মাটিরাঙ্গার গাঁজা গ্রাম দুইল্ল্যাতলী ৩৫ ক্ষেত ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় গ্রামে পাহাড়ের নিচে সমতল ভূমির প্রতির প্রতিটি ঘরের আবাদি জমিতে চলছে গাঁজার চাষ। প্রায় ৪০টি গাঁজা ক্ষেত করেছেন তারা। দেখে মনে হবে এই যেন গাঁজার গ্রাম। লোকচক্ষুর আড়ালে এই গ্রামে রীতিমতো গাঁজার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে তারা। বেশিরভাগ গাঁজা ক্ষেতের আয়তন ৩-৪ বিঘা পর্যন্ত। নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলে এই দুর্গম এলাকায় গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে গাঁজা চাষের সঙ্গে যুক্ত কাউকে আটক করা যায়নি। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে গাঁজা চাষিরা।

সরেজমিনে মাটিরাঙ্গার দুর্গম দুইল্ল্যাতলী এলাকার কমল চরণ কার্বারি পাড়ায় গিয়ে দেখা যায় গ্রামজুড়ে কেবল গাঁজার ক্ষেত। প্রায় প্রতিটি বাড়ির বসতবাড়ির আঙিনায় ও ফসলি জমিতে গাঁজার চাষ করা হয়। ড্রোন এবং নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্য, পেট্রল টিমের মাধ্যমে বিশাল গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পাওয়া যায়।

ধ্বংস হওয়া গাঁজা ক্ষেতের বাজার মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র। সূত্র আরও জানায়, দুর্গম পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকাকে কেন্দ্র একটি গোষ্ঠীর গাঁজার আবাদ করছে। মূলত লোকচক্ষুর অন্তরাল করতেই গাঁজা চাষের জন্য দুর্গম পাহাড়ি এলাকাকে বেছে নেয়া হয়েছে। মাটিরাঙ্গা ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা বলেন, কিভাবে এই এলাকায় গাঁজার জগত গড়ে তুলেছে তা আমার জানা নেই। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এই ধরনের কাজ করতে না পারে সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

মাটিরাঙ্গা থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো; মহিউদ্দিন আহম্মদ জানান, এত দুর্গম এলাকায় নজরদারি রাখা কঠিন। তাই লোকচক্ষুর আড়ালে গ্রামের লোকজন গাঁজার আবাদ করেছে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে গাঁজা চাষের সঙ্গে সম্পৃক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, এটি গাঁজা চাষের মৌসুম। এসব গ্রাম দুর্গম হওয়ায় আঞ্চলিক সন্ত্রাসী বাহিনী গাঁজার আবাদ করেছে।

গ্রামের বাসিন্দারাও গাঁজা চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেনাবাহিনী মহালছড়ি জোনের নেতৃত্বে বিশাল গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে এসব গাঁজা আগুনের পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এর আগে ২০ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার দুর্গম কলাবুনিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ একর গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়।

রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২০ , ২২ পৌষ ১৪২৬, ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

মাটিরাঙ্গার গাঁজা গ্রাম দুইল্ল্যাতলী ৩৫ ক্ষেত ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী

প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি

image

খাগড়াছড়ি : মাটিরাঙ্গার দুইল্ল্যাতলী গ্রামে গাঁজার গাছ পুড়িয়ে ফেলছে সেনাবাহিনী -সংবাদ

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় গ্রামে পাহাড়ের নিচে সমতল ভূমির প্রতির প্রতিটি ঘরের আবাদি জমিতে চলছে গাঁজার চাষ। প্রায় ৪০টি গাঁজা ক্ষেত করেছেন তারা। দেখে মনে হবে এই যেন গাঁজার গ্রাম। লোকচক্ষুর আড়ালে এই গ্রামে রীতিমতো গাঁজার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে তারা। বেশিরভাগ গাঁজা ক্ষেতের আয়তন ৩-৪ বিঘা পর্যন্ত। নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলে এই দুর্গম এলাকায় গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে গাঁজা চাষের সঙ্গে যুক্ত কাউকে আটক করা যায়নি। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে গাঁজা চাষিরা।

সরেজমিনে মাটিরাঙ্গার দুর্গম দুইল্ল্যাতলী এলাকার কমল চরণ কার্বারি পাড়ায় গিয়ে দেখা যায় গ্রামজুড়ে কেবল গাঁজার ক্ষেত। প্রায় প্রতিটি বাড়ির বসতবাড়ির আঙিনায় ও ফসলি জমিতে গাঁজার চাষ করা হয়। ড্রোন এবং নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্য, পেট্রল টিমের মাধ্যমে বিশাল গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পাওয়া যায়।

ধ্বংস হওয়া গাঁজা ক্ষেতের বাজার মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র। সূত্র আরও জানায়, দুর্গম পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকাকে কেন্দ্র একটি গোষ্ঠীর গাঁজার আবাদ করছে। মূলত লোকচক্ষুর অন্তরাল করতেই গাঁজা চাষের জন্য দুর্গম পাহাড়ি এলাকাকে বেছে নেয়া হয়েছে। মাটিরাঙ্গা ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা বলেন, কিভাবে এই এলাকায় গাঁজার জগত গড়ে তুলেছে তা আমার জানা নেই। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এই ধরনের কাজ করতে না পারে সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

মাটিরাঙ্গা থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো; মহিউদ্দিন আহম্মদ জানান, এত দুর্গম এলাকায় নজরদারি রাখা কঠিন। তাই লোকচক্ষুর আড়ালে গ্রামের লোকজন গাঁজার আবাদ করেছে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে গাঁজা চাষের সঙ্গে সম্পৃক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, এটি গাঁজা চাষের মৌসুম। এসব গ্রাম দুর্গম হওয়ায় আঞ্চলিক সন্ত্রাসী বাহিনী গাঁজার আবাদ করেছে।

গ্রামের বাসিন্দারাও গাঁজা চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেনাবাহিনী মহালছড়ি জোনের নেতৃত্বে বিশাল গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে এসব গাঁজা আগুনের পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এর আগে ২০ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার দুর্গম কলাবুনিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ একর গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়।