করোনাভাইরাস রোধ করতে হবেই প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যেভাবেই হোক করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে হবে। উহান থেকে যে ৩১২ জনকে দেশে আনা হয়েছে, তাদের অবশ্যই ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। এ ব্যাপারে কোন ছাড় নয়।’ তবে উহান ঘুরে আসা বাংলাদেশ বিমানের পাইলটদের ভিসা দিচ্ছে না অন্য কোন দেশ। ফলে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারছে না বাংলাদেশ বিমান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে এক বিশেষ বৈঠকে তিনি কয়েকটি জরুরি নির্দেশ দেন। মন্ত্রিসভার সদস্য ও কর্মকর্তাসহ ২৪-২৫ জনকে নিয়ে নিজের কার্যালয়ে বিশেষ এই বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। চীনের হুবেই প্রদেশে এখনও ১৭১ জন শিক্ষার্থী আছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তাদের দেশে আনা হবে। কিন্তু তাদের আনতে দেশ থেকে বিমান পাঠানো যাবে না। কারণ যে বিমান পাঠানো হয়েছিল, তার পাইলট ও ত্রুদের সিঙ্গাপুরসহ অন্য দেশ ভিসা দিতে চাচ্ছে না। চীন ফেরত পাইলটরা তাদের দেশে ঢুকতে পারবে না। এ কারণে বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়কে চার্টার্ড বিমান নিতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ তাদের চীনের কোন এয়ারলাইন্সের ভাড়া করা প্লেনে আনার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে যারাই বাংলাদেশে আসবেন, তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে অনন্ত ১৪ দিন। বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এম আবদুল্লাহও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রিসভায় করোনাভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেভাবেই হোক এই ভাইরাস আমাদের দেশে ঢোকা রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যথা সম্ভব চায় না থেকে উহান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ আমরা ঝুঁকি নিতে চাইছি না।’

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বাংলাদেশের যেসব প্রকল্পে উহানের শ্রমিক আছে, এর মধ্যে যারা উহানে ফেরত গেছে, তাদের আর আসতে দেয়া হবে না। তাদের ওয়ার্ক পারমিট আর নবায়ন করা হবে না। উহান থেকে ঢাকায় যে চারটি ফ্লাইট আসে, তারা খুব বেশি প্যাসেঞ্জার বহন করে না। ১০-১২ জন প্যাসেঞ্জার পাচ্ছে। তাই ইউএস বাংলাসহ অন্য এয়ারলাইনগুলো নিজেরাই এসব ফ্লাইট বন্ধ করে দেবে।

চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে আরও ১৭১ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে চাইছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশ বিমানে তাদের আনতে সমস্যা হচ্ছে। কেননা, এর আগে ৩১৪ জন বাংলাদেশিকে আনতে যে ফ্লাইট গিয়েছিল, সেটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত পাইলট ও ত্রুদের অন্য দেশে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে নতুন করে যারা আসতে চাইছেন,

চীনে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় দেশটির উহান সিটিতে থাকা শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে এনেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। গত ৩১ জানুয়ারি উহানে পাঠানো হয় ৪১৯ জন যাত্রী বহনে সক্ষম বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ ‘আকাশ প্রদীপ’। এই উড়োজাহাজ গত ১ ফেব্রুয়ারি ৩১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাকায় আসে।

এরপর ‘আকাশ প্রদীপ’কে জীবাণুমুক্ত করতে প্রায় ১২ ঘণ্টা সময় লেগেছে বিমানের প্রকৌশল বিভাগের। এই ফ্লাইটের বর্জ্য নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ। কীভাবে এগুলো ধ্বংস করা যাবে তার কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা।

আরও খবর
কোন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি
ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহসহ নানা জটিলতা
সরকারিভাবে আর কাউকে আনা হবে না স্বাস্থ্যমন্ত্রী
উহান থেকে ৩১২ বাংলাদেশিকে আনতে ব্যয় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা
করোনাভাইরাস চিকিৎসায় সফলতার দাবি থাই চিকিৎসকদের
অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
গ্যাটকো দুর্নীতি খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ৩ মার্চ
গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের দুই প্রকৌশলীসহ ৩ জনকে দুদকে তলব
জামানত হারাবেন ৯ মেয়র প্রার্থী
বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশের আল্টিমেটাম
এখন থেকে বিদেশ যেতে সঙ্গে নেয়া যাবে ১০ হাজার ডলার
বিআরটিসির বাস বন্ধ করে দিয়েছে মোটর মালিক সমিতি
আ-মরি বাংলা ভাষা
ক্ষণগণনা : আর ৪১ দিন

মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২১ মাঘ ১৪২৬, ৯ জমাদিউল সানি ১৪৪১

করোনাভাইরাস রোধ করতে হবেই প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যেভাবেই হোক করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে হবে। উহান থেকে যে ৩১২ জনকে দেশে আনা হয়েছে, তাদের অবশ্যই ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। এ ব্যাপারে কোন ছাড় নয়।’ তবে উহান ঘুরে আসা বাংলাদেশ বিমানের পাইলটদের ভিসা দিচ্ছে না অন্য কোন দেশ। ফলে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারছে না বাংলাদেশ বিমান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে এক বিশেষ বৈঠকে তিনি কয়েকটি জরুরি নির্দেশ দেন। মন্ত্রিসভার সদস্য ও কর্মকর্তাসহ ২৪-২৫ জনকে নিয়ে নিজের কার্যালয়ে বিশেষ এই বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। চীনের হুবেই প্রদেশে এখনও ১৭১ জন শিক্ষার্থী আছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তাদের দেশে আনা হবে। কিন্তু তাদের আনতে দেশ থেকে বিমান পাঠানো যাবে না। কারণ যে বিমান পাঠানো হয়েছিল, তার পাইলট ও ত্রুদের সিঙ্গাপুরসহ অন্য দেশ ভিসা দিতে চাচ্ছে না। চীন ফেরত পাইলটরা তাদের দেশে ঢুকতে পারবে না। এ কারণে বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়কে চার্টার্ড বিমান নিতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ তাদের চীনের কোন এয়ারলাইন্সের ভাড়া করা প্লেনে আনার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে যারাই বাংলাদেশে আসবেন, তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে অনন্ত ১৪ দিন। বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এম আবদুল্লাহও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রিসভায় করোনাভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেভাবেই হোক এই ভাইরাস আমাদের দেশে ঢোকা রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যথা সম্ভব চায় না থেকে উহান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ আমরা ঝুঁকি নিতে চাইছি না।’

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বাংলাদেশের যেসব প্রকল্পে উহানের শ্রমিক আছে, এর মধ্যে যারা উহানে ফেরত গেছে, তাদের আর আসতে দেয়া হবে না। তাদের ওয়ার্ক পারমিট আর নবায়ন করা হবে না। উহান থেকে ঢাকায় যে চারটি ফ্লাইট আসে, তারা খুব বেশি প্যাসেঞ্জার বহন করে না। ১০-১২ জন প্যাসেঞ্জার পাচ্ছে। তাই ইউএস বাংলাসহ অন্য এয়ারলাইনগুলো নিজেরাই এসব ফ্লাইট বন্ধ করে দেবে।

চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে আরও ১৭১ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে চাইছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশ বিমানে তাদের আনতে সমস্যা হচ্ছে। কেননা, এর আগে ৩১৪ জন বাংলাদেশিকে আনতে যে ফ্লাইট গিয়েছিল, সেটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত পাইলট ও ত্রুদের অন্য দেশে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে নতুন করে যারা আসতে চাইছেন,

চীনে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় দেশটির উহান সিটিতে থাকা শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে এনেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। গত ৩১ জানুয়ারি উহানে পাঠানো হয় ৪১৯ জন যাত্রী বহনে সক্ষম বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ ‘আকাশ প্রদীপ’। এই উড়োজাহাজ গত ১ ফেব্রুয়ারি ৩১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাকায় আসে।

এরপর ‘আকাশ প্রদীপ’কে জীবাণুমুক্ত করতে প্রায় ১২ ঘণ্টা সময় লেগেছে বিমানের প্রকৌশল বিভাগের। এই ফ্লাইটের বর্জ্য নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ। কীভাবে এগুলো ধ্বংস করা যাবে তার কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা।