বাপেক্সের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক, আদালতে মামলার হুমকি
চুক্তি মোতাবেক কূপ খননের কাজ না করেই বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লি. (বাপেক্স) এর কাছে টাকা দাবি করছে আজারবাইজানের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি ‘সকার’। টাকা না দিলে বাপেক্সের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা করারও হুমকি দিয়েছে বিদেশি এই কোম্পানি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে সেমুতাং-১ গ্যাস কূপ খনন শেষে একটুও গ্যাস পায়নি সকার। ষাটের দশকে আবিস্কৃত এই গ্যাসক্ষেত্রে এর আগে পাঁচটি কূপ খনন করা হয়েছে। ২০১২ সাল থেকে গ্যাসও উত্তোলন শুরু হয়। ধারণা করা হয়, এই গ্যাসক্ষেত্রে আরও দেড় বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে। তাই এখানে কূপ খননে গ্যাস পাওয়ার কথা। সংশ্লিষ্টদের মতে, অদক্ষতার কারণেই সম্ভাবনাময় কূপটি থেকে গ্যাস তুলতে পারেনি সকার। অতিরিক্ত কাদা তুলে এবং সিমেন্টিং প্রসেসে ভুল করে কূপটি বন্ধ করে দিয়েছে কোম্পানিটি। জ্বালানিখাতের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এমনকি সকারের ওয়েবসাইটেও দেখা গেছে, কূপ খননকার্যে কোম্পানিটির রেকর্ড তেমন ভালো নয়। কাস্পিয়ান সাগরে কূপ খনন করতে গিয়ে তিন বছরে (২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬) সকারে পাঁচটি দুর্ঘটনা (ব্লো-আউট) ঘটেছে। এতে তাদের কয়েকজন কর্মী মারা গেছেন এবং অনেকে আহত হয়েছেন।
বর্তমান সরকারের ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) এর অর্থায়নে বাপেক্স ১০টি প্রকল্পের অধীনে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০’ এর আওতায় ২০১৮ সালের মধ্যে ২৮টি কূপ খননের উদ্যোগ নেয়। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৩টি অনুসন্ধান কূপ খননের জন্য বিভাজিত তিনটি গ্রুপের মধ্যে- গ্রুপ ১ এর অধীনে সেমুতাং সাউথ-১ বেগমগঞ্জ-৪ এবং মাদারগঞ্জ-১ এই ৩টি কূপ খননের লক্ষ্যে সকার এবং বাপেক্স এর মধ্যে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, তিনটি কূপ খননে সকারের ২৮০ কোটি টাকা (৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পাওয়ার কথা।
সকার বাপেক্সের কাছ থেকে কম দামে ৩টি কূপ খননের কাজ নিয়ে সম্ভাবনাময় প্রথম (সেমুতাং দক্ষিণ-১) কূপেই গ্যাস উত্তোলনে ব্যর্থ হয়। গ্যাস না পেলেও চুক্তি অনুযায়ী ওই কূপ খননের জন্য সকারকে একশ’ কোটি টাকা দেয় বাপেক্স। অভিযোগ রয়েছে, নিজেদের টাকা পেলেও সকার খননকাজে নিয়োগ করা বিদেশি থার্ড পার্টি কোম্পানি এবং দেশীয় ঠিকাদারদের পাওনা পরিশোধ করেনি। চুক্তি অনুযায়ী সকারের দ্বিতীয় কূপ খনন করার কথা। এক্ষেত্রে সেমুতাং থেকে বেগমগঞ্জ-৪ এর রিগ ও মালামাল নিয়ে কাজ শুরু করতে দেরি করে সকার। তবে নিজেদের বিলম্বের বোঝা বাপেক্সের ঘাড়ে চাপিয়ে বিদেশি কোম্পানিটি অতিরিক্ত ছয় মিলিয়ন ডলার দাবি করে। বাপেক্স রাজি না হলে ২০১৮ সালে সকার চুক্তি বাতিলের পত্র দেয় ও শেষ পর্যন্ত চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায়। এখন সকার বাপেক্সের কাছে ক্ষতিপূরণ ও বকেয়া বাবদ ১৪০ কোটি টাকা দাবি করছে। এরমধ্যে তাদের ‘পারফরমেন্স গ্যারান্টি’ রয়েছে। এজন্য গত দেড় বছর ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে তদবির করেছে সকার। বাপেক্সের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক আজারবাইজান সফরকালে সকার এ বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের কাছে উপস্থাপন করে। সর্বশেষ গত ১৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রমকে দেয়া এক চিঠিতে তাদের বিরোধ মীমাংসা করে যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করার আহ্বান জানায়। বিরোধ মীমাংসা না করলে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা করার কথাও চিঠিতে জানিয়েছে সকার।
‘সকার’ যখন তিনটি কূপ খননের কাজ পায়, সেটি সরকারের একটি মহলে প্রশংসিত হয়। কারণ অন্যান্য বিদেশি কোম্পানির তুলনায় সকারের চুক্তিমূল্য দৃশ্যত কম ছিল। অন্যান্য বিদেশি কোম্পনি যেখানে প্রতিটি কূপ খননের জন্য গড়ে ১৫ থেকে ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নেয়, সেখানে সকার চেয়েছিল ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তবে কম দামে সকারের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে জ্বালানি খাতের কয়েকজন বিশ্লেষক বলেছিলেন, এই দামে কোন বিদেশি কোম্পানির পক্ষে কূপ খনন করা সম্ভব নয়। কারণ এই দামে কাজ করলে হয় লোকসান গুণতে হবে, অন্যথায় কাজ ফেলে চলে যাবে। কার্যত : তাই হয়েছে। সকার অবশ্য চুক্তি বাতিল করার আবেদনে কারণ হিসেবে তাদের পাওনা পরিশোধে বাপেক্সের বিলম্বের অজুহাত দেখিয়েছে।
বাপেক্সের এক কর্মকর্তা বলেন, সকারের দাবি ‘মামাবাড়ির আবদার’। সরকারি প্রক্রিয়ায় কোম্পানির বিল পরিশোধে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। সেটা দুই পক্ষই বোঝে এবং সমঝোতার মাধ্যমে কাজ করে। সকার আসলে কাজটি করতে চায় না বলেই অজুহাত খাড়া করেছে।
তাছাড়া, সেমুতাং কূপটি খননের জন্য তাদের সময় নির্ধারিত ছিল ১২০ দিন। কিন্তু তারা লাগিয়েছে প্রায় ২৫০ দিন। কূপ খননের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতিও তারা সরবরাহ করতে পারেনি। খননযন্ত্রের (রিগ) ‘টপ ড্রাইভ’সহ কিছু অপরিহার্য় যন্ত্রপাতি বাপেক্স তাদের সরবরাহ করেছে। এখন এসব বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেনা-পাওনার হিসাব চূড়ান্ত করতে হবে।
সার্বিক বিষয়ে পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা বলেন, অভিজ্ঞ আইনি পরামর্শকের সহযোগিতা নিয়েও সকারের চুক্তি বাতিলের আবেদন ঠেকাতে পারেনি বাপেক্স। কোম্পানিটি ঠিকই চুক্তি থেকে সরে গেছে। এখন সকার (দ্য স্টেট অয়েল কোম্পানি অব দ্যা আজারবাইজান রিপাবলিক) আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে গেলে দীর্ঘসূত্রিতা সৃষ্টি হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হলে ভালো।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এ বিষয়ে বলেন, সম্প্রতি আজারবাইজান সফরকালে দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী আমাকে এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। আমরা উভয়পক্ষ স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি।
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৪ মাঘ ১৪২৬, ১২ জমাদিউল সানি ১৪৪১
বাপেক্সের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক, আদালতে মামলার হুমকি
ফয়েজ আহমেদ তুষার
চুক্তি মোতাবেক কূপ খননের কাজ না করেই বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লি. (বাপেক্স) এর কাছে টাকা দাবি করছে আজারবাইজানের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি ‘সকার’। টাকা না দিলে বাপেক্সের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা করারও হুমকি দিয়েছে বিদেশি এই কোম্পানি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে সেমুতাং-১ গ্যাস কূপ খনন শেষে একটুও গ্যাস পায়নি সকার। ষাটের দশকে আবিস্কৃত এই গ্যাসক্ষেত্রে এর আগে পাঁচটি কূপ খনন করা হয়েছে। ২০১২ সাল থেকে গ্যাসও উত্তোলন শুরু হয়। ধারণা করা হয়, এই গ্যাসক্ষেত্রে আরও দেড় বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে। তাই এখানে কূপ খননে গ্যাস পাওয়ার কথা। সংশ্লিষ্টদের মতে, অদক্ষতার কারণেই সম্ভাবনাময় কূপটি থেকে গ্যাস তুলতে পারেনি সকার। অতিরিক্ত কাদা তুলে এবং সিমেন্টিং প্রসেসে ভুল করে কূপটি বন্ধ করে দিয়েছে কোম্পানিটি। জ্বালানিখাতের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এমনকি সকারের ওয়েবসাইটেও দেখা গেছে, কূপ খননকার্যে কোম্পানিটির রেকর্ড তেমন ভালো নয়। কাস্পিয়ান সাগরে কূপ খনন করতে গিয়ে তিন বছরে (২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬) সকারে পাঁচটি দুর্ঘটনা (ব্লো-আউট) ঘটেছে। এতে তাদের কয়েকজন কর্মী মারা গেছেন এবং অনেকে আহত হয়েছেন।
বর্তমান সরকারের ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) এর অর্থায়নে বাপেক্স ১০টি প্রকল্পের অধীনে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০’ এর আওতায় ২০১৮ সালের মধ্যে ২৮টি কূপ খননের উদ্যোগ নেয়। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৩টি অনুসন্ধান কূপ খননের জন্য বিভাজিত তিনটি গ্রুপের মধ্যে- গ্রুপ ১ এর অধীনে সেমুতাং সাউথ-১ বেগমগঞ্জ-৪ এবং মাদারগঞ্জ-১ এই ৩টি কূপ খননের লক্ষ্যে সকার এবং বাপেক্স এর মধ্যে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, তিনটি কূপ খননে সকারের ২৮০ কোটি টাকা (৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পাওয়ার কথা।
