পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু

সিঙ্গাপুর যাচ্ছে দুদক টিম

দেশের বাইরে পাচার করা এক ব্যবসায়ীর অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া সিঙ্গপুরে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য শীঘ্রই দুদকের একটি টিম সিঙ্গাপুর যাচ্ছে। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ডে কেয়ার সেন্টার উদ্বোধনকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গত বুধবার কমিশনে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছ, দুর্নীতির মামলায় আসামিদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। অর্থপাচারের বিষয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে তথ্য পাচ্ছি। এই তথ্যের ভিত্তিতে দুদক থেকে টিম পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা করছি।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সিঙ্গাপুরসহ আমাদের আশপাশের দেশগুলো থেকে আমরা কিছু কিছু তথ্য পাচ্ছি। কমিশন থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে কীভাবে আইনি প্রক্রিয়ায় ওইসব দেশের আদালতের সহায়তায় অপরাধীদের সম্পদ জব্দ করা যায় এবং তা দেশে ফিরিয়ে আনা যায়। কমিশনের প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যেই হংকংয়ের আদালতের সহায়তায় কিছু অবৈধ অর্থ জব্দ করা হয়েছে। এটি একটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ার সমন্বয়। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে ট্রেড-বেইজড মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমেই সর্বাধিক অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটে। গত বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে দুদক কার্যালয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছি, পদ্ধতিগত প্রক্রিয়ায় এ জাতীয় অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কমিশনের গতকালের সভায় কী সিদ্ধান্ত নেয়া হলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের ২২টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ২২ জন গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব গোয়েন্দা কর্মকর্তারা প্রতিটি জেলায় যারা মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাস, খাস জমি দখল, ঘুষ-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপরাধ জগতের গডফাদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেনÑ তাদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে রিপোর্ট করবেন। কমিশন এসব রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করে এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন আমলে নিয়ে আসবে। কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।

কমিশনের এমন সক্ষমতা আছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সক্ষমতা আপনারাই দেখছেন। সক্ষমতা আমাদের আছে। সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমরা সার্বক্ষণিক চেষ্টা করি। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ^াস করি, কাজের প্রতি কমিটমেন্ট বা দৃঢ় অঙ্গীকারই সক্ষমতার উৎস। গতকালের কমিশন বৈঠকে পূর্ণাঙ্গ কমিশন, সচিব ও মহাপরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সবার দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে। আমরা একটি টিম। টিমওয়ার্কের মাধ্যমেই আমাদের সক্ষমতা সর্বাধিক বিকশিত করার চেষ্টা করছি।

শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৪ মাঘ ১৪২৬, ১২ জমাদিউল সানি ১৪৪১

পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু

সিঙ্গাপুর যাচ্ছে দুদক টিম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

দেশের বাইরে পাচার করা এক ব্যবসায়ীর অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া সিঙ্গপুরে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য শীঘ্রই দুদকের একটি টিম সিঙ্গাপুর যাচ্ছে। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ডে কেয়ার সেন্টার উদ্বোধনকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গত বুধবার কমিশনে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছ, দুর্নীতির মামলায় আসামিদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। অর্থপাচারের বিষয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে তথ্য পাচ্ছি। এই তথ্যের ভিত্তিতে দুদক থেকে টিম পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা করছি।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সিঙ্গাপুরসহ আমাদের আশপাশের দেশগুলো থেকে আমরা কিছু কিছু তথ্য পাচ্ছি। কমিশন থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে কীভাবে আইনি প্রক্রিয়ায় ওইসব দেশের আদালতের সহায়তায় অপরাধীদের সম্পদ জব্দ করা যায় এবং তা দেশে ফিরিয়ে আনা যায়। কমিশনের প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যেই হংকংয়ের আদালতের সহায়তায় কিছু অবৈধ অর্থ জব্দ করা হয়েছে। এটি একটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ার সমন্বয়। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে ট্রেড-বেইজড মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমেই সর্বাধিক অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটে। গত বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে দুদক কার্যালয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছি, পদ্ধতিগত প্রক্রিয়ায় এ জাতীয় অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কমিশনের গতকালের সভায় কী সিদ্ধান্ত নেয়া হলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের ২২টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ২২ জন গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব গোয়েন্দা কর্মকর্তারা প্রতিটি জেলায় যারা মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাস, খাস জমি দখল, ঘুষ-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপরাধ জগতের গডফাদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেনÑ তাদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে রিপোর্ট করবেন। কমিশন এসব রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করে এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন আমলে নিয়ে আসবে। কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।

কমিশনের এমন সক্ষমতা আছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সক্ষমতা আপনারাই দেখছেন। সক্ষমতা আমাদের আছে। সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমরা সার্বক্ষণিক চেষ্টা করি। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ^াস করি, কাজের প্রতি কমিটমেন্ট বা দৃঢ় অঙ্গীকারই সক্ষমতার উৎস। গতকালের কমিশন বৈঠকে পূর্ণাঙ্গ কমিশন, সচিব ও মহাপরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সবার দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে। আমরা একটি টিম। টিমওয়ার্কের মাধ্যমেই আমাদের সক্ষমতা সর্বাধিক বিকশিত করার চেষ্টা করছি।