আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলানোর আল্টিমেটাম দিয়েছেন ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। গতকাল স্মারকলিপি দিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীকে এই আল্টিমেটাম দেন।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় ৬৩ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে ঢাবি প্রশাসন। কিন্তু বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান ইচ্ছুক হলেও অভিযোগ ওঠেছে, প্রক্টর নাম প্রকাশ করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশ করতে বলা সত্ত্বেও প্রক্টর সেসব নাম প্রকাশ করেননি। এতে শিক্ষার্থীরা প্রক্টরকে ধিক্কার জানিয়েছে। কোনভাবেই প্রক্টরের মতো দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন প্রতারণা কাম্য নয়। তিনি বলেন, এর দায়ভার সম্পূর্ণ প্রক্টরের। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সন্দেহের দানা বেঁধেছে এবং শিক্ষার্থীরা সরিষার ভেতরে ভূত দেখতে পাচ্ছে। বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশ না করা ইতিমধ্যেই জালিয়াতদের রক্ষার কৌশল হিসেবে শিক্ষার্থীরা বুঝে গেছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে পাঁচ দিনের সময় দেয়া হয়েছে। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা জানে কীভাবে ন্যায্য অধিকার আদায় করতে হয়। প্রয়োজনে প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলবে।
এদিকে বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশের বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, নৈতিক কারণে আমরা এই মুহূর্তে নাম প্রকাশ করতে পারছি না। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নাম প্রকাশ করা হবে।
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২১ মাঘ ১৪২৬, ৯ জমাদিউল সানি ১৪৪১
প্রতিনিধি, ঢাবি
আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলানোর আল্টিমেটাম দিয়েছেন ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। গতকাল স্মারকলিপি দিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীকে এই আল্টিমেটাম দেন।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় ৬৩ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে ঢাবি প্রশাসন। কিন্তু বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান ইচ্ছুক হলেও অভিযোগ ওঠেছে, প্রক্টর নাম প্রকাশ করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশ করতে বলা সত্ত্বেও প্রক্টর সেসব নাম প্রকাশ করেননি। এতে শিক্ষার্থীরা প্রক্টরকে ধিক্কার জানিয়েছে। কোনভাবেই প্রক্টরের মতো দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন প্রতারণা কাম্য নয়। তিনি বলেন, এর দায়ভার সম্পূর্ণ প্রক্টরের। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সন্দেহের দানা বেঁধেছে এবং শিক্ষার্থীরা সরিষার ভেতরে ভূত দেখতে পাচ্ছে। বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশ না করা ইতিমধ্যেই জালিয়াতদের রক্ষার কৌশল হিসেবে শিক্ষার্থীরা বুঝে গেছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে পাঁচ দিনের সময় দেয়া হয়েছে। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা জানে কীভাবে ন্যায্য অধিকার আদায় করতে হয়। প্রয়োজনে প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলবে।
এদিকে বহিষ্কৃতদের নাম প্রকাশের বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, নৈতিক কারণে আমরা এই মুহূর্তে নাম প্রকাশ করতে পারছি না। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নাম প্রকাশ করা হবে।