সকার বাপেক্সের কাছ থেকে কম দামে ৩টি কূপ খননের কাজ নিয়ে সম্ভাবনাময় প্রথম (সেমুতাং দক্ষিণ-১) কূপেই গ্যাস উত্তোলনে ব্যর্থ হয়। গ্যাস না পেলেও চুক্তি অনুযায়ী ওই কূপ খননের জন্য সকারকে একশ’ কোটি টাকা দেয় বাপেক্স। অভিযোগ রয়েছে, নিজেদের টাকা পেলেও সকার খননকাজে নিয়োগ করা বিদেশি থার্ড পার্টি কোম্পানি এবং দেশীয় ঠিকাদারদের পাওনা পরিশোধ করেনি। চুক্তি অনুযায়ী সকারের দ্বিতীয় কূপ খনন করার কথা। এক্ষেত্রে সেমুতাং থেকে বেগমগঞ্জ-৪ এর রিগ ও মালামাল নিয়ে কাজ শুরু করতে দেরি করে সকার। তবে নিজেদের বিলম্বের বোঝা বাপেক্সের ঘাড়ে চাপিয়ে বিদেশি কোম্পানিটি অতিরিক্ত ছয় মিলিয়ন ডলার দাবি করে। বাপেক্স রাজি না হলে ২০১৮ সালে সকার চুক্তি বাতিলের পত্র দেয় ও শেষ পর্যন্ত চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায়। এখন সকার বাপেক্সের কাছে ক্ষতিপূরণ ও বকেয়া বাবদ ১৪০ কোটি টাকা দাবি করছে। এরমধ্যে তাদের ‘পারফরমেন্স গ্যারান্টি’ রয়েছে। এজন্য গত দেড় বছর ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে তদবির করেছে সকার। বাপেক্সের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক আজারবাইজান সফরকালে সকার এ বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের কাছে উপস্থাপন করে। সর্বশেষ গত ১৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রমকে দেয়া এক চিঠিতে তাদের বিরোধ মীমাংসা করে যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করার আহ্বান জানায়। বিরোধ মীমাংসা না করলে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা করার কথাও চিঠিতে জানিয়েছে সকার।
‘সকার’ যখন তিনটি কূপ খননের কাজ পায়, সেটি সরকারের একটি মহলে প্রশংসিত হয়। কারণ অন্যান্য বিদেশি কোম্পানির তুলনায় সকারের চুক্তিমূল্য দৃশ্যত কম ছিল। অন্যান্য বিদেশি কোম্পনি যেখানে প্রতিটি কূপ খননের জন্য গড়ে ১৫ থেকে ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নেয়, সেখানে সকার চেয়েছিল ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তবে কম দামে সকারের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে জ্বালানি খাতের কয়েকজন বিশ্লেষক বলেছিলেন, এই দামে কোন বিদেশি কোম্পানির পক্ষে কূপ খনন করা সম্ভব নয়। কারণ এই দামে কাজ করলে হয় লোকসান গুণতে হবে, অন্যথায় কাজ ফেলে চলে যাবে। কার্যত : তাই হয়েছে। সকার অবশ্য চুক্তি বাতিল করার আবেদনে কারণ হিসেবে তাদের পাওনা পরিশোধে বাপেক্সের বিলম্বের অজুহাত দেখিয়েছে।
বাপেক্সের এক কর্মকর্তা বলেন, সকারের দাবি ‘মামাবাড়ির আবদার’। সরকারি প্রক্রিয়ায় কোম্পানির বিল পরিশোধে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। সেটা দুই পক্ষই বোঝে এবং সমঝোতার মাধ্যমে কাজ করে। সকার আসলে কাজটি করতে চায় না বলেই অজুহাত খাড়া করেছে।
তাছাড়া, সেমুতাং কূপটি খননের জন্য তাদের সময় নির্ধারিত ছিল ১২০ দিন। কিন্তু তারা লাগিয়েছে প্রায় ২৫০ দিন। কূপ খননের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতিও তারা সরবরাহ করতে পারেনি। খননযন্ত্রের (রিগ) ‘টপ ড্রাইভ’সহ কিছু অপরিহার্য় যন্ত্রপাতি বাপেক্স তাদের সরবরাহ করেছে। এখন এসব বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেনা-পাওনার হিসাব চূড়ান্ত করতে হবে।
সার্বিক বিষয়ে পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা বলেন, অভিজ্ঞ আইনি পরামর্শকের সহযোগিতা নিয়েও সকারের চুক্তি বাতিলের আবেদন ঠেকাতে পারেনি বাপেক্স। কোম্পানিটি ঠিকই চুক্তি থেকে সরে গেছে। এখন সকার (দ্য স্টেট অয়েল কোম্পানি অব দ্যা আজারবাইজান রিপাবলিক) আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে গেলে দীর্ঘসূত্রিতা সৃষ্টি হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হলে ভালো।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এ বিষয়ে বলেন, সম্প্রতি আজারবাইজান সফরকালে দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী আমাকে এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। আমরা উভয়পক্ষ স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি।