুক্তির আবেদন নেতানিয়াহুর

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে হওয়া মামলার বিচার থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন। দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটের কাছে গত বুধবার এ আবেদন করেন তিনি। বিচার থেকে অব্যাহতি চেয়ে নেতানিয়াহুর আবেদনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বিবিসি।

সংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অব্যাহতি আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ার ৪ ঘণ্টা আগে বুধবার নেতানিয়াহু বিচার ঠেকাতে পার্লামেন্টের দ্বারস্থ হন বলে জানিয়েছে বিবিসি। তার পক্ষ থেকে নেয়া এমন পদক্ষেপের ফলে আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় দেশটির সাধারণ নির্বাচন হওয়ার আগ পর্যন্ত ডানপন্থি এ রাজনীতিককে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘুষ, জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে গত বছরের নভেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন। তবে অভিযোগগুলোকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অ্যাখ্যা দেন নেতানিয়াহু। এখন বিচারের হাত থেকে বাঁচতে তাকে পার্লামেন্ট নেসেটের অর্ধেকের বেশি এমপির (পার্লামেন্ট সদস্য) সমর্থন লাগবে। নিয়ম অনুযায়ী, অব্যাহতির আবেদন পার্লামেন্টে নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরায়েলের বিচারবিভাগ মামলা নিয়ে অগ্রসর হতে পারবে না। ইসরায়েলি আইনে এমপিদের বিচার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অব্যাহতি মেলে না, অব্যাহতির জন্য আবেদন করতে হয়। অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে।

গত বছরের দুটি সাধারণ নির্বাচনে নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থি লিকুদ পার্টির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করা মধ্যপন্থি ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির নেতা বেনি গান্টজ বলেছেন, নেতানিয়াহুর আবেদন প্রত্যাখ্যানে তার দল সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে। তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কোনদিন আইন ও বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি হওয়া এড়ানোর পদক্ষেপ নেবেন, কখনোই এটা ভাবিনি।’ এদিকে ডানপন্থি ইসরায়েল বেইতেনু দলের নেতা আভিগদর লিবারম্যান বলেছেন, তার দলের এমপিরাও নেতানিয়াহুর বিপক্ষে দাঁড়াবেন।

প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের বিষয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নেসেটের স্পিকার লিকুদ পার্টির উলি এদেলস্টেইন।

শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২০ , ২০ পৌষ ১৪২৬, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

দুর্নীতির অভিযোগ থেকে দায়মুক্তির আবেদন নেতানিয়াহুর

সংবাদ ডেস্ক |

image

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে হওয়া মামলার বিচার থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন। দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটের কাছে গত বুধবার এ আবেদন করেন তিনি। বিচার থেকে অব্যাহতি চেয়ে নেতানিয়াহুর আবেদনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বিবিসি।

সংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অব্যাহতি আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ার ৪ ঘণ্টা আগে বুধবার নেতানিয়াহু বিচার ঠেকাতে পার্লামেন্টের দ্বারস্থ হন বলে জানিয়েছে বিবিসি। তার পক্ষ থেকে নেয়া এমন পদক্ষেপের ফলে আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় দেশটির সাধারণ নির্বাচন হওয়ার আগ পর্যন্ত ডানপন্থি এ রাজনীতিককে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘুষ, জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে গত বছরের নভেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন। তবে অভিযোগগুলোকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অ্যাখ্যা দেন নেতানিয়াহু। এখন বিচারের হাত থেকে বাঁচতে তাকে পার্লামেন্ট নেসেটের অর্ধেকের বেশি এমপির (পার্লামেন্ট সদস্য) সমর্থন লাগবে। নিয়ম অনুযায়ী, অব্যাহতির আবেদন পার্লামেন্টে নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরায়েলের বিচারবিভাগ মামলা নিয়ে অগ্রসর হতে পারবে না। ইসরায়েলি আইনে এমপিদের বিচার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অব্যাহতি মেলে না, অব্যাহতির জন্য আবেদন করতে হয়। অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে।

গত বছরের দুটি সাধারণ নির্বাচনে নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থি লিকুদ পার্টির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করা মধ্যপন্থি ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির নেতা বেনি গান্টজ বলেছেন, নেতানিয়াহুর আবেদন প্রত্যাখ্যানে তার দল সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে। তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কোনদিন আইন ও বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি হওয়া এড়ানোর পদক্ষেপ নেবেন, কখনোই এটা ভাবিনি।’ এদিকে ডানপন্থি ইসরায়েল বেইতেনু দলের নেতা আভিগদর লিবারম্যান বলেছেন, তার দলের এমপিরাও নেতানিয়াহুর বিপক্ষে দাঁড়াবেন।

প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের বিষয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নেসেটের স্পিকার লিকুদ পার্টির উলি এদেলস্টেইন।