নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোল ঘেঁষে বয়ে চলা ছোট যমুনা নদীতে নির্মিত নতুন বেইলী ব্রীজের ধারে অবাধে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ফলে দূষিত হচ্ছে নদী ও এর আশ-পাশের পরিবেশ। ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদীর একটি অংশ। ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার খ্যাত বদলগাছীর ছোট যমুনা নদীর পাশেই রয়েছে হাট-বাজার। রয়েছে অনেক হোটেল, মাছের বাজার, মুরগির দোকান, মাংশের দোকান, কাঁচা তরকারির বাজারসহ নানা ধরনের দোকান। এসবের সকল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীর নতুন ব্রিজের ধারে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পার্শ্ববর্তী হাটখোলা বাজারের বিভিন্ন বর্জ্য এবং সাপ্তাহিক দুটি হাটের সকল ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীতে। ছোট যমুনা নদীর নতুন ব্রিজের পাশে থেকে নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলছে বাজারের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। দুর্গন্ধে ভরপুর হয়ে উঠেছে চারপাশ। অপরদিকে দেখা যায় নদীর যে স্থানে ময়লা ফেলা হচ্ছে সেখান থেকে থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তার আবাসিক ভবনটি মাত্র ২০ গজ দূরে।
ওই এলাকার বসবাসকারী রজত, মুকুল, রিপনসহ অনেকেই বলেন, গরমের সময় আমরা বিকেল নদীর পাড়ে বসে বিশ্রাম করি। আবার স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা শরীর ভাল রাখার জন্য নিয়মিত নদীর ধারে হাঁটাহাঁটি করে। কিন্তু নদীর ধারে এভাবে ময়লা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে ভরপুর হয়ে উঠেছে চারপাশের পরিবেশ। তাই আর এদিক দিয়ে মানুষ আর হাঁটতে পারছে না।
কেন এখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে বলে জানতে চাইলে পরিচ্ছন্নতাকর্মী চঞ্চল জানায়, আমাদের ময়লা ফেলার জন্য কোন নির্দিষ্ট জায়গা দেয়া হয়নি। যদি কোন জায়গা আমাদের নির্দিষ্ট করে দেয়া হয় তাহলে আমরা সেখানেই ময়লা ফেলব। বদলগাছী হাটখোলা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া বলেন, নদীতে ময়লা ফেলা ঠিক নয়। ময়লা ফেলার জন্য একটা নির্দিষ্ট জায়গা থাকা দরকার।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা চৌধুরী জুবায়ের আহাম্মদ বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের এখানে ময়লা ফেলার জন্য নিষেধ করেছি। তারপরও তারা শুনছেনা। এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলার ভারপাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) নাহারুল ইসলাম সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, বদলগাছীতে ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার অবস্থিত হওয়ায় এখানে প্রতিনিয়ত দেশি বিদেশি পর্যটক আসেন। সে কারণে এই উপজেলাটি সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার। শীঘ্রই এখানে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে ময়লা না ফেলার নির্দেশ দেয়া হবে। বদলগাছী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছামসুল আলম খান বলেন, আমি সরেজমিনে দেখে ময়লা ফেলার জন্য একটা নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করব।
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০ , ১৪ মাঘ ১৪২৬, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪১
প্রতিনিধি, বদলগাছী (নওগাঁ)
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোল ঘেঁষে বয়ে চলা ছোট যমুনা নদীতে নির্মিত নতুন বেইলী ব্রীজের ধারে অবাধে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ফলে দূষিত হচ্ছে নদী ও এর আশ-পাশের পরিবেশ। ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদীর একটি অংশ। ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার খ্যাত বদলগাছীর ছোট যমুনা নদীর পাশেই রয়েছে হাট-বাজার। রয়েছে অনেক হোটেল, মাছের বাজার, মুরগির দোকান, মাংশের দোকান, কাঁচা তরকারির বাজারসহ নানা ধরনের দোকান। এসবের সকল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীর নতুন ব্রিজের ধারে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পার্শ্ববর্তী হাটখোলা বাজারের বিভিন্ন বর্জ্য এবং সাপ্তাহিক দুটি হাটের সকল ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীতে। ছোট যমুনা নদীর নতুন ব্রিজের পাশে থেকে নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলছে বাজারের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। দুর্গন্ধে ভরপুর হয়ে উঠেছে চারপাশ। অপরদিকে দেখা যায় নদীর যে স্থানে ময়লা ফেলা হচ্ছে সেখান থেকে থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তার আবাসিক ভবনটি মাত্র ২০ গজ দূরে।
ওই এলাকার বসবাসকারী রজত, মুকুল, রিপনসহ অনেকেই বলেন, গরমের সময় আমরা বিকেল নদীর পাড়ে বসে বিশ্রাম করি। আবার স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা শরীর ভাল রাখার জন্য নিয়মিত নদীর ধারে হাঁটাহাঁটি করে। কিন্তু নদীর ধারে এভাবে ময়লা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে ভরপুর হয়ে উঠেছে চারপাশের পরিবেশ। তাই আর এদিক দিয়ে মানুষ আর হাঁটতে পারছে না।
কেন এখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে বলে জানতে চাইলে পরিচ্ছন্নতাকর্মী চঞ্চল জানায়, আমাদের ময়লা ফেলার জন্য কোন নির্দিষ্ট জায়গা দেয়া হয়নি। যদি কোন জায়গা আমাদের নির্দিষ্ট করে দেয়া হয় তাহলে আমরা সেখানেই ময়লা ফেলব। বদলগাছী হাটখোলা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া বলেন, নদীতে ময়লা ফেলা ঠিক নয়। ময়লা ফেলার জন্য একটা নির্দিষ্ট জায়গা থাকা দরকার।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা চৌধুরী জুবায়ের আহাম্মদ বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের এখানে ময়লা ফেলার জন্য নিষেধ করেছি। তারপরও তারা শুনছেনা। এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলার ভারপাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) নাহারুল ইসলাম সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, বদলগাছীতে ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার অবস্থিত হওয়ায় এখানে প্রতিনিয়ত দেশি বিদেশি পর্যটক আসেন। সে কারণে এই উপজেলাটি সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার। শীঘ্রই এখানে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে ময়লা না ফেলার নির্দেশ দেয়া হবে। বদলগাছী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছামসুল আলম খান বলেন, আমি সরেজমিনে দেখে ময়লা ফেলার জন্য একটা নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করব।