হামলা, যাত্রীদের জোর করে নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ
বিভাগীয় নগরী রংপুর থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বিআরটিসির সব দোতলা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতির লোকজন। সেই সঙ্গে বাসের ড্রাইভার হেলপারসহ বিআরটিসির কর্মকর্তা কর্মচারীদের মারধর এবং জোর করে বাস আটকিয়ে যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দেবার অভিযোগ করেছে কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
বিআরটিসির কর্মকর্তা কর্মচারীদের অভিযোগ রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় কোন কারণ ছাড়াই মোটর মালিক সমিতির লোকজন বিআরটিসির দোতলা বাস আটকে ড্রাইভার হেলপারকে মারধর করে যাত্রীদের জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দিয়েছে। গতকাল সকাল থেকে তারা সবগুলো দোতলা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও বিআরটিসি বাস ডিপো এলাকায় গিয়ে বাসের ড্রাইভাদের সঙ্গে কথা বললে দোতলা বাসের ড্রাইভার সালাম জানান তিনি বাস নিয়ে পাগলাপীর যাওয়ার পথে বাস টার্মিনালের কাছে গেলে মালিক সমিতির লোকজন তার ওপর হামলা চালায় তারা জোর করে তাকে বাস থেকে নামিয়ে মারধর করে এবং যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দেয়। তারা বলেছে রংপুর থেকে বিআরটিসির কোন দোতলা বাস চলাতে তারা দেবেনা। একই অভিযোগ করেছে আিরটিসি বাস ডিপোর কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
এ ব্যাপারে বিআরটিসি রংপুর বাস ডিপোর ম্যানেজার নুরুল হক জানান মোটর মালিক সমিতির লোকজন তাদের ড্রাইভার হেলপার ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের মারধর করে দোতলা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন সরকারি বাস সরকারি রাস্তায় চলবে এতে তারা বাধা দিতে পারে না। তিনি জানান মালিক সমিতির লোকজন নগরীর বাস টার্মিনাল, মেডিকেল মোড় ও মর্ডান মোড়ে তাদের ৩টি দোতলা বাস চলাচলে বাধা দিয়েছে। তিনি জানান রংপুর থেকে বিভিন্ন রুটে ৮টি দোতলা বাস চলাচল করে।
এ ব্যাপারে মোটর মালিক সমিতির কর্মচারী রওনক জানান মালিক সমিতির নির্দ্দেশে আমরা দোতলা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ সিটি করপোরেশন এলাকায় দোতলা বাস চলাচল করলে তাদের বাসে যাত্রী হয় না সে কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এদিকে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজু বলেছেন রংপুর থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী লোকাল বাসগুলো বিআরটিসি দোতলা বাস চলাচল করায় আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। দোতলা বাসগুলো লোকাল গাড়ির মতো যেখানে-সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী তোলে তারা কোন নিয়ম মানে না। এ ছাড়াও মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের এলাকায় ৬টি থানায় চেকপোস্ট বসিয়ে বাসের কাগজপত্র দেখার নামে হয়রানি করছে। এই সব বিষয়সহ তিন দফা দাবি আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। আমাদের দাবি ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মানা না হলে ৫ ফেরুয়ারি থেকে রংপুরে পরিবহন ধর্মঘট শুরু করতে বাধ্য হবো আমরা বলে জানান তিনি। ।
অপরদিকে কোতয়ালি থানার ওসি আবদুর রশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সেখানে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২১ মাঘ ১৪২৬, ৯ জমাদিউল সানি ১৪৪১
হামলা, যাত্রীদের জোর করে নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ
লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর
বিভাগীয় নগরী রংপুর থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বিআরটিসির সব দোতলা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতির লোকজন। সেই সঙ্গে বাসের ড্রাইভার হেলপারসহ বিআরটিসির কর্মকর্তা কর্মচারীদের মারধর এবং জোর করে বাস আটকিয়ে যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দেবার অভিযোগ করেছে কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
বিআরটিসির কর্মকর্তা কর্মচারীদের অভিযোগ রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় কোন কারণ ছাড়াই মোটর মালিক সমিতির লোকজন বিআরটিসির দোতলা বাস আটকে ড্রাইভার হেলপারকে মারধর করে যাত্রীদের জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দিয়েছে। গতকাল সকাল থেকে তারা সবগুলো দোতলা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও বিআরটিসি বাস ডিপো এলাকায় গিয়ে বাসের ড্রাইভাদের সঙ্গে কথা বললে দোতলা বাসের ড্রাইভার সালাম জানান তিনি বাস নিয়ে পাগলাপীর যাওয়ার পথে বাস টার্মিনালের কাছে গেলে মালিক সমিতির লোকজন তার ওপর হামলা চালায় তারা জোর করে তাকে বাস থেকে নামিয়ে মারধর করে এবং যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দেয়। তারা বলেছে রংপুর থেকে বিআরটিসির কোন দোতলা বাস চলাতে তারা দেবেনা। একই অভিযোগ করেছে আিরটিসি বাস ডিপোর কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
এ ব্যাপারে বিআরটিসি রংপুর বাস ডিপোর ম্যানেজার নুরুল হক জানান মোটর মালিক সমিতির লোকজন তাদের ড্রাইভার হেলপার ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের মারধর করে দোতলা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন সরকারি বাস সরকারি রাস্তায় চলবে এতে তারা বাধা দিতে পারে না। তিনি জানান মালিক সমিতির লোকজন নগরীর বাস টার্মিনাল, মেডিকেল মোড় ও মর্ডান মোড়ে তাদের ৩টি দোতলা বাস চলাচলে বাধা দিয়েছে। তিনি জানান রংপুর থেকে বিভিন্ন রুটে ৮টি দোতলা বাস চলাচল করে।
এ ব্যাপারে মোটর মালিক সমিতির কর্মচারী রওনক জানান মালিক সমিতির নির্দ্দেশে আমরা দোতলা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ সিটি করপোরেশন এলাকায় দোতলা বাস চলাচল করলে তাদের বাসে যাত্রী হয় না সে কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এদিকে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজু বলেছেন রংপুর থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী লোকাল বাসগুলো বিআরটিসি দোতলা বাস চলাচল করায় আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। দোতলা বাসগুলো লোকাল গাড়ির মতো যেখানে-সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী তোলে তারা কোন নিয়ম মানে না। এ ছাড়াও মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের এলাকায় ৬টি থানায় চেকপোস্ট বসিয়ে বাসের কাগজপত্র দেখার নামে হয়রানি করছে। এই সব বিষয়সহ তিন দফা দাবি আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। আমাদের দাবি ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মানা না হলে ৫ ফেরুয়ারি থেকে রংপুরে পরিবহন ধর্মঘট শুরু করতে বাধ্য হবো আমরা বলে জানান তিনি। ।
অপরদিকে কোতয়ালি থানার ওসি আবদুর রশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সেখানে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